পারিশ্রমিক কমছে রোহিত-কোহলির!
-
-
|

রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি
গেল বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে এক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২৮ ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেখানে বোর্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার নির্দেশনা না মেনে শেষদিকে এসে জায়গা হারিয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈষাণ কিষান। জোর গুঞ্জন আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরপরই নতুন বছরের জন্য করা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আবারো ফিরতে পারেন এই দুই খেলোয়াড়। পাশাপাশি নতুন চুক্তিতে পারিশ্রমিকে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের পারফরম্যান্সের দিকে নজর রাখছে বোর্ড। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল এখনও পর্যন্ত ভালো খেললেও তার আগে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দল খারাপ খেলেছে। পাশাপাশি গ্রেডেও পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে চারটি গ্রেড রয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা পান এ+ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারেরা। এরপর রয়েছে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরি। বর্তমানে এ+ ক্যাটাগরিতে আছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রীত বুমরা ও রবীন্দ্র জাদেজা। এদের মধ্যে থেকে শুধু বুমরা তিন ফরম্যাটে খেলেন, বাকিরা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন।
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তিন ফরম্যাটে ধারাবাহিক না হলে তাকে এ+ ক্যাটাগরিতে রাখা হবে না। যদি কোনও প্লেয়ারকে এ+ ক্যাটাগরি থেকে কমানো হয় তা হলে তার বেতন কমবে। আর এখানেই বাঁধে বিপত্তি। গেল বছরের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ওই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ায় নতুন চুক্তিতে ক্যাটাগরি পরিবর্তন হতে পারে রোহিত ও কোহলির। যার কারণে তাদের বেতন কমবে। অবশ্য নতুন চুক্তিতে কে কোন ক্যাটাগরিতে থাকবেন তা নির্ধারণ করবে বোর্ড।
অন্যদিকে শ্রেয়াস আইয়ার গতবারের চুক্তিতে বাদ পড়েছিলেন বোর্ডের কথা না শোনায়। কিন্তু এর পর থেকে তিনি টানা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। যার ফলে তিনি জাতীয় দলে সুযোগও পেয়েছেন এবং পারফর্মও করছেন। তাই তাকে এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফেরানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে গতবার চুক্তি হারানো ঈশান কিষানকে অবশ্য কেন্দ্রীয় চুক্তি ফেরানো হচ্ছে না। কারণ মাঠে নিয়মিত নন তিনি। ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচে ২০২৩ সালের নভেম্বরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
বিসিসিআইয়ের সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী, এ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ৬ ক্রিকেটার। বি-তে ৫ জন এবং সি-তে ছিলেন ১৫ জন ক্রিকেটার। আর পাঁচজন পেসারকে (আকাশ দীপ, ইয়াশ দয়াল, উমরান মালিক, বিজয়কুমার বশাক এবং ভি কাভেরাপ্পা) আলাদাভাবে চুক্তিতে আনা হয়েছিল সেবার।