প্রকৃতিতে মোরগ ফুলের লাজুক হাসি

  • ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। এরই মধ্যেই শীতকালীন ফুল ফুটতে শুরু করেছে। যার অন্যতম মোরগ ঝুঁটি, লালমুর্গা, অঞ্চল ভেদে একেক এলাকাতে ভিন্ন ভিন্ন নামে মানুষ চিনে।

কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে মোরগ ফুল হিসেবে বেশি পরিচিত। এই ফুলের ইংরেজি নাম Cockscomb flower, ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম- Celosia argentea।কদিন পরেই প্রকৃতিতে আসবে শীত। এর আগেই এই ফুল ফুটতে শুরু করেছে বাড়ির আঙিনা, পথের পাশে।

বিজ্ঞাপন

নার্সারি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ফুলের চাহিদা ভালো। এখন থেকে শুরু হয়ে শীতকাল অবধি ফুল ফুটবে গাছে। মোরগের মাথার ঝুঁটির আকৃতির জন্য এই ফুল মোরগ ফুল হিসেবে পরিচিত।

সকালে ভোরে সূর্য উদয়ের আগে ফুটন্ত ফুলের মোহনীয় সৌন্দর্যের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। শিশির ভেজা পাতার উপরে সাদা লালসহ একাধিক বর্ণের বাহারি রং বিমোহিত করে তুলে মন।

বিজ্ঞাপন

প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা যায়, এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চল এবং আফ্রিকার আদিনিবাস হলেও বাংলাদেশে মোরগ ফুল একটি জনপ্রিয় ফুল। অঞ্চলভেদে কোথাও কোথাও এ ফুলকে মোরগ ঝুঁটি, লালমুর্গা নামেও ডাকা হয়। Cockscomb flower ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম- Celosia argentea, পরিবার- Amaranthaceae ক্রান্তীয় এশিয়ার প্রজাতি। গাছ সাধারণত ৩০-৯০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে।

নানা প্রজাতির মোরগফুল রয়েছে। প্রজাতি ভেদে গাছের পাতা, শাখা-প্রশাখা, কান্ড ও ফুলের রঙ ভিন্ন হয়। লাল, কমলা, হলুদ, সাদা, সোনালি ও মিশ্র রঙের মোরগফুল দেখতে পাওয়া যায়। ফুল গন্ধহীন, উজ্বল রঙের মোলায়েম পালকের মতো। গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করে রেখে দেওয়ার পর ফুল শুকিয়ে গেলেও এর উজ্বলতা নষ্ট হয় না। পরিপক্ক ফুলের মাঝে বীজ হয়, বীজ ডাটা বীজের মতো। পরবর্তী মৌসুমে বংশ বিস্তারের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায়।

কৃষি অফিস ও বাগান সংশ্লিষ্টরা বার্তা২৪.কম’র এ প্রতিবেদককে জানান, মোরগফুল মূলত হেমন্ত মৌসুমের ফুল। এর আগেও ফুটে এই ফুল। তবে সাধারণত মে মাসে বীজবপন করার পর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে গাছে ফুল ধরে এবং ফুল ফুটন্ত গাছ মার্চ মাস সময় পর্যন্ত টিকে থাকে, তারপর ফুলগাছ আপনা আপনি মরে যায়।

রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশ, নিষ্কাশিত ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুল গাছ জন্মে। বাসা-বাড়ি, অফিস, আদালত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও অন্যান্য স্থানে এ ফুল গাছ চোখে পড়ে। মোরগ ফুলের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। অতিরিক্ত প্রস্রাব উপশমে এবং আমাশয় রোগের চিকিৎসায় মোরগ ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে।