শিমুল ফুলে সেজেছে কিশোরগঞ্জের প্রকৃতি
-
-
|

ছবি- বার্তা২৪.কম
‘এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর
পরজ বসন্তের সুর
পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার মতো রূপ ধারণ করেছে প্রকৃতি। পাতা ঝরা শিমুলের গাছগুলো এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। অবারিত সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির মধ্যে।
কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় শিমুল আর পলাশ ফুল সবুজের মধ্যে আলপনার রং এর মতো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। গাছের মগডালের আড়ালে বসে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু ডাক যেন প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের বার্তা৷
একসময় গ্রাম বাংলায় প্রচুর শিমুল গাছ থাকলেও বর্তমানে তা অনেকাংশেই কমে এসেছে৷ শিমুল গাছের ফল থেকে যে তুলা হয় তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়াও শিমুলের কাঠের চাহিদা রয়েছে ব্যপক।
ফাল্গুনে যৌবন ফিরে পায় প্রকৃতি। বসন্তের বাতাসে শুকনো পাতাগুলো ঝরে এখন সবুজ পাতায় সজ্জিত গাছপালা৷ বোরো ফসলের মাঠও সবুজের সমারোহ। তার আশপাশে শিমুল গাছের ফুল বহুমুখী সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ লাল টকটকে ফুলের মধ্যে নানান পাখিদের আনাগোনা আর কিচিরমিচির শব্দ দারুণ উপভোগ্য৷
পাখিদের দল এক ডাল থেকে আরেক ডালে ডানা মেলে মনের আনন্দে ছুটে বেড়াচ্ছে৷ মৌমাছি মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছে৷ আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানান ধরনের গাছে ফুল এসেছে। এসব ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা চারদিক৷
কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বসন্তের মাস দারুণ লাগছে। প্রকৃতি যেনো বদলে গেছে৷ মৃত গাছগুলো জেগে ওঠতে শুরু করেছে৷ ফুলে সয়লাব হয়ে আছে প্রকৃতি৷'
প্রকৃতি প্রেমী ছাদেকুল ইসলাম বলেন, বসন্ত মানেই জাগরণ৷ আমাদের গ্রাম বাংলা কতটা সুন্দর তা বসন্তের মাসে অনুভব করতে পারি৷ যেদিকে চোখ যায় সবুজে ভরপুর৷ কতরকম ফুল ফুটেছে এই সময়ে। এসব দৃশ্য আমাদের উদ্বেলিত করে৷'