টিভিতে আজকের খেলা
-
-
|

টিভিতে দেখুন
আজ ৩ মার্চ, সোমবার। চলুন দেখে নেই কী থাকছে আজ টিভিতে খেলার আয়োজন।
ক্রিকেট
টিভিতে দেখুন
আজ ৩ মার্চ, সোমবার। চলুন দেখে নেই কী থাকছে আজ টিভিতে খেলার আয়োজন।
ক্রিকেট
মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছে চার দল। কে কার মুখোমুখি হবে তাও নিশ্চিত। যেখানে প্রথম সেমিফাইনালে ৪ মার্চ (মঙ্গলবার) দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট প্রেমীদের আগ্রহ ও উত্তেজনার শেষ নেই।
চার দলের মাঝে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে উঠেছে ভারত। কোনো ম্যাচ হারেনি রোহিত শর্মার দল। অস্ট্রেলিয়াও অবশ্য হারেনি কোনো ম্যাচ। তবে তাদের দুটি ম্যাচই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে।
আসর জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছে ভারতীয় দল। তবে প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়া,তখন ফর্মের কাজটা খুব একটা কাজে আসেনা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ না হারা ভারত ঘরের মাঠে ফাইনালে ধরাশায়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সে হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি রোহিত শর্মার দলের। তাই প্রতিশোধ নেওয়া ছাড়া কিছু ভাবছে না ভারতীয় দল।
অস্টেলিয়ার সঙ্গে বারবারই আইসিসি টুর্নামেন্টে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ভারতকে। ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর, ২০১৫ সালের সেমিতে এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত।
আইসিসি টুর্নামেন্টে সবসময়ই অপ্রতিরোধ্য অজিরা। ভারতের বিপক্ষে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের নক আউট ম্যাচে ৪ বারের দেখায় ৩ বারই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একবারের দেখায় জয়টা ভারতের নামের পাশেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট ম্যাচেও এক বারের দেখায় জয় পেয়েছিল ভারত।
ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে ১৫১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে অজিরা জিতেছে ৮৪ ম্যাচে আর ভারত জিতেছে ৫৭ ম্যাচ, ফলাফল হয়নি ১০ ম্যাচে।
এ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাইবে দুই দলই। দুবাইয়ের মাঠে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ খেলায়, কন্ডিশন বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে ভারত। তবে প্রতিপক্ষ যখন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া,তখন কাজে লাগেনা কোনো এগিয়ে থাকার সমীকরণ। আবারও ভারতকে কাঁদিয়ে ফাইনাল খেলতে চাইবে অজিরা। আর ভারত চাইবে নিজেদের জমে থাকা ক্ষতটা ফিরিয়ে দিতে।
ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। গত আসরে সেমিফাইনালে খেলা টাইগাররা,এবার দেশে ফিরেছে কোনো জয় ছাড়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে সান্ত্বনার এক পয়েন্ট ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই বাংলাদেশ দলের।
এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই সিমন্স ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিসিবির। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের এমন ভরাডুবির পরেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাজে সন্তুষ্ট বিসিবি। দুজনকেই তাই ধরে রাখতে চায় বিসিবি এবং দায়িত্ব দিতে চায় ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। অপেক্ষা এখন তাদের সম্মতি ও আলোচনা চূড়ান্ত করার। এছাড়া স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের দায়িত্বে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন,‘আমাদের প্রধান কোচ ও সিনিয়র সহকারী কোচের চুক্তি মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত আছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। তাদের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করব। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের বনিবনা না হয়, তাহলে হয়তো বাইরে থেকে চিন্তা করতে হবে। তবে আমরা আশা করছি, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সঙ্গে সন্তোষজনক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’
এছাড়া জাতীয় দল ও আশেপাশের দলগুলির জন্য উঁচু মানের দুজন ফিল্ডিং কোচ আনা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন ফাহিম। এ ব্যাপারে তিনি বলেন,‘ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটিতে আমরা জোর দিতে চাই। দেশীয় ফিল্ডিং কোচ আমাদের নেই, তা নয়। তবে আমাদের মনে হয়েছে, খুব উঁচু মানের ফিল্ডিং কোচ দরকার, যারা আমাদের শুধু জাতীয় দল নয়, নিচেও কাজ করবে। এজন্য দুজন ফিল্ডিং কোচের কথা এসেছে এবং আমরা দুজনেরই খোঁজ করব।’
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফাহিম জানান, এ দিনের বোর্ড সভায় অধিনায়কত্বের ব্যাপারটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনেক কদর করা হয়। এটা অবশ্য পৃথিবীর সব দেশের ক্ষেত্রেই সত্য। যেমন ভারতের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। পাইপলাইনে এত এত ক্রিকেটার থাকার পরেও রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি খেলে যাচ্ছেন ভারতীয় দলে। তাদের দলে রাখা নিয়েও কমবেশি সমালোচনা শুনতে হয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
বিরাট-রোহিত খেলতে পারলে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে সমস্যা কি? সমস্যা অবশ্যই আছে। বিরাট পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতেয়েছেন, রোহিত ওপিনিংয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আর বাংলাদেশের মুশফিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই ম্যাচে শূন্য ও ২ রানে আউট হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৪ রান করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দলে তাদের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আজ বিসিবির বোর্ড সভার পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন ফাহিম। সভায় মুশফিক ও রিয়াদের অবসর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, ‘অবশ্যই। ওরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা সময় আসবেই তার ক্যারিয়ার শেষ করার। আমার মনে হয়, ওদের সঙ্গে কথা বলব। ওদের চিন্তা কী আছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’
ওয়ানডে সংস্করণের পরবর্তী বিশ্বকাপ হবে ২০২৭ সালে। সেখানে রিয়াদ-মুশফিককে রেখেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কিনা বিসিবি এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল বলেন, ‘খুব কঠিন প্রশ্ন। আমার মনে হয় তাদের প্রমাণ করতে হবে। তাদের বয়সের দিক থেকে বলি, তাদের ফিটনেসের দিক থেকে বলি, তাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে বলি, এটা আমার কল না, এটা নির্বাচকদের কল। আমার মন্তব্য করাটা ঠিক না। কিন্তু খেলাটা সহজ হবে না।
ছবি- সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে এরইমধ্যে বদলে গেছে এর নাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্টেডিয়ামটির নতুন নাম দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এনসিজি)।
সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিসিবির দুই পরিচালক, নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও ইফতেখার রহমান মিঠু, গণমাধ্যমকে জানান স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের খবরটি।
প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ার পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের সময় সরকারের কাছ থেকে ৩৭.৫ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয় এই প্রকল্পের জন্য।
প্রাথমিকভাবে, স্টেডিয়ামটি 'দ্য বোট' নামে নৌকার আদলে নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও, সম্প্রতি বিসিবি জানায় যে নতুন ডিজাইনে এটি তৈরি করা হবে।
বিসিবি মূলত ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ শুরু করেছিল, কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে বিসিবি জানায়, এখন দ্রুত কাজ শুরু করতে চায় তারা।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু আশাবাদী, আগামী মৌসুম থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, 'আমরা আপাতত মাঠ তৈরিতেই জোর দিচ্ছি। দুটি মাঠ তৈরি হচ্ছে, যেখানে ১৮টি পিচ থাকবে, নেট অনুশীলনসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। অস্থায়ী ড্রেসিং রুম তৈরি করা হবে, যা পরে স্থায়ী করা হবে। আশা করছি, আগামী মৌসুম থেকেই এই দুই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করা যাবে। এতে দেশের মাঠের সংকট কিছুটা কমবে।'
ক্রীড়াঙ্গনেও অনেক স্থাপনার নাম ছিল বিগত সরকার প্রধানের পরিবারের নামে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্প্রতি ১৫০টি উপজেলা স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে ‘জাতীয় স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়।