আ.লীগ জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে, এমন সম্ভাবনা দেখি না: মান্না
-
-
|

আ.লীগ জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে, এমন সম্ভাবনা দেখি না: মান্না
আওয়ামী লীগ আবার ফিরে এসে রাজনীতি নিয়ে জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে, এমন সম্ভাবনা দেখি না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত সাড়ে সাত মাসে আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত সেন্টিমিটার অগ্রগতি করতে পারেনি। নতুন রাজনীতির বয়ান দিতে পারে নাই, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে নাই, জনগণ আবার তাদের প্রতি সহানুভূতি করতে পারে এরকম কোনো বক্তব্য দিতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মান্না বলেন, আমি সরাসরি কোনো বক্তব্য দিইনি। বলেছি যে একটা দলকে যে নিষিদ্ধ করা যাবে না, এরকম দলের এ পৃথিবীতে ভালো উদাহরণ আছে। আওয়ামী লীগ তো এত বড় কী অপরাধ করেছে?
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করে, আমি মনে করি করেছে। কিন্তু আমি তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। কারণ ওটা একটা পলিটিক্যাল প্রস্তাব। ওটার ইমপ্লিমেন্টেশন বৈধ সব দিক থেকে। তবে আমি যা দেখছি তা হচ্ছে সরকার, বিশেষ করে সরকার প্রধান যেরকম করে বলছেন, তিনি জনগণকে আহ্বান জানাবেন, বোঝাবেন। সিদ্ধান্তটা জনগণই নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি তাদের (আওয়ামী লীগের) নামে যত অপরাধ আছে তার বিচার দ্রুত করা উচিত। সাড়ে সাত মাসে বিচারকাজ এখনো শুরুই হয়নি। ঠিক হতে পারছে না। এটা বেদনার। যদি রেগুলার বিচার গুলোও শুরু হতো তাহলেও আমি মনে করি অনেক প্রশ্নের জবাব আপনা আপনিই আসতো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদের।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যা প্রায় ৭৫০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। পরবর্তীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য উত্থাপন করে।
তিনি উল্লেখ করেন, নাগরিক ঐক্য এ প্রস্তাবগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে মতামত প্রদান করেছে, যেখানে ১০৪টি সুপারিশের প্রতি একমত, ৫১টি সুপারিশের প্রতি অসম্মতি এবং ১১টি সুপারিশের প্রতি আংশিক সম্মতি জানানো হয়েছে। আমাদের মতে, ৯৩টি সংস্কার নির্বাচনের আগেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং ২২টি সংস্কার নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।
সভায় বলা হয়, সংস্কারের নামে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন— দেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ বিধান ও পদ্ধতি ইত্যাদি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।