সিলেটে ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে যুবদল নেতার চাঁদা দাবি
-
-
|

ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে যুবদল নেতার চাঁদা দাবি
সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড়ে এক ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২মার্চ) রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় নগরীর লালাদিঘীর পাড়ের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ফাহিমুল ইসলাম ফাহিমের বাসায় সিলেট মহানগর বিএনপির ১২ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমির আহমদ ও ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ও সিলেট জেলা যুবদলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমদ জুম্মানের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ যায়। কিন্তু ওই সময়ে ফাহিম বাসায় না থাকায় তারা বাসার কেয়ারটেকারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি প্রদান করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তারা বাসায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।এরপর রাতেই ব্যবসায়ী ফাহিমের স্ত্রী শামীমা আক্তার ইমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ফাহিমের স্ত্রী শামীমা আক্তার ইমা জানান, আমার বাসায় গতকাল কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আসে। আমার স্বামীকে না পেয়ে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আমার বাসার কেয়ারটেকারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও হুমকি প্রদান করে। একই সাথে তারা আমার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় আমার বাসা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।তাই আমি আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবিসহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বিকালে ভুক্তভোগীর বাসা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ অপকর্ম করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে সে যেই হোক এবং প্রশাসনকে অনুরোধ করবো দুস্কৃতিকারী ও সমাজ বিরোধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর বিএনপির ১২নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমির আহমদের মুঠোফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ও সিলেট জেলা যুবদলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমদ জুম্মান বলেন, আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম ফাহিমের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে। তার ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা ছিলো। কিন্তু ওই সময়ে তিনি বাসায় না থাকায় আমরা কেয়ারটেকারের কাছে মোবাইল নাম্বার দিয়ে চলে আসি। এখন শুনছি আমরা নাকি চাঁদা দাবি করেছি। সিসিটিভির ফুটেজ ও রেকর্ড শুনলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, লালাদিঘীর পার এলাকার এক বাসিন্দা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং ঘটনার পর পুলিশ সরেজমিনে ভুক্তভোগীর বাসা পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।