নির্বাচন যত দেরি হবে দেশ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে: আমির খসরু
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জ্বিনের আছর, ভূতের আছরের মতো অনেকের ওপর ক্ষমতার আছর হয়েছে। ক্ষমতার আছর তাদের পাগল করেছে। ক্ষমতার নেশা তাদের পেয়ে বসেছে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য তারা নানা পলিসি গ্রহণ করেছে। তাই দোসর আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। এতদিন আমরা এই কথার গুরুত্ব দেই নাই। যেখানে আমাদের বাধা দেওয়া হবে, সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে তা নিরপেক্ষ হবে না। এই দলকে বাদ দিলে দেশে অর্ধেক মানুষ নিয়ে নির্বাচন হবে। সেটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। শেখ হাসিনা প্রতিযোগী কমিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে সফল হয়নি। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমাদের দেশে যেই ক্ষমতায় আসে পাওয়ার ছাড়তে চায় না। ইলেকশন ম্যানুপুলেট করতে চায়। দেশবাসী ম্যানুপুলেট ইলেকশন মানবে না। তারা অর্ধেক মানুষকে নিয়ে নির্বাচন করে নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করবেন, দেশকে ধ্বংস করবেন, এটি দেশবাসী মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে দোসর বলে বার বার রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছে এবং চলছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা তৈরির চেষ্টা চলছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা জনসম্মুখে থাকুন। এসব পাঁয়তারা জীবন দিয়ে হলেও মোকাবিলা করতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বয়কট করেছিলাম। ২৭০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিল। সেটি নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হয়। এটি একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এরশাদকে স্বৈরাচার বলা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই নাই। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি সকল সরকার প্রধান স্বৈরাচার ছিলেন কম আর বেশি। সবাই জানে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম। আমাদের অবদান সবাই জানে। কিন্তু এখন আমাদের মিটিং মিছিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হচ্ছে। ইফতার মাহফিলে হামলা করা হচ্ছে। জনগণ যেন আমাদের ভুলে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ অকার্যকর হলে আমরা সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা করি। মানুষ ভাবে কেউ না দেখলে সেনাবাহিনী দেখবে। এখন তাদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে। এটি জনস্বার্থের অনুকূলে নয়।
মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও ঈফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অতিরিক্ত মহাসচিব মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, দলের মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেনসহ ৮ জেলার জাপা নেতাকর্মীরা।
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। যেখানে ৫ আগস্টের রক্তের দাগ শুকায় নায় সেখানে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ এদেশের মানুষ দিবে না।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে রওশন আরা জলিল উচ্চবিদ্যালয়ের হলরুমে ইফতার মাহফিলে তিনি এই কথা বলেন।
কায়েমী স্বার্তবাদীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর ফেরত আসবে না। কারণ আওয়ামী লীগ জন্ম থেকেই ফ্যাসিস্ট ছিল। কাজেই আওয়ামী লীগের জন্য আর মায়া কান্না করে কোন লাভ নেই। তাছাড়া রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই। কারণ শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগ কোনো সময় শোধরাবে না। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ৫ আগস্টের মত সকল মত ও পথকে একসাথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মেহেদীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি, সংগঠক জিহান মাহমুদ, আজিজুর রহমান, আউলাদ হোসেন জনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শাহজাহান, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে যারাই পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, যদি ক্যান্টনমেন্ট বা ভারত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পথ করে দিতে চায়, তবে তাদেরকেও প্রতিহত করা হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা কনভেনশন সেন্টারে লালবাগ থানা এনসিপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আওয়ামী দোসরমুক্ত করতে হবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থেকে যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান চব্বিশের আন্দোলনে স্বৈরাচারের সহযোগিতা করেছিল, তাদের মধ্যে থেকে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বরণে অনুষ্ঠিত এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এনসিপির কোতোয়ালি, বংশাল, লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: বার্তা২৪.কম
সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে রংপুর বিভাগ রিপোর্টার্স ফোরামের (আরডিআরএফ) ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধানকে সরানোর কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি। বরং এ নিয়ে এখন 'গুজব ছড়ানো হচ্ছে'। আমরা মনে করি এ অবস্থাও তৈরি হয়নি। এবং এ অবস্থা যাতে নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত তৈরি না হয়, সেটি আমরা প্রত্যাশা করি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে শ্রদ্ধার জায়গা, আমরা মনে করি সব সময়ে ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করি। আমরা মনে করি যে, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের সবার আস্থা এবং শ্রদ্ধাবোধ আছে। আমরা এটা হারাতেও চাই না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জায়গা থেকে, আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও যদি বলি, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধটি ছিল, এবং আমরা এটা রাখতে চাই। আমরা মনে করি অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা যেমন বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল, একইভাবে আগামীতে তারা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, যে ঘটনাটি সামগ্রিকভাবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, আমরা মনে করি বিষয়টি অনেকটি এমন নয়। এখানে জনগণের সাথে কিংবা জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সরাসরি সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে প্রশ্ন থাকে, মতামত থাকে আমরা সেটি করব এবং যৌক্তিক আলোচনা, সমালোচনা হবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা যারা অভ্যুত্থানের শক্তি ছিলাম এ বিষয়ে আমরা কখনোই মুখোমুখি দাঁড়াবো না।