ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রীর খোঁজখবর নিলেন নাহিদ ইসলাম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পাশে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পাশে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা জানতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি।

বিজ্ঞাপন

দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নাহিদ ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে উপপরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার এক ইউনিয়নে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (১৯) ও তার সহযোগী সিফাত মুন্সি (২০) পথরোধ করে তাকে সড়কের পাশে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এসময় তারা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে কলেজছাত্রী ঘটনাটি এক সহপাঠীকে জানান, যার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং দুমকি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বুধবার দুপুরে থানায় গিয়ে নিজেই অভিযোগ করেন, তবে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নেয়নি। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ মামলা গ্রহণ করে এবং অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি শহীদের মেয়ের প্রতি এমন বর্বর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কেন ভুক্তভোগীকে দীর্ঘ সময় থানায় বসিয়ে রাখা হলো এবং কেন মামলা নিতে এত বিলম্ব করা হলো।