আইআইইউসি'র কোটি টাকা আত্মসাত, কারাফটকে নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদক আরও আগেই মাঠে নামে। এবার তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার পর কারাবন্দী এই সাবেক সংসদ সদস্যকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সম্মেলন কক্ষে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ নদভীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।

দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, নেজামুদ্দিন নদভী আইআইইউসি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ও আরও কয়েকজন মিলে ওই ট্রাস্ট থেকে সম্মানীর নামে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান করছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে নদভী একটি বলয় তৈরি করেন। আইআইইউসি টাওয়ার থেকে সম্মানির নামে তিনি ১০ লাখ ৯ হাজার টাকা নিয়েছেন।

এছাড়া তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা চৌধুরী ৩ লাখ ৩৭ হাজার, প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মুহাম্মদ ৬ লাখ ৩০ হাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী ২ লাখ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ৪৫ হাজারসহ আরও ১৬ জন তিন বছরে ১০ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া নদভী গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৬৫ লাখ টাকা ঋণ, ছেলের বিদেশযাত্রা, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য অর্থ ব্যয় করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পর আদালত নদভীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দুদকের আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা জরুরি।