গুলশানে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুর্বৃত্তের গুলিতে ব্যবসায়ী নিহত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান থানাধীন পুলিশ প্লাজার সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে সুমন (৩৩) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে গুলশান এক এ শুটিং ক্লাবের সামনে রাস্তার উপর সুমনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলির করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন সুমনকে। গুলশান থানা সূত্রে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুমনকে গুলি করা দুর্বৃত্তের পরনে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট ছিল। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সুমনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, রাত ৯টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে। কারা কেন গুলি করেছে, কতজন ছিল তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার নেই।

জানা গেছে, নিহত সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন ইউনিয়নের সালাইপুরে। তার বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

সূত্র জানায়, রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একসময় ইন্টারনেট সংযোগের বড় ব্যবসায়ী ছিলেন সুমন। পরে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা হারান। স্থানীয় বিরোধী পক্ষের হুমকিতে ছাড়তে বাধ্য হন সুমন। তার পরও শেষ রক্ষা হলো না। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।

সুমনের স্ত্রী মৌসুমী মোবাইল ফোনে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আমি দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। এক পুলিশ ফোন করে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছে। কী হয়েছে বিস্তারিত জানি না।

তিনি বলেন, সুমন ইন্টারনেটের ব্যবসা করত। মহাখালী এলাকায় লাইন সংযোগ দিত। স্থানীয় বিরোধী পক্ষ সেখান থেকে অনেক হয়রানি করে সুমনকে বের করে দিয়েছে। ব্যবসা নিয়ে নিয়েছে তারা। সব লাইনও কেটে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার নানী টিবি হাসপাতালে চাকরি করত। আমরা হাসপাতালের ভেতরে কোয়াটারে থাকতাম। সেখানে থেকেই ব্যবসা করত সুমন। এখন সেখান থেকে চলে আসছি। পাশেই বাসা নিছি।