মাদারীপুরে অনিয়মের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদফতরে দুদকের অভিযান
-
-
|

মাদারীপুরে গণপূর্ত অধিদফতরে দুদকের অভিযান
মাদারীপুরে সরকারি বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলনসহ নানান অভিযোগে গণপূর্ত অধিদফতরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।
দুদকের তথ্যমতে, অতিরিক্ত ব্যয়ে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত ১০ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পায় দুদক। এছাড়া ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল নির্মাণ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদফতরের মাদারীপুরের অফিসে এই অভিযান চালানো হয়।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে বাৎসরিক মেরামত না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এমন কি গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের ঘনিষ্টজনদের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে এই দফতরের কাজ বাস্তবায়ন করে বিল তুলে নেয়।
এই অনিয়মের সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান, তৎকালীন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন (বর্তমানে মাদারীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে)। বিশেষ সুবিধা দিতে ঠিকাদারদের সঙ্গে জোগসাজশে কোটি কোটি ঘুষ গ্রহণ করেছেন এই দুই কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য যাছাই-বাছাই শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দুদক।
দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গণপূর্ত অধিদফতরে একাধিক অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদারীপুর দুদকের অফিসের ৭ সদস্যের টিম কাজ করে।
দুদকের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন, বেশ কয়েকটি গেইট নিম্নমানের মালামাল দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি সমন্বিত ১০ তলা ভবন ও ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এসব অভিযোগে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।