পটুয়াখালীর গলাচিপায় ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ও ফেয়ার কার্ড ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের অপসারণের দাবি জানান। পাশাপাশি নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারদের বাতিল করার আহ্বান জানান তারা।
বুধবার (১২ মার্চ) গলাচিপা উপজেলা সদরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ডিলার লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে।
এক ভুক্তভোগী আবেদনকারী, গলাচিপা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাইমুন হাসান পরশ বলেন, "আবেদন ফি এবং ফুট গ্র্যান্ড লাইসেন্স ভ্যাটসহ মোট টাকা নির্ধারিত ছিল ১,৬৯০ টাকা। কিন্তু ৩৩৬টি আবেদনের ক্ষেত্রে ৩,৫০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।"
গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তালেবের অভিযোগ, "ফুড অফিসের সাজিয়া বেগম আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আমার কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা নিয়েছেন এবং লাইসেন্স পেতে ৫০,০০০ টাকা দাবি করেছেন। আমি খাদ্য কর্মকর্তাকে ২০,০০০ টাকা দিয়েও লাইসেন্স পাইনি।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, "ডাকুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলা বাজারের ডিলার সাইদুল ইসলামের কোনো দোকান বা গুদাম নেই, তবুও তাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এটি স্পষ্ট অনিয়ম।"
তবে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সিকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ডিসি ও ইউএনওর নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ লেনদেনের কোনো বিষয় নেই।"
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, "সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই ডিলার নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে। যারা পায়নি, তারা বিভিন্ন কথা বলছে।"
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, "উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তবে ডিলার নিয়োগে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"