বরিশালে তরমুজের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

:: বরিশাল নগরীতে রমজান উপলক্ষে তরমুজের বিপুল সরবরাহ থাকলেও, খুচরা বাজারে মূল্য নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। পেশাদার ফল বিক্রেতাদের পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ও তরমুজ বিক্রি করছে, তবে সাপ্লাইয়ের পরেও দাম কমছে না।

গত কয়েকদিন ধরে তরমুজের আমদানি বেড়েছে, কিন্তু বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না বিক্রেতারা। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, আমদানির পরিমাণ ভালো হওয়া সত্ত্বেও দাম সুলভ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।

বিজ্ঞাপন

পোর্টরোডের আড়তদার শাকিল সিকদার জানান, মৌসুম শুরুর দিকে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি ছিল, তবে এখন দাম কমেছে। তবে এর মানে এই নয় যে, দাম অস্বাভাবিক। আকারভেদে তরমুজের দাম ১৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠছে। তবে খুচরা বাজারে কেজি দরে বিক্রির কারণে দাম কিছুটা বাড়ছে।

এদিকে, খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি দাম কম থাকলেও তারা বিভিন্ন অজুহাতে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সাগরদি হাউজিং এলাকার ফল বিক্রেতা এলায়েত শেখ বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কম হলে তবেই খুচরা বাজারে সস্তা বিক্রি করা সম্ভব, তবে এখন দাম বেশি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, কেজি দরে বিক্রির বিষয়টি ভুল বলেও তিনি দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

বাজারে তরমুজের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতা জালাল তালুকদার জানান, যে পরিমাণ তরমুজ বাজারে এসেছে, তাতে দাম কম হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ীরা ওজনের অনুমান করে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে দাম নিচ্ছেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। তিনি বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণেরও আহ্বান জানান।

বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারের সিজনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৪৯ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩% বেশি। সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়, যেখানে ২৭ হাজার ৪৯ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, তরমুজের বাজারে ভালো চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা আরো কার্যকর হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ক্রেতারা।