ছেঁউড়িয়ায় শুরু হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে শুরু হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে।

লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে বুধবার লালন একাডেমির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লালন স্মরণোৎসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বলেন, আগামীকাল বেলা তিনটায় লালন আখড়াবাড়িতে লালন একাডেমির মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মূল আখড়াবাড়ির ভেতরে সাধু–বাউলেরা অষ্টপ্রহরব্যাপী (এক দিন) রীতিনীতি মেনে তাঁদের আচার আচরণ করবেন। তবে এবারের স্মরণোৎসবে আখড়াবাড়ির পাশে কালী নদীর পাড়ে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে না।

বিজ্ঞাপন

বিকেলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।

ফকির লালন শাহ তাঁর জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রের দৌলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে অষ্টপ্রহরব্যাপী সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছেন ভক্ত-অনুসারীরা। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে লালন একাডেমি তিন দিনের আয়োজন করে আসছে। এবার রমজানের কারণে কালী নদীর পাড়ে গ্রামীণ মেলা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না।

বাউল সাধক ফকির হৃদয় সাঁই বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আখড়াবাড়ির ভেতরে সাধুসঙ্গ শুরু হবে। অষ্টপ্রহরব্যাপী সাধুসঙ্গ পরের দিন দুপুরে শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা সাধু–বাউলেরা তাঁদের রীতিনীতি মেনে আচার অনুষ্ঠান করবো। আমরা বাউল সাধকরা আমাদের মতো করে অষ্টপ্রহরব্যাপী সাধুসঙ্গে মিলিত হবো।

ঢাকার উত্তরা উত্তরখান থেকে এসেছেন সাধক আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, আমি ২১ বছর ধরে এই লালন ধামে আসি। আমার গুরু আব্দুর রাজ্জাক। তার হাত ধরেই হাঁটছি আমি এ পথে। লালনের এই ধাম বিশাল আকাশের মত। এখানে আসলে মনটা আমার বিশাল হয়ে যায়। মনে প্রশান্তি আনে। আবার এই অনুষ্ঠান শেষ হলে আবার আগামী অনুষ্ঠানে এখানে আসার জন্য মনটা উদগ্রীব হয়ে থাকবে।

এদিকে প্রতিবছর লালন একাডেমির উদ্যোগে দোল পূর্ণিমায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব উদযাপিত হয়। তবে এবার পবিত্র রমজান মাসের কারণে উৎসবের সময়সীমা কমিয়ে একদিন করা হয়েছে। ফলে, এবারের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা থাকছে না। ইতিমধ্যে বাউল সাধক, ফকির, ভক্ত ও অনুরাগীরা আখড়াবাড়ীতে আসন গেড়ে বসেছে।