সিলেটে তরুণীকে গণধর্ষণ: আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার এলাকা থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে টিলায় নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১২মার্চ) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লেগুনা চালক আব্দুর রহিম ও তার সহযোগী রকিব মিয়া। তারা দুজনেই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃত লেগুনা চালক আব্দুর রহিম শাহপরান থানার উত্তর মোকামেরগুল পীরেরবাজার এলাকার মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে ও দলইপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া।

পুলিশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে ওই তরুণীকে মাজার এলাকা থেকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে লেগুনা চালক ও তার সহযোগী তুলে নিয়ে যায় এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছড়াগাং রাবার বাগানের টিলার ওপর। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। লেগুনার নম্বরের সূত্র ধরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ও শাহপরাণ (রহ.) তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১০। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পুলিশ আরও জানায়, ভিকটিম গত তিনদিন আগে কাউকে কিছু না বলে সিলেট শহরে চলে আসেন। প্রথমে শাহজালাল (রহ.) মাজারে অবস্থান করার পর শাহপরাণ (রহ.) মাজারে যান। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ কিন্তু শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন।