বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পাবনা জেলার রূপপুরে অবস্থিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূল পরিদর্শন করতে বাংলাদেশে এসেছে ইন্টানন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’র (আইএইএ) একটি বিশেষজ্ঞ দল। জাতিসংঘের এই অঙ্গসংস্থা বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরমাণুর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের পাবনা জেলার রূপপুরে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তুাব দেয় রাশিয়া এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে। তারপর ২০১৭ সাল থেকে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়, শেষ হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। চলতি ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে এই কেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরুর কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উৎপাদন শুরু হলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক মো. জাহিদুল হাসান এএফপিকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত কি না, তা পর্যালোচনা করতে গত ৮ মার্চ রাতে রূপপুরে এসে পৌঁছান আইএইএ’র ১২ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ দল। ৯ মার্চ থেকে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের কাজও শুরু করেছেন। আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

“রূপপুর প্রকল্প গঠনগত, প্রযুক্তিগত এবং উপাদানগতভাবে আইএইএ’র নিরাপত্তা মানের শর্তগুলো পূর্ণ করেছি কি না— তা যাচাই করতে বাংলাদেশে এসেছেন বিশেজ্ঞরা। এটি তাদের পরিদর্শনের প্রথম পর্ব। আগামী ২ কিংবা ৩ মাস পর কেন্দ্রে পরমাণু জ্বালানি লোড করার পর তারা দ্বিতীয় দফায় পর্যবেক্ষণে আসবেন তারা,” এএফপিকে বলেন জাহিদুল।

তিনি আরও বলেন, “পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য ধাপে ধাপে পরীক্ষা করতে হয়। প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করার পরই পরবর্তী ধাপে যেতে হয়। আমরা ইউনিট-১ এর কাঠামোগত ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে এটি চালু করার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে যাচ্ছি এবং আইএইএ এটি পর্যবেক্ষণ করছে।”

মার্চের শেষ দিকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জাহিদুল।

প্রসঙ্গত, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পরমাণুশক্তিভিত্তিক কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার এবং এই অর্থের ৯০ ভাগ প্রদান করেছে রাশিয়া।