পটুয়াখালীতে ধর্ষণের প্রতিবাদ মশাল মিছিল
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরের সচেতন ছাত্র-যুব জনতার উদ্যোগে মানববন্ধন ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিক ও সংগঠক সাঈদ আল নোমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাঈদ আল নোমান বলেন, যুগের পর যুগ চলমান সমস্যাগুলোর সমাধানে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের এসিড নিক্ষেপের মতো জঘন্য অপরাধের দমন সম্ভব হয়েছে। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে এটি রোধ করেছিলেন।
বর্তমানে দেশে ধর্ষণের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। মাত্র ৮ বছরের শিশু আছিয়া নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতেই হবে। আগামী দিনে ‘নতুন বাংলাদেশে’ এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আছিয়ার পরিবারের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। একই সঙ্গে তিনি দমনমূলক আইনের যুগোপযোগী সংশোধন ও সংযোজনের আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে সাঈদ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, সহ-সভাপতি জেসমিনা খানম, খালেদা বোরহান, সায়মা হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত রাজ্জাক জিনিয়া, যুগ্ম সম্পাদক শামসুন নাহার, রোকসানা বেগম মাধু, জাহানারা বেগম, তাসলিমা আক্তার, ফাতেমা কাজল, পারভীন আক্তার ফারহানা, হাবিবা সুলতানা, পারভীন চৌধুরী, আয়েশা আক্তার সাঞ্জি প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার অপরাধ জগতের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, এলিফেন্ড রোড ও কলাবাগান এলাকার ত্রাশ এজাজ ওরফে হেজাজ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। সম্প্রতি এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় মূল হোতা হিসাবে এজাজ এর নাম এসেছিল।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি ৪৬ পদাতিক ব্রিগেড এর ২৩ ইস্ট বেঙ্গল পদাতিক ব্যাটেলিয়ানের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এজাজ দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে গত ১৫ই আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমন একসাথে জামিনে বের হয়।
জামিনে বের হবার পর থেকেই সন্ত্রাসী এজাজ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি এবং অপহরণ করে আসছিল। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই এজাজ উক্ত হামলার প্রধান হামলাকারী। এছাড়াও শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাং পরিচালনা করে এই এজাজ। এই এজাজ এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও অপহরণ এর ১২ থেকে ১৫ টি মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তার প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ সদস্যের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সদস্য ও অনুসারী রয়েছে।
উক্ত সন্ত্রাসীকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সেনা কর্মকর্তার জানান।
ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীর পলাশে ভাড়া অটোরিকশায় যাওয়া নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে সুমন মিয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন নিহতের বাবা আলম মিয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন মিয়া পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আলম মিয়ার ছেলে। আহত আলম মিয়াকে (৫৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে জয়নগর এলাকার হিমেল নামের এক যুবক ও তার সহযোগীরা একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ডাঙ্গা বাজারের দিকে যেতে চাইলে চালক যেতে রাজি হননি। পরে একই এলাকার মুকুল মিয়া নামের একজন তার অসুস্থ মাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে অনুরোধ করলে অটোচালক নিয়ে যেতে রাজি হন। এতে হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে অটোচালক ও মুকুলের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে মুকুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন হিমেল ও তার সহযোগীরা।
পরে রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুকুলের বাড়িতে যান হিমেল ও তার সহযোগীরা। মুকুল ঘর থেকে বের না হলেও ঘটনা দেখতে আসেন প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি আলম মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়া। এ সময় তাদেরকে মুকুলের লোকজন ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান হিমেল ও তার সহযোগীরা।
স্বজন ও স্থানীয়রা বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আলম মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পলাশ থানা পুলিশ। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।
ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের বিরুদ্ধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সিন্ডিকেট তৈরি করে ঘুষের বিনিময়ে শুদ্ধ ব্যতীত ব্যবসায়ীদের পণ্য ছাড় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর সত্যতা যাচাই করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৩ সদস্যের একটি দল সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অভিযান চালিয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দিনব্যাপী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের গঠিত ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি এ অভিযানে আসে। দলটি বিভিন্ন দফতরে অভিযান চালায় এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন; উপসহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন এবং অপর উপসহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান।
সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত কাস্টমস কার্যালয়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় এবং বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন নথি যাচাই-বাছাই ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।
তিনি বলেন, এ নিয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বন্দর ম্যানেজার মঈনুল ইসলাম জানান, দুদকের একটি দল তাদের কাছে বিগত বছরগুলোর পণ্য আমদানির বিভিন্ন তথ্য দেখতে চান এবং যাচাই-বাছাই করেন। পরে তারা কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।