গণধর্ষণের পর খুন হওয়া সুশান্তের ম্যানেজার দিশা মামলায় অভিযুক্ত আদিত্য ঠাকরে

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

(বাঁ দিকে) সুশান্ত সিংহ রাজপুত ও (মাঝে) তাঁর ম্যানেজার দিশা সালিয়ান মৃত্যু-মামলায় জড়িয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

(বাঁ দিকে) সুশান্ত সিংহ রাজপুত ও (মাঝে) তাঁর ম্যানেজার দিশা সালিয়ান মৃত্যু-মামলায় জড়িয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় ৫ বছর কেটে গেলেও উদ্ঘাটিত হয়নি অকালপ্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য। একই রকমভাবে রহস্যাবৃত রয়েছে তার ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু। এ বার নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন দিশার বাবা সতীশ সলিয়ান। জানা গিয়েছে, মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় নতুন করে তদন্ত চেয়ে বোম্বে হাই কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি।

সতীশের আইনজীবী নীতেশ ওঝা জানিয়েছেন, আপাতত পিটিশন দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কী আবেদন করা হচ্ছে হাই কোর্টে? নীতেশ জানিয়েছেন, নতুন করে হাই কোর্টের কাছে তারা আর্জি জানাচ্ছেন যাতে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং দিশার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে আজ ওরলির বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকার তার মানহানির চেষ্টা করছে। আদিত্যর কথায়, ‘গত পাঁচ বছর ধরেই আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। মামলা যদি আদালত অবধি গড়িয়ে থাকে, তবে যা কথা বলার তা আদালতেই বলব। দেশের উন্নয়নের জন্য আমার লড়াই জারি থাকবে।’

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন দিশা। মুম্বই পুলিশের দাবি, ২০২০ সালের ৮ জুন নিজের বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিল। কিন্তু দিশার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এখানেই উঠে আসে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নাম। অভিযোগ, তিনি নাকি সে রাতে এক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে ছিলেন দিশাও। ম্যানেজারের মৃত্যুর পর সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নীতেশ রানে দাবি করেন, সে সময় মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন আদিত্যর বাবা। তাই খুব সহজে ক্ষমতা প্রয়োগ করেই দিশা হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল এবং তা আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নীতেশের দাবি, ‘দিশা সালিয়ানকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আজও অভিযুক্তরা বিধান ভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের সময়, মুম্বই পুলিশ কমিশনারের উপর চাপ ছিল, ডিসিপিদের উপর চাপ ছিল।... দিশা স্যালিয়ান এবং সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় আমি মুম্বই পুলিশকে সমস্ত উপযুক্ত প্রমাণ দেব। আদিত্য ঠাকরে মামলায় মুম্বাই পুলিশও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছে।’