হঠাৎ কেন জেলের দিনগুলো নিয়ে সরব সালমান খান!

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউড মেগাস্টার সালমান খান

বলিউড মেগাস্টার সালমান খান

বলিউড মেগাস্টার সালমান খানকে নিয়ে তার অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। পর্দায় তার ছবি এলে মুহূর্তে ভরে যায় প্রেক্ষাগৃহ। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জানতে আগ্রহী অনেকেই। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আবার আইনি জটিলতায়ও জড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু এই সবকিছু নিয়ে সেভাবে কখনো কথা বলেননি এই বলিউড তারকা। কিন্তু এড়াতে পারলেন না নিজের ভাতিজা আরহান খানকে। কারাবাসের অভিজ্ঞতা নিয়েও আরহানের পডকাস্ট ‘ডাম্ব বিরিয়ানি’তে মুখ খুললেন সালমান।

কথা প্রসঙ্গে সালমান তার ভাইপোকে পরামর্শ দেন, কাজের বিষয়ে কখনো অজুহাত দিতে নেই। কাজের সময় বলতে নেই, ঘুমের প্রয়োজন। তিনি নিজে দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমান বলেও জানান সালমান। তা ছাড়া সারা দিনে কোনো কাজ না থাকলে সেই ফাঁকে ঘুমিয়ে নেন। কারাবাসেও ঘুম নিয়ে একই অভিজ্ঞতা তার।

বিজ্ঞাপন
বলিউড মেগাস্টার সালমান খান

পডকাস্টে সালমান বলেন, ‘আমি ক্লান্ত। কিন্তু সেটা বললে চলবে না। উঠে পড়তে হবে, যতই ক্লান্ত থাকো। ঘুমোতে পারছ না? ঘুমিও না। এমন পরিশ্রম করো, রাতে ঘুম আসতে বাধ্য হবে। আমি নিজে দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমাই। মাসে এক দিন সাত ঘণ্টা ঘুমাই।’

এরপর সালমান আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ-সাত মিনিট বিরতি পেলে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে নিই। কিছু ক্ষেত্রে আমার কিছু করার থাকে না। যেমন কারাবাসে থাকার সময় শুধুই ঘুমোতাম। তার কারণ, ঘুমানো ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। তাই পরিবার বা কাজের বিষয় এলে, কখনো হাল ছেড়ো না। লেগে থেকো। পরিবার ও বন্ধুদের পাশে সব সময়ে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন
বলিউড মেগাস্টার সালমান খান

১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণকায় হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই সময় দিন কয়েক জেলে কাটে অভিনেতার। এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় অভিনেতাকে।

কয়েক দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে, যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেন সালমানকে। জামিন মেলার আগে দিন কয়েক সংশোধনাগারে কাটিয়েছেন নায়ক। এই মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। এ ছাড়া সালমানের বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলাও ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।