অভিবাসীদের গ্র্যামি উৎসর্গ করলেন শাকিরা
-
-
|

‘লাস মুজেরাস ইয়া নো লোরান’ অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি জিতেছেন শাকিরা
গ্র্যামির ৬৭তম আসরে বিজয়ের হাসি হাসলেন পপ গায়িকা শাকিরাও। নিজের জন্মদিনেই গায়িকার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। চতুর্থবারের মতো জিতলেন গ্র্যামি।
এ বার ‘সেরা ল্যাটিন আমেরিকান অ্যালবাম’ শাখায় তিনি পুরস্কার পেয়েছেন তার ‘লাস মুজেরাস ইয়া নো লোরান’ অ্যালবামের জন্য। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আরেক বিশ্বনন্দিত সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী জেনিফার লোপেজ। সে সময় দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন শাকিরার দুই সন্তান মিলান এবং সাশা।
পুরস্কার হাতে নিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন গায়িকা। বক্তৃতার শুরুতে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর তার পাওয়া পুরস্কার অভিবাসীদের উৎসর্গ করেন শাকিরা।
অনেকেই জানেন, এ সময়ে আমেরিকার সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হলো ট্রাম্পের অভিবাসী আইন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে শুরু হয়েছে এ তৎপরতা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। ভিডিওতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় সেলেনাকে।
এবার গ্র্যামির মঞ্চে শাকিরা বললেন, ‘আমি আমার পুরস্কার অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি। তারা ভালোবাসার যোগ্য। তাদেরই এটা প্রাপ্য। আমি সবসময় তাদের লড়াইয়ের পাশে আছি।’
সেই সঙ্গে বিশ্বের প্রতিটি কর্মরত নারীর পরিশ্রমকেও কুর্নিশ জানান শাকিরা। পুরস্কার নেওয়ার পর স্টেজে পারফর্মও করেন লাস্যময়ী এই গায়িকা। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বাকরুদ্ধ দর্শকরা।
৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের সর্বোচ্চ ১১টি মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিশ্ব সঙ্গীতের মহাতারকা বিয়ন্সে। তাই সবার চোখ ছিল গায়িকার দিকেই। তবে মূল পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিয়ন্সেকে ছাড়িয়ে গেলেন কেনড্রিক লামার। এতে অবশ্য বিয়ন্সের রেকর্ড আটকায়নি। গতকাল রাতে (বাংলাদেশ সময় আজ সকাল) লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারেনায় বসেছিল ৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের আসর।
গত বছর আলোচনায় ছিলেন তরুণ গায়িকা চ্যাপেল রোন। গ্র্যামিতেও সেরা নবীন শিল্পী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সাবরিনা কার্পেন্টার বেস্ট পপ সোলো পারফরম্যান্স ও বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম শাখায় দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। আলোচিত সিঙ্গেল ‘ডাই উইথ আ স্মাইল’-এর জন্য বেস্ট পপ ডুয়ো অথবা গ্রুপ পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্স।
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ শাখায় গ্র্যামি পুরস্কার-
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার: ‘নট লাইক আস’, কেনড্রিক লামার
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: ‘কাউবয় কার্টার’, বিয়ন্সে
সং অব দ্য ইয়ার: ‘নট লাইক আস’, কেনড্রিক লামার
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট: চ্যাপেল রোন
বেস্ট পপ সলো পারফরম্যান্স: ‘এক্সপ্রেসো’, সাবরিনা কার্পেন্টার
বেস্ট পপ ডুয়ো অথবা গ্রুপ পারফরম্যান্স: ‘ডাই উইথ আ স্মাইল’, লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্স
বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম: ‘শর্ট অ্যান্ড সুইট’, সাবরিনা কার্পেন্টার
বেস্ট ড্যান্স অথবা ইলেকট্রনিক অ্যালবাম: ‘ব্রাট’, চার্লি এক্সসিএক্স
বেস্ট রক পারফরম্যান্স: ‘নাউ অ্যান্ড দেন’, দ্য বিটলস
বেস্ট রক সং: ‘ব্রোকেন ম্যান’, অ্যানি ক্লার্ক
বেস্ট রক অ্যালবাম: ‘হ্যাকনে ডায়মন্ডস’, দ্য রোলিং স্টোন
বেস্ট আর এন্ড বি অ্যালবাম: ‘১১.১১ ডিলাক্স’, ক্রিস ব্রাউন
বেস্ট র্যাপ পারফরমেন্স: ‘নট লাইক আস’, কেনড্রিক লামার।