‘সুড়ঙ্গ’ ফিরিয়ে দিলেও রাফীর নতুন কাজে জাহিদ
ছোটপর্দার প্রভাবশালী অভিনেতা জাহিদ হাসান। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, “সুড়ঙ্গ’ ছবিতে নির্মাতা রায়হান রাফী আমাকে একটি চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু কাজটা করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ওর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল, আমাকে পছন্দ করে। আমাদের দেশের একটা ছেলে যখন ভালো করে, প্রশংসিত হয়, আমাকে প্রস্তাব দেওয়া ওই চরিত্রটা আমার ভালো নাই বা লাগতে পারে, কিন্তু ওর কাজ তো ভালো। এই ভালোটাই আমরা অনেক ক্ষেত্রে বলি না।’
তখন ‘সুড়ঙ্গ’ ছবিটি ফিরিয়ে দিলেও এবার রাফীর নতুন কাজে ঠিকই যুক্ত হয়েছেন এই তারকা অভিনেতা। এছাড়া আরেক মেধাবী নির্মাতা তানিম নূরের সঙ্গেও ওটিটিতে কাজের কথা হয়েছে।
নাটকে এখন নিয়মিত নন জাহিদ হাসান। এখনকার নাটকের গল্প খুব একটা পছন্দসই নয়, তাই এমন সিদ্ধান্ত। খুব বেছে বেছে দু একটা কাজ করেন। তবে এখন থেকে ওটিটিতে তাকে নিয়মিত দেখা যাবে বলে জানালেন এই তারকা।
কারণ হিসেবে জানালেন, বেশ যত্ন ও আন্তরিকতা নিয়ে ওটিটির কাজগুলো হয়। সময় নিয়ে এসব কাজ করার কারণে, মানের ক্ষেত্রেও খুব একটা আপস করে না পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। শিগগিরই ওটিটির দুই পরিচালকের তিনটি নতুন কাজ শুরু করছেন। এর মধ্যে দুটি ওয়েব সিরিজ ও একটি ওয়েব ফিল্ম। এরই মধ্যে দুই পরিচালকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে।
মাস থেকে কাজ শুরু হবে বলে জানালেন জাহিদ হাসান। রায়হান রাফীর দুটি এবং তানিম নূরের একটি কাজ। জাহিদ হাসান বললেন, ‘এখন তো টিভি নাটক আর করছি না। ওটিটিতে তাই মনোযোগী হচ্ছি।’
তিনটি কাজের মধ্যে রায়হান রাফীর ‘পালাবি কোথায়’-এর নাম বললেও বাকি দুটির নাম এখনই বলেননি। জানালেন, সম্ভাব্য নাম বদল হতে পারে। জানা গেছে, দুই পরিচালক রায়হান রাফী ও তানিম নূরের সঙ্গে প্রথমবার কাজ হতে যাচ্ছে। তবে এও জাহিদ জানালেন, দুই পরিচালকের সঙ্গে এর আগেও কাজের আলাপ হয়েছিল।
নব্বই-এর দশক থেকে টানা জনপ্রিয়তা ধরে রেখে কাজ করা প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান বলেন, ‘অভিনয়ের শুরুতে ধৈর্য না ধরলে পথ পেরোনো সহজ হতো না। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হওয়ার পরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে অভিনয়ের প্রেমে পড়ি। মঞ্চে অভিনয় শিখতে ঢাকায় আসি। ঢাকায় এসে পরিচিত অনেকের সহায়তা পাইনি। খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন পার করেছি। এমন সময়ও গেছে, ভালো জামাকাপড় পরতে পারিনি। এগুলো আমাকে এগিয়ে চলার প্রেরণা দিয়েছে। অচেনা পথে হেঁটে সফল হয়েছি। জীবনকে নিজের মতো করে সাজিয়েছি।’