মিস ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের প্রার্থী নীলা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন শাম্মি ইসলাম নীলার

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন শাম্মি ইসলাম নীলার

করোনার কারণে তিন বছর বিরতির পর আবার অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আয়োজন। জাঁকজমকপূর্ণভাবে মুন্সীগঞ্জের মানা বে ওয়াটার পার্কে সদ্য বসে এই প্রতিযোগিতার নতুন সিজনের চূড়ান্ত আসর। বিজয়ীর মুকুট জেতেন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও টিকটকার শাম্মি ইসলাম নীলা।

এ আসরে ২০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে পাঁচ বিচারক তাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’ হিসেবে নির্বাচন করেন। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন যথাক্রমে আকলিমা আতিকা কণিকা ও শাকিরা তামান্না।

বিজ্ঞাপন

বিজয়ীর মুকুট জেতা শাম্মি ইসলাম নীলা মিস ওয়ার্ল্ডের ৭১তম আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবারের মূল আয়োজনটি হবে পাশের দেশ ভারতে। এই আসরে যোগ দিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাবেন নীলাসহ বিভিন্ন দেশের বিজয়ী সুন্দরীরা। আগামী ৯ মার্চ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৩’ প্রতিযোগিতা।

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-এর মুকুট মাথায় শাম্মি ইসলাম নীলার 

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন শাম্মি ইসলাম নীলার জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী নীলা বড়। রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশোনা করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছা ছিল ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। তিন বছর ধরে মডেলিং করছেন নীলা। ফ্যাশন আর বিউটি নিয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারও কম নয়। বিশেষ করে টিকটকে তার কয়েকটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

যদিও নীলার মাথায় মুকুট ওঠায় অনেকে সমালোচনাও করছেন। অনেকে বলছেন, এখন থেকে কি টিকটকাররা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে? তবে নিজের কাজ ও যোগ্যতা দিয়ে সেসব কথার জবাব দিতে চান নীলা। গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে মডেলিং ও অভিনয় করতে চান। পাশাপাশি প্রাণীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন তিনি।

মিস ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইটে ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৩’-এর প্রতিযোগীর তালিকায় বাংলাদেশের নীলা

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’র আয়োজক প্রতিষ্ঠান এরিস্টক্রাট ইভেন্টসের ডিরেক্টর রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘এবারের আসরের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিযোগিরা রেজিস্ট্রেশন শুরু করেন। প্রায় তিন হাজার প্রতিযোগী নাম লেখান এই প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে ৫শ’ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়। দ্বিতীয় দফা বাছাইয়ে বাদ পড়েন আরও ২০০ জন প্রতিযোগী। তাঁদের ঢাকায় এনে অডিশন নেওয়া হয়। পরে ৩শ’ থেকে বাছাই করা ২০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে মানা বে-তে শুরু হয় ক্যাম্প। তার পরই ২৮ জানুয়ারি বসে গ্র্যান্ড ফিনালের আসর।’

এবারের গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য অভিনেতা আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ, বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান, পরিচালক রায়হান রাফি ও ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম রাফ।