করোনাভাইরাস মহামারি এবার থাবা বসিয়েছে সুন্দরী প্রতিযোগীতার আসরে। ‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০২১’র প্রতিযোগী ও কর্মীসহ ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা।
‘মিস ওয়ার্ল্ড’ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিযোগী, কর্মী, ক্রু ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার স্বার্থে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২১ সাময়িক ভাবে পুয়ের্তো রিকোর ফাইনাল পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে যখন একাধিক করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়, তখন কথা বলা হয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। সেই আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়ার। তবে এই ক’দিনে আক্রান্তরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারবেন কী না, তা নিয়ে একটি সংশয় তৈরি হয়েছে।
মিস ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের সিইও জুলিয়া মর্লে জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিযোগীদের জন্য অপেক্ষা করছি। কোভিডের ভ্রুকুটি কেটে গেলেই ফের আয়োজিত হবে প্রতিযোগিতা।”
বিজ্ঞাপন
এ বছর পুয়ের্তো রিকোতে হওয়ার কথা ছিল ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২১’র চূড়ান্ত পর্ব। তাছাড়া আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২১’ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
জুলাই বিপ্লবের পর দেশের সর্বক্ষেত্রেই সংস্কারের হাওয়া লেগেছে। ফলে পুরনো পদ-পদবীর বদল হচ্ছে। একইভাবে এবার গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের নতুন কমিটি গঠিত হলো।
২০২৪-২৬ মেয়াদী কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন জনপ্রিয় গীতিকার আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গায়ক-গীতিকবি জয় শাহরিয়ার।
রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যান্ডতারকা নকীব খান। নির্বাচনের অপর দুই নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সঙ্গীতপরিচালক ফুয়াদ নাসের বাবু ও প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পী খান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকীউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সীরাজুম মুনির, অর্থ সম্পাদক এনামুল কবির সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকী আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আপন আহসান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তুষার হাসান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য- আশরাফ বাবু, আশফাকুল বারী রুমন, অধরা জাহান, রবিউল আওয়াল ও তালহা বিন পারভেজ।
চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন ও গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের যৌথ প্রকাশনায় প্রকাশিত ‘সংঘজনের গীতিকবিতা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই গ্রন্থে দেশের খ্যাতিমান গীতিকবি থেকে নবীন ১২৯ জন গীতিকবির সংক্ষিপ্ত জীবনী, ছবি, প্রত্যেকের সেরা ১০টি গানের তালিকা ও ১টি করে পূর্ণাঙ্গ গানের গীতিকবিতা সন্নিবেশিত রয়েছে। ‘সংঘজনের গীতিকবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন নকীব খান, ফোয়াদ নাসের বাবু, শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, লিটন অধিকারী রিন্টু, মিলন খান, গোলাম মোর্শেদ, নাসির আহমেদ, সালাউদ্দিন সজল, আসিফ ইকবাল, মিল্টন খন্দকার এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রধান সম্পাদক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেন সহ উপস্থিত বরেণ্য গীতিকবিগণ।
চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদেরকে শপথ পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। শপথের পর দায়িত্ব হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠানের সব শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ সময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তরুণ মুনশী, অটমনাল মুন, আশফাকুল বারী রুমন, জয় শাহরিয়ার, নাহিদ হাসান ও প্রিন্স রুবেল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গীতিকবিদের সংগঠন হিসেবে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
বিশ্বখ্যাত পপ তারকা ডুয়া লিপা প্রতিবেশী দেশ ভারতের মায়ানগরী মুম্বাইয়ে পা রেখেছেন। আজ তিনি রাতে মুম্বাইয়ের এমএমআরডিএ, বিকে সি-তে অনুষ্ঠিত জোমাতো ফিডিং ইন্ডিয়া কনসার্টে অংশ নেবেন তিনি।
এবার মুম্বাই বিমানবন্দরে ডুয়া লিপাকে দেখা যায় একটি হলুদ টি-শার্ট এবং ব্যাগি প্যান্টে। পাপারাজ্জি ক্যামেরায় বন্দি করেছেন তার গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত। এ সময় কেউ কেউ মজার ছলে বলছিলেন, ‘ডুয়া.. ডুয়া..দুয়া মে ইয়াদ রাখনা।’ বলিউডের জনপ্রিয় একটি গানের লাইন এটি। ফলে ডুয়া লিপার নামের সঙ্গে মিল রেখেই ভক্ত-পাপারাজ্জিরা গানটি গেয়ে উঠলেন, সেই মুহূর্তটি বেশ মজার ছিল।
এর আগে ডুয়া লিপা তার মুম্বাই কনসার্টের ঘোষণায় একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে বলেছিলেন, ‘ভারত, আমি আবার আসছি! বছরের শুরুতে ভারতে আমার সফর আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল যে, আমি এই দেশটিকে কতটা ভালোবাসি। এখানকার মানুষজনের উষ্ণতা ও শক্তি অসাধারণ। আমি আবারও এখানে এসে পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছি। দেখা হবে নভেম্বরে!’
এর আগে, ডুয়া লিপা তার পরিবারের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন। তিনি দিল্লি এবং রাজস্থান ঘুরে দেখেছিলেন। সেই সফরের স্মৃতি তুলে ধরে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, ‘বছর শেষে ভারতে থাকতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এখানকার মানুষদের ভালোবাসা, উদারতা, আতিথেয়তা এবং সৌজন্যতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পরিবারসহ এখানে ঘুরে, নিজেকে পুনর্গঠন ও প্রস্তুত করার সুযোগ পেয়েছি। নতুন বছরের জন্য এখন পুরোপুরি রিচার্জড! কী দারুণ অনুভূতি!!!’
মুম্বাইয়ের আজকের কনসার্টে ডুয়া লিপার পাশাপাশি ভারতের শীর্ষস্থানীয় কিছু জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকাও পারফর্ম কোর কথা রয়েছে।
গত চার বছরের প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে চলেছেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা। আগামী ৪ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এই জুটি। তার আগেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গতকাল (২৯ নভেম্বর) থেকে।
এদিন একেবারে দক্ষিণী রীতি অনুযায়ী গায়ে হলুদ সারলেন এই জুটি। হয়েছে মঙ্গলস্নানও। জুটির বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। একটি ছবিতে দেখা যায়, পাশাপাশি বসে নিয়ম পালন করছেন শোভিতা ও নাগা। লাল শাড়ি আর সাবেকি গহনা পরেছেন শোভিতা। অন্যদিকে পাজামা-পাঞ্জাবিতে সেজেছেন নাগা চৈতন্য। তাদের চারপাশে পরিবারের সদস্যরা।
অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, নাগা চৈতন্য-শোভিতার শরীরে ফুলের বৃষ্টি। অন্য একটি ছবিতে শাড়িতে দেখা যায় শোভিতাকে। বড় একটি পাত্রের মধ্যে বসে আছেন তিনি। পরিবারের লোকজন ফুল আর পানি ঢালছেন তার ওপর।
এ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “নাগা চৈতন্য-শোভিতার গায়েহলুদ।” তা ছাড়াও এসব স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নাগা চৈতন্যর বিয়ের নজরকাড়া এসব মুহূর্ত দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
আগামী ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে বিয়ে করবেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা। পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে বসবে বিয়ের আসর। সেখানে বিশেষভাবে তৈরি করা হবে মণ্ডপ। আর সেখানেই বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে অনুষ্ঠান সভাস্থলের খবর প্রকাশ্যে এলেও কারা নিমন্ত্রিত, কেমন আয়োজন, তার কিছুই জানা যায়নি এখনও।
নাগা-শোভিতার বিয়ের দিন-তারিখ নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগে তাদের বিয়ের কার্ড অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। তাতেও বিয়ের দিন ৪ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি নাগা কিংবা শোভিতা।
নন্দিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোভিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য। বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হলেও কখনো মুখ খুলেননি তারা। গুঞ্জন মাথায় নিয়েই গত ৮ আগস্ট এ জুটি বাগদান সারেন।
অভিনয়ে ২৫ বছর হয়ে গেলো গুণী অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দার। গতকাল বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অভিনীত সিনেমা ‘ভয়াল’। দুটি প্রচার চলতি ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করছেন। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-
২৫ বছরের অভিনয়জীবন, এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
প্রত্যেকের জীবনেই তো অপ্রাপ্তি থাকে। আমিও এর বাইরে নই। যখন নাটকে অভিনয় শুরু করলাম তখন থেকেই নিয়মিত চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেতাম। কিন্তু চলচ্চিত্রে তখন সময়টা একটু অস্থির ছিল। তার পরও নির্মাতারা বলতেন, আমার পছন্দ মতো চরিত্র দেবেন, গল্প নির্বাচন করবেন। তবে ভয়ে তাদের কথায় সায় দিতাম না। এখন মনে হয়, তখন যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতাম আজ আমার অবস্থানটা আরো ওপরে হতো। তবে একেবারেই যে প্রাপ্তি নেই তা তো নয়। এখনো ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকের বাসন্তী বৌদি বলে ডাকে মানুষ। এই যে একটা চরিত্র এত দিন ধরে মানুষ মনে রেখেছে, এটাই বা কজনের ভাগ্যে জোটে। যেখানে মা হওয়ার পর মানুষ কাজ কমিয়ে দেয়, সেখানে আমি আরো বেশি কাজ করেছি। এটাও তো বড় পাওয়া। সবচেয়ে তৃপ্তি লাগে যখন ভাবি টাপুর আর টুপুরের কথা। ওরা পর্দায় হাজির হচ্ছে, মানুষ ওদের অভিনয় দেখে খুশি হচ্ছে—এটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।
‘ভয়াল’ গতকাল মুক্তি পেলো। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
গতকাল হলে গিয়ে ছবিটি দেখেছি। তখন দর্শকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। শো শেষে অনেকেই বলেছেন যে, ছবিটি ভালো লেগেছে। এই ছবিতে পরিচালক বিপ্লব হায়দার আমাকে অন্য রকম একটা চরিত্র দিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করেছি চরিত্রটিকে প্রপার রূপ দিতে। সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লেগেছে।
এটা আমাদের দেশে ইতিহাস। চার বছর ধরে নাটকটি করছি আমরা। যে মেয়েটি মূল চরিত্রে অভিনয় করছে চার বছর আগে সে ছোট ছিল। এখন অনেকটা বড় হয়েছে। চেহারায়ও পরিবর্তন এসেছে। তার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পর্দার চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে। আমার চরিত্রটির নাম রুনা খান। যে প্রথমে ছিল গৃহিণী, এরপর চাকরিজীবী, পরে সাংবাদিক ও উকিল হয়েছে। এই যে চরিত্রের বাঁক পরিবর্তন সেটা কিন্তু দর্শক পছন্দ করছে। নইলে তো এত দিন নাটকটি প্রচারিত হতো না। আমি নাট্যকারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সেই সঙ্গে নির্মাতা সাজ্জাদ সুমনও বাহবা পাবেন। তিনি নাটকের চরিত্রগুলোর জন্য সঠিক শিল্পী নির্বাচন করেছেন। আমরা যে কজন এই নাটকে অভিনয় করছি, প্রত্যেকেরই নাটকটির প্রতি ভালোবাসা আছে। সে কারণেই এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবশেষে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা নাটকটি এখনো ভালোবেসে দেখছেন।
নাটকটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী?
প্রথমত গল্পের প্লট ও নাম। দর্শকদের আকৃষ্ট করতে এটা খুব প্রয়োজন। এরপর অভিনয় শিল্পীদের পারফরম। এখানে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। এরপর বলতে হবে চিত্রনাট্যকারদের কথা। তাঁরা প্রতিটি পর্বেই দর্শকদের জন্য টুইস্ট রাখতে পেরেছেন। ফলে পরের পর্ব দেখার জন্য দর্শক আগ্রহ নিয়ে থাকেন।
আগের ও এখনকার ধারাবাহিক নাটকে কোন পার্থক্য চোখে পড়ে?
এটা বলতে গেলে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের ধারাবাহিকগুলোর প্রসঙ্গ টানতে হয়। তখনকার ধারাবাহিক মানেই আউটডোরের একটা ব্যাপার ছিল। ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকটির শুটিং করেছিলাম পুবাইলের একদম নতুন একটা স্পটে। সেখানে পৌঁছাতে হতো কিছুটা পায়ে হেঁটে আবার কিছুটা নৌকায় করে। আমরা বড় একটা লট একবারে শুটিং করতাম। বাজেটও থাকত অনেক। তখন লাভলু ভাই প্রধান প্রধাণ চরিত্রগুলোর জন্য আলাদা করে ইন্টারভিউ নিতেন। এমনও হয়েছে, চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হয়নি বলে বড় বড় অভিনেতারাও বাদ পড়তেন। তখন দুপুরে লাঞ্চের পরে লাভলু ভাই এক ঘণ্টা করে বিশ্রামের সুযোগ দিতেন। এখন কি এসব কল্পনা করা যায়? এখন তো বাজেটই থাকে না। তার ওপর আগের যেমন মাটি ও মানুষের গল্প নিয়ে নাটক হতো এখন তো সেটাও হয় না। এখনকার গল্প অনেক ফার্স্ট। বলতে পারেন প্রাণ নেই। এখনকার নির্মাতাদের শুটিং করার আগেই মাথায় থাকে, নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। টাকার চিন্তা মাথায় থাকলে ক্রিয়েটিভিটি আসবে কোথা থেকে, বলেন? এই সময়ে লাভলু ভাইও কিন্তু নির্মাণ করছেন। সত্যি বলতে, তিনিও কিন্তু আগের সেই ধারায় নির্মাণ করতে পারছেন না। দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম, ইন্টারভিউ নিয়ে চরিত্র নির্বাচন—কিছুই তিনি করতে পারছেন না আগের মতো। কারণ একমাত্র বাজেট।
আপনার যমজ কন্যা টাপুর-টুপুরও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে...
ওরা কিন্তু নিয়মিত অভিনয় করে না। ভারতের দার্জিলিংয়ে পড়াশোনা করছে দুজন। যখন ছুটিতে দেশে আসে শুধু তখনই দু-একটা কাজ করে। সৌভাগ্যবশত ওদের প্রতিটি কাজই ক্লিক করেছে। দর্শক পছন্দ করেছে। আসলে আমি আর ওদের বাবা সতীর্থ রহমান ওদের স্ক্রিপ্টগুলো নির্বাচন করি। ওরা দার্জিলিং থাকা অবস্থায় অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট জমা পড়ে আমাদের কাছে। সেখান থেকে বাছাই করে ওদের ছুটি অনুযায়ী শিডিউল তৈরি করি। ওরা দেশে এসে আগে আমাদের সঙ্গে স্ক্রিপ্টগুলো নিয়ে আলোচনা করে। তারপর শুটিং করে। মা হিসেবে বলব না, দর্শক হিসেবে আমি ওদের অভিনয়ের ভক্ত। পর্দায় ওদের পারফরম দেখে খুব তৃপ্তি পাই।