ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে এবং নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাবি শাখার ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মৌন মিছিল বের করে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিবহণ চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচিটি শেষ করেন তারা৷
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাবি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। মৌন মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মার্কেটিং ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনা দেখতে চাই না। গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার সরকার কোন ধর্ষণের ঘটনার বিচার করেনি যার ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল ফলে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আমরা চাই, আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদ থাকুক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করুন এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
'পতিত স্বৈরাচারের বিচারহীনতার সংস্কৃতি বর্তমানেও অব্যাহত থাকাকে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ' উল্লেখ করে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, পতিত স্বৈরাচার যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি রেখে গেছে তা এখনো অব্যাহত আছে, তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের মা-বোনরা ধর্ষিত হচ্ছে।
আমরা এই ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে সকল কুলাঙ্গারা এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ সবসময় জারি থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলে দিতে চাই অবিলম্বে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে তাহলেই আমাদের মা-বোনরা নিরাপদ থাকবে৷