রাজনৈতিক সংলাপের পূর্বেই যেসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সংলাপ শুরুর আগেই ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ১১১ দফা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সংস্কার প্রস্তাবের অন্য সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংস্কারে ১১১ দফা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ বৈঠক হবে। অন্য দলগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে আলোচনায় বসবে কমিশন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, যে কাজগুলো রাজনৈতিক দলের মতামত ছাড়াই অল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের প্রস্তুতির জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ২৮ দফা, দুদক সংস্কারের ৪৩ দফা, জনপ্রশাসন সংস্কারের ১৮ দফা, পুলিশ সংস্কারের ১৩ দফা এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯ দফা সুপারিশ রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ১১ সংস্কার কমিশনের মধ্যে ছয়টির সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১১১ সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সুপারিশমালা বাস্তবায়নের কৌশল ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো তা ফের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেবে।
সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া ছয় কমিশনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শুধু যেসব বিষয় আশু বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো চূড়ান্ত করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।