সঠিক জীবনসঙ্গীর সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনসঙ্গী / ছবি: পিক্সাবে

জীবনসঙ্গী / ছবি: পিক্সাবে

আমাদের আশেপাশে থাকা মানুষগুলো প্রতিনিয়ত নানাভাবে আমাদের প্রভাবিত করে। বিশেষ করে, যেকোনো কারো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে নাকি অবনতি, তার অনেকাংশ নির্ভর করে তার পার্শ্ববর্তী মানুষের ব্যবহার এবং কর্মকাণ্ডে। তাই সবসময়ই সঙ্গ নির্ধারণের আগে বিবেচনা করা উচিত, সেই মানুষগুলোর সঙ্গে মানসিকতা মিলছে কিনা

আমরা যেসব মানুষদের বিশ্বাস করি বা আমাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। সেজন্যই যখন জীবনসঙ্গী বাছাই করবেন অবশ্যই বিবেচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আপনার মনের সাথে মানসিক অবস্থাও আমলে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে বেশ প্রচলিত সংজ্ঞা হলো, রেডফ্ল্যাগ আর গ্রিনফ্ল্যাগ। সাধারণত যারা ব্যক্তিগতভাবে মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলা মানুষকে রেডফ্ল্যাগ বলা হয়। আর ঠিক এর বিপরীত যারা, তারাই গ্রিনফ্ল্যাগ। যদিও এটা একেবারেই আপেক্ষিক ব্যাপার; তবুও ব্যক্তিগত পছন্দ সাপেক্ষে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কে আপনার ক্ষেত্রে রেডফ্ল্যাগ আর কোন ব্যক্তি গ্রিনফ্ল্যাগ। কখনোই আবেগের বশীভূত হয়ে রেডফ্ল্যাগের মানুষদের বাছাই করা উচিত নয়। তবে, কীভাবে বুঝবেন এই দুইরকম ব্যক্তিদের পার্থক্য? একজন সঠিক সঙ্গীর যেসব বৈশিষ্ট্য থাকবে, তা সম্পর্কে বিশদ জানানো হলো-

কথার প্রতি মনোযোগ: আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য  ইতিবাচক ব্যক্তিরা সর্বদা আপনার অনুভূতি এবং মনের কথাকে গুরুত্ব দেয়। আপনার আবেগকে অসঙ্গতিপূর্ণ বা অতিরিক্ত অযাচিত উপদেশ দেওয়ার চেয়ে, আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাকে বেশি গুরুত্ব দেবে। তাদের কথার মাধ্যমে আপনাকে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করানোর চেষ্টা করবে এবং আপনার যেন কোনো অসুবিধা বা কষ্ট না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবে।

বিজ্ঞাপন
সুখী দম্পতি / ছবি: পিক্সাবে

সমালোচনা করা: সকলের জীবনের যাত্রাতেই ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা থাকে। মানুষের অনেক অভিজ্ঞতা তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে। মাঝে মাঝে আমরা জীবনে এমন ধাক্কা খাই, যা একদম অন্য এক মানুষ বানিয়ে ফেলে আমাদের। তবে সঠিক ব্যক্তি কখনোই আপনাকে আপনার জীবনের ঘটনার ভিত্তিতে বিচার করবে না। আপনার প্রকৃত সত্ত্বাকে তারা অনুধাবন করার চেষ্টা করবে। আপনাকে নিয়ে সমালোচনা না করে, আপনার মধ্যে ভালো পরিবর্তনগুলো আনতে অনুপ্রাণিত করবে। তাদের আশেপাশে আপনি নিরাপদ এবং নিজের মতো করে চলার স্বস্তিবোধ করতে পারবেন।

নিজস্বতার প্রতি সম্মান: জীবনে একসাথে পথ চলতে হলে নানারকম চড়াই-উতরাই একত্রে পার করতে হয়। বিশেষ করে জীবনসঙ্গী যারা, তাদের মধ্যে সাধারণত গোপনীয় তেমন কিছু থাকে না। তবুও প্রতিটি ব্যক্তিরই একান্ত নিজস্বতা থাকে। আপনি যখন একান্তে শুধু নিজের জন্য কিছু করতে চাইবেন, কিছুটা সময় একদম একা কাটাতে চাইবেন অথবা যে জিনিসগুলো একান্ত নিজের করে রাখতে চাইবেন, তাতে গ্রিনফ্ল্যাগ ব্যক্তি কখনোই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে না। তাছাড়া আপনার মন খারাপ হয় বা আপনি কষ্ট পান এমন বিষয়বস্তু সবসময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।

অনুপ্রেরণা দেওয়া: যারা আপনার সত্যিই ভালো চায়, তারা সবসময় আপনার ছোট-বড় সব ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে। কোনো সফলতাকেই তারা ছোট করবেনা। বরং আপনাকে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং যে কাজগুলো প্রকৃত অর্থে আপনাকে আনন্দ দেয় সেই কাজগুলো করতেই অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করবে।

ঝগড়ার সময়ও হিতাহিত জ্ঞান রাখা: যেকোনো সম্পর্কেই কোনো বিষয় নিয়ে দ্বিমত হতেই পারে। সাধারণত রাগের মাথায় বেশিরভাগ মানুষ নিজের ভুল অনুধাবন করতে পারে না। তাই কেবল অপরপক্ষের মানুষকে দোষারোপ করতে থাকে। গ্রিনফ্ল্যাগ ব্যক্তিরা কখনো রাগের মাথায় আপনার মনে ইচ্ছে করে কষ্ট দিয়ে কথা বলবে না। তাদের মূল লক্ষ্য থাকে সমস্যাটা বড় ঝগড়া তৈরি করার আগেই দ্রুত সমাধান করা।     

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস