আজ একটি নতুন দিন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদে হারামে দোয়া করছেন এক মুসল্লি, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারামে দোয়া করছেন এক মুসল্লি, ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে চলছে পবিত্র রমজান মাস। বাংলাদেশে আজ প্রথম রোজা। নতুন আরবি মাসের প্রথম দিন, একটি নতুন দিন। বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে নতুন আবহ।

আপনি, আমি অথবা অন্য কেউ গতকালের মতো আর নেই। রোজার শুরুর দিনে এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করুন যে, আজকের দিনটি গতকালের চেয়ে ভালো যাচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় ভালোভাবেই শেষ হবে। এটা আশার বাণী এবং সামনের দিকে তাকানোর কথা। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার জন্য যে নতুন সুযোগের পরিকল্পনা করেছেন তার সন্ধান করুন।

বিজ্ঞাপন

আপনি হয়তো সব ঠিকঠাক করছেন, কিন্তু ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন না। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আপনি আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে থাকুন আর মনে করুন সবকিছু থেমে যাচ্ছে। হাল ছাড়বেন না। ধৈর্য ধরে থাকুন, অধ্যবসায় চালিয়ে যান। ভোর হওয়ার আগে সবসময়ই সবচেয়ে অন্ধকার থাকে।

যখন আপনি সবসময় অন্যদের সম্পর্কে অনুমান করতে থাকেন তখন আপনি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলেন। আপনি সবসময় ধরে নিচ্ছেন যে, আপনি তাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি জানেন, তাই আপনি তাদের কথা শোনা এবং ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিন।

সাবধান থাকুন, কারণ এটি নেতিবাচক চিন্তাভাবনার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। আপনার হৃদয়কে নরম করে রমজান পালন করুন। আল্লাহতায়ালার সঙ্গে আপনার সংযোগ বারবার নবায়ন করুন এবং তার কাছে যা খুশি তা নিয়ে নিকটবর্তী হন। আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হতে শুরু করুন। যেটাকে তওবা-ইস্তেগফার বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

আপনার মন্দ ও অপছন্দনীয় অভ্যাসগুলো আরও ভালোর জন্য পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন এবং পুরোনো অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন।

হে আল্লাহ! পবিত্র রমজান মাস চলছে, আমাদের ইবাদতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এমন অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করুন। আমাদের মনোযোগী এবং ধারাবাহিক থাকতে সাহায্য করুন।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে করে তোমরা আল্লাহ ভীরুতা অবলম্বন করতে পারো। আর যারা রোজা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোজা রাখতে চায় না (যারা রোজা রাখতে অক্ষম), তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। পরন্তু যে ব্যক্তি খুশির সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তোমরা রোজা রাখ, তাহলে তা তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণের; যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।

রমজান মাস। এ মাস পেলেই মুমিন-মুসলমানের জন্য রোজা রাখা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে।

আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা সহজ তাই চান এবং যা তোমাদের জন্যে কষ্টকর তা চান না। এ জন্য যে তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। -সুরা আল বাকারা: ১৮৩- ১৮৫