ওষুধ খেয়ে রমজানে পিরিয়ড বন্ধ রাখা যাবে?

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোরআন তেলাওয়াত করছেন এক নারী, ছবি: সংগৃহীত

কোরআন তেলাওয়াত করছেন এক নারী, ছবি: সংগৃহীত

রোজা পালনরত অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে রোজা ছেড়ে দিতে হবে। রোজা অবস্থায় পিরিয়ড শুরু হলে ফরজ রোজা ছেড়ে দিতে হয় এবং পরবর্তীতে এর কাজা আদায় করার বিধান।

নারীর পিরিয়ডের ঋতুস্রাবের সময়সীমা তিন, পাঁচ বা সাত দিন হয়; কিন্তু মাঝে-মধ্যে এ সময়সীমা বেড়ে আট, নয়, দশ অথবা এগারো দিনে গড়ায়, তা হলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে নামাজ আদায় ও রোজা রাখতে পারবেন না। -সুরা বাকারা: ২২২)

বিজ্ঞাপন

আধুনিক যুগে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যায়। কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে রোজা রাখতে চান, তা হলে তার রোজা হয়ে যাবে। তবে প্রাকৃতিক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটানো অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। তাই আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী চলা এবং ওষুধ গ্রহণ না করাই শ্রেয়।

কোনো কোনো নারী রমজানের রোজা রমজান মাসেই পুরো করার উদ্দেশ্যে ওষুধের মাধ্যমে মাসিক বন্ধ রেখে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে শরিয়তের মাসয়ালা হচ্ছে, যে পর্যন্ত একজন নারীর মাসিক দেখা না দেবে ওই পর্যন্ত তিনি নিয়মিত নামাজ-রোজা করে যাবেন; যদিও কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাসিক বন্ধ রাখা হোক না কেন। তবে এ ধরনের পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না সে বিষয়েও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নেওয়া উচিত।

ওষুধ সেবনের কারণে হলেও একজন নারী যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে অর্থাৎ তার মাসিক স্রাব চালু না হবে ততক্ষণ তাকে নামাজ-রোজা করে যেতে হবে এবং এ অবস্থায় সে তাওয়াফও করতে পারবে।

আর সে যেহেতু পবিত্র অবস্থাতেই নামাজ-রোজা ইত্যাদি পালন করেছে তাই পরবর্তীতে তাকে এ সময়ের নামাজ-রোজার কাজা করতে হবে না। আর এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু এটি কোনো উত্তম পন্থা নয়। বিশেষ ওজর না থাকলে স্বাভাবিক নিয়মে চলাই উচিত। -জামিউ আহকামিন নিসা: ১/১৯৮