হিথ্রো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
-
-
|

হিথ্রো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার (২১ মার্চ) দিনভর বন্ধ ছিল। সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ধীরে ধীরে চালু হতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর।
শনিবার (২২ মার্চ) থেকে আবারও বিমানবন্দরে পুরোদমে বিমান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। যার কারণে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে না আসার নির্দেশ দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করলেও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস উল্ডবাই জানান, জরুরি ব্যাকআপ ব্যবস্থা কাজ করলেও তা পুরো বিমানবন্দর চালানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
তবে, শুক্রবারে বিকেল থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয় বিমানবন্দরে। অনুমতিপ্রাপ্ত ফ্লাইটগুলো অবতরণ করতে শুরু করে। বিমানবন্দরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে অল্প কিছু ফ্লাইটকে চলাচলের অনুমতি দিলেও পুরোপুরিভাবে বিমান চলাচল শুরু হবে স্থানীয় সময় শনিবার।
যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল এবং তাদের ব্যাকআপ জেনারেটর কেবল গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমগুলোর জন্য যথেষ্ট ছিল। তবে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো নাশকতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। যেহেতু এটি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অবকাঠামো তাই সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তারা আগুনের সূত্রপাত খতিয়ে দেখছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার আশ্বাস দিয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের কারণে একটি মাঝারি আকারের শহরের সমপরিমাণ এলাকা বিদ্যুৎবিভ্রাটের মুখোমুখি হয়।
হিথ্রো বিমানবন্দরে শুক্রবার ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বহু ফ্লাইট যুক্তরাজ্যের অন্যান্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয় এবং দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটগুলো গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ফিরে যায়।