বাংলা নাটকের জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চেীধুরী বিয়ে করছেন। দীর্ঘদিন ধারে পরিচালক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে তার যে প্রেমের গুঞ্জন ছিল, অবশেষে তাই সত্য হওয়ার প্রমাণ মিললো। দীর্ঘদিনের কর্মসঙ্গী এবং বন্ধু আদনানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন লাক্স তারকা মেহজাবীন । আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মেহজাবীন-আদনানের গায়ে হলুদ, পরের দিন বিয়ে। বিয়ের বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে তারকাদের কেউ মুখ খোলেননি। তবে তাদের ঘনিষ্ঠজনদের থেকে বিয়ের খবরের সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে।
আদনান আল রাজীব এবং মেহজাবীন চৌধুরী
বেশ কয়েক বছর ধরে আদনান প্রযোজিত ও পরিচালিত নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং সিনেমায় একটানা অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় এই তারকা। কেবল গ্ল্যামার দুনিয়ায় নয়, নেটিজেনদেরও নজর এড়ায়নি তাদের গভীর বন্ধুত্ব। সময়-অসময়ে কাজের বাইরে দেশে এবং দেশের বাইরে তাদের সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কখনোই দুজনের কেউই প্রকাশ্যে সেভাবে কথা বলতে চাননি। বারবারই মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত বছরের মাঝামাঝি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাজীব তাঁর জীবনের সেরা পার্ট বলে উল্লেখ করেন মেহজাবীনকে। সেদিন রাজীব বলেছিলেন, ‘তাকে (মেহজাবীন) আমি যতটা জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়, এর চেয়ে ভালো সাপোর্টিভ কেউ হতে পারত না। তার চেয়ে ভালো কারও সঙ্গে পরিচয়ও হতে পারত না।’
এদিকে মেহজাবীন ও রাজীবের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ খুশি। তাঁদের মতে, সুন্দর মনের দুজন মানুষ একসঙ্গে জীবন শুরু করছেন, এর চেয়ে আনন্দের খবর তো আর হতে পারে না। তাঁদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
বিজ্ঞাপন
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার পোস্টার
ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী মেহজাবীন অভিনীত ‘প্রিয় মালতী’ গত বছরের শেষ দিকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। মেহজাবীন অভিনীত ছবিটির প্রযোজক ছিলেন আদনান আল রাজীব।
এবার একই সাথে উড়াধুরা আর আধ্যাত্মিকতার সুরের মূর্ছনায় মাতবে এসএসসি-২০০১ ব্যাচের ফেসবুককেন্দ্রিক জনপ্রিয় গ্রুপ ‘ক্লাসরুম’-এর বন্ধুরা।
আসছে ১৮ এপ্রিল ঢাকার নিকটেই সায়েরা গার্ডেন রিসোর্টে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ক্লাসরুমের আয়োজনে ‘এসএসসি ২০০১ ব্যাচের দুইযুগ পূর্তি ও ঈদ পূনর্মিলনী’।
এদিন ক্লাসরুম মাতাতে আসছেন উড়াধুরাখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান এবং বাউল রকস্টার সুমি ও ব্যন্ডদল লালন। দুই জনপ্রিয় শিল্পীর মনোমুগ্ধকর পারফরমেন্সে উৎসবমুখর সময় কাটাবে ক্লাসরুম গ্রুপের সদস্যরা।
প্রীতম হাসান
আয়োজক ক্লাসরুম কর্তৃপক্ষ জানান, ‘এর আগে নগরবাউল জেমস, তাহসান, ঐশী ও ডিজে রাহাত-মীরমাসুম ক্লাসরুমের বন্ধুদের মাতিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পহেলা বৈশাখের আমেজ নিয়েই আমাদের ব্যাচের দুইযুগ পূর্তি ও ঈদ পূনর্মিলনী’তে চমক হিসেবে হাজির হচ্ছে প্রীতম হাসান ও ব্যান্ড লালন। মূলত সব বন্ধুকে একত্রিত করতেই ফের আমরা মিলিত হচ্ছি এক ছাদের নিচে। বন্ধুদের নিয়ে হবে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ, গানে মাতামাতি আর আড্ডা।’
ব্যন্ডদল লালন-এর ভোকাল সুমি
নাটকপ্রেমী দর্শক ঈদের মতো ভ্যালেন্টাইনেও নতুন নাটকের জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ভ্যালেন্টাইন ফেস্ট অনেকটা ঝিমিয়ে ছিল! অনেক দর্শক বলছিলেন, কোনোভাবে যেন নাটক দেখে তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু দর্শকদের তৃপ্তির স্বাদ দিল নাটক ‘মন দুয়ারী’। জাকারিয়া সৌখিনের পরিচালনায় জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নিহা অভিনীত এ নাটকটি মুক্তি পেয়েছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এরপর থেকে হুমড়ি খেয়ে দেখছেন দর্শক।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে অপূর্ব ও নিহা
গল্পে দেখা যায়, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী অপূর্ব তার গ্রামে ফেরেন দাদীকে ‘বেটার লাইফ’ দেয়ার জন্য সেখানে নিয়ে যেতে। কিন্তু পারিবারিক বন্ধন ছেড়ে দাদী দিলারা জামান নিউ ইয়র্ক যেতে চান না। তিনি গ্রামের যৌথ পরিবার ও পারিবারিক রীতিনীতি মেনেই শেষ জীবনটা কাটাতে চান।
ওদিকে, গ্রামের বাড়িতে কাজিন নিহার সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে খুনসুটি লেগেই থাকে অপূর্বর। ঘটতে থাকে মজার মজার ঘটনা। ফ্যামিলি সেন্টিমেন্ট- বন্ডিং এবং রোম্যান্টিক ইমোশনের সঙ্গে গ্রামীণ চোখ জুড়ানো দৃশ্য-মিউজিক সব মিলিয়ে ‘মন দুয়ারী’ দারুণভাবে উপভোগ করছেন দর্শক।
মন দুয়ারী’ নাটকের পোস্টার
অনেকটা সিনেমার মতো লার্জার স্কেলে নির্মিত ‘মন দুয়ারী’ দেখে দর্শকদের চোখ কপালে উঠেছে। কেউ কেউ এটিকে নাটক নয়, সিনেমা বলে মন্তব্য করছেন! আকাশ মিয়া নামে একজন লিখেছেন, এটিকে সিনেমা হলে মুক্তি দেয়া উচিত।
আবার কেউ কেউ বলছেন, গতানুগতিক বাংলা সিনেমার চেয়েও পরিচ্ছন নির্মাণ পেয়েছেন ‘মন দুয়ারী’-তে। কবির হোসেন নামে একজন লিখেছেন, খুব বেশি নাটক দেখা হয় না। তবে ‘মন দুয়ারী’ দেখে মনে হয়েছে এটি এ বছরের অন্যতম সেরা নাটক হয়ে থাকবে।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে নিহা ও অপূর্ব
সুমন রহমান লিখেছেন, অপূর্ব-নিহাকে জুটি হিসেবে দারুণ মানিয়েছে। এর পাশাপাশি এই নাটকের মাধ্যমে দিলারা জামানের মতো লিজেন্ড অ্যাক্টর-কে বহুদিন পর পারফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
সিএমভি-এর ইউটিউব চ্যানেলের কমেন্ট বক্সে ঘেঁটে দেখা যায়, প্রবাসী বাঙালীদের পাশাপাশি বহু দর্শক ওপার বাংলা থেকেও ‘মন দুয়ারী’ উপভোগ করছেন। তারাও বাংলাদেশে নির্মিত ‘মন দুয়ারী’ নাটকের প্রশংসা করতে ভুলছেন না।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে অপূর্ব ও দিলারা জামান
এর আগে অপূর্বকে নিয়ে ‘পথে হলো দেরী’ বানিয়েছে সাড়া ফেলেছিলেন জাকারিয়া সৌখিন। এবারের ‘মন দুয়ারী’ প্রসঙ্গে পরিচালক বললেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ একটু বেশি ইমোশনাল এবং ফ্যামিলিকেন্দ্রিক। এ কারণে তারা পরিবার, গান, দেশজ গল্প খুব পছন্দ করে। ‘মন দুয়ারী’ নাটকের মধ্যে এই সবকিছু আছে। যাকে বলে ফুল প্যাজেক। আমার মনে হয় মানুষ এগুলো কানেক্ট করেছে। এর আগে ‘পথে হলো দেরী’ লার্জার স্ক্রেলে বানিয়েছিলাম। এবার ‘মন দুয়ারী’ বানালাম। দুবারই রিলিজের আগে একটু ভয় ছিলাম। দুবার দর্শকদের ভালাবাসায় উতরে গেছি। ভবিষ্যতে আরও লার্জার স্কেলের গল্প বলতে চাই।’’
চারপাশের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিয়ের জন্য বাধ্য করেছে: পপি
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
সাদিকা পারভীন পপি । ছবি: তুহিন হোসেন
বিনোদন
চার বছরের বেশি সময় ধরে আড়ালে আছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। একসময় শোনা যায়, বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সম্প্রতি একটি জিডিকে ইস্যু করে আবার আলোচনায় পপি। তখনই জানিয়েছিলেন, বিয়ে-স্বামী-সন্তান নিয়ে আপাতত কিছুই বলবেন না। অবশেষে মুখ খুললেন এই তারকা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ের খবর মোটেও গোপন করিনি। মা-বাবা, ভাইবোন, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, ফিল্মের বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবাই আমার বিয়ের খবর জানত। ফিল্মের পপির ব্যাপারে সবার আগ্রহ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমারও তো একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। সে জীবনের কতটুকু কী আমি পাবলিকলি জানাব, কতটুকু জানাব না, সেটা একান্তই আমার বিষয়। এ খবর জানাতে আমার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার বিয়ের খবরটা পরিবার ও ফিল্মের কাছের মানুষেরা জানলেই চলবে। রিয়াজ, নিপুণ, ফেরদৌসসহ সিনেমার বন্ধুরা জানত।’
স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে পপি
বর আদনান কামালকে নিয়ে পপি বলেন, ‘আমাদের সাত বছরের পরিচয়। পরিচয়ের তিন বছর পর আমাদের বিয়ে হয়। সেই অর্থে আমাদের প্রেমের বিষয়টা ছিল না। আদনানের সঙ্গে আমার মা-বাবাসহ পরিবারের সবার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারে যাওয়া-আসা ছিল। আমরা সবাই মিলে ঘুরতেও গেছি। পারিবারিক বন্ধু, আমার অসাধারণ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আমার যেকোনো বিপদে সে ছায়ার মতো পাশে ছিল। আমাকে সুরক্ষিত রেখেছে। আমি ও আদনান কিন্তু কখনো বিয়ের কথা ভাবিনি। তবে চারপাশের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।’
কী সেই পরিস্থিতি? তাও জানালেন পপি, ‘‘২০১৯ সালে আমার বাসায় অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি যায়। থানায় জিডি করলাম। আমাদের রমনা থানায় ডাকা হয়। সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। সেদিন থানায় গিয়ে জানলাম, আমাকে মেরে ফেলার জন্য খুনি ভাড়া করা হয়েছে। আমাকে থানা থেকে বলা হলো, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। এরপর জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেল। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।’
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে আসার মাধ্যমে আড়াল ভাঙেন পপি
ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। আদনানই তখন আমাকে বাঁচিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই। ২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজি ডেকে বিয়ে করি। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। আত্মীয়দের অনেকের নাম এখন বলব না; কারণ, নাম প্রকাশ পেলে তারা আমার মায়েরও শত্রু হয়ে যাবে। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’’
পপি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর আমি আমার মতো সংসার শুরু করি। আলাদা থাকি, স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডিতে। আমার সংসার বাঁচানোর জন্য আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আমার স্বামী যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছি। আমি কিন্তু অনেকবার বলেছিও, বিয়ের পর আমি সিনেমা ছেড়ে দেব। আমার স্বামী না চাইলেও সিনেমায় কাজ করব না। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবরে মা হয়েছি। তবে আমি উধাও হইনি। আমার জীবনটা বাঁচাতে কিছুদিন আড়ালে ছিলাম। সামাজিকতা রক্ষার জন্য যা যা করার, সবই করেছি। আমার আত্মীয়স্বজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল আমার বাসায়। আমার আব্বুও দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও গিয়েছি। আমার ছোট ভাই দীপুও বেশ কিছুদিন আমার বাসায় ছিল। দীপুর আমার বাসায় থাকার ব্যাপারে আব্বু না করেছিলেন, পরে আব্বুর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়।’
সাদিকা পারভীন পপি । ছবি: তুহিন হোসেন
পপির কয়েকটি ছবির কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। এসব ছবির ভবিষ্যৎ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার জন্য আমার পরিচালক ও প্রযোজকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই মুহূর্তে আমার কাছে জীবন বাঁচানোটা জরুরি ছিল। আমি আমার কষ্টের কথা তখন কাউকে বলতে পারছিলাম না। কাউকে বলার মতোও পরিস্থিতি ছিল না। মানসম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। তাই ওই সময় আড়ালে করে বাঁচতে চেয়েছি। একটু নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন যদি ওই পরিচালক ও প্রযোজকেরা ছবির কাজ শেষ করতে চায় তাহলে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে একটা সমাধানের পথে আসব। আমার একটা প্রোডাকশন হাউস আছে, ক্যামেরার সামনে আসব কি না, জানি না। তবে নির্মাণের সঙ্গে জড়িত হব।’
মার্চেই বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
বিনোদন
২০২৫-এর মার্চ মাসেই গঠন হবে বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন। এর প্রধান লক্ষ্য হবে আমূল সংস্কার করে বাংলা একাডেমিকে একটি ‘চলমান প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত করা এবং তরুণদের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত করা। কমিশন গঠন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। যাবতীয় সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
চলতি বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পর কয়েকটি নাম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। তখন বাংলা একাডেমির পুরস্কার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রসঙ্গটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টাও। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে বলে জানান ফারুকী। পুরস্কার বিতর্ক সামনে রেখে তখন উপদেষ্টা বাংলা একাডেমির পরিচালনা প্রক্রিয়া, এর নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারা কিভাবে প্রতিষ্ঠানটির ফেলো ও সাধারণ সদস্য হচ্ছেন, একাডেমির স্বায়ত্তশাসনের আড়ালে দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে কি না, প্রতিষ্ঠান হিসেবে জবাবদিহি আছে কি না—এসব প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জানা গেছে, সংস্কার কমিশনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়। কোনো একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কমিশন বলে যেন এটিকে চিহ্নিত করা না যায়, এ জন্য নানা ঘরানার লেখক-বুদ্ধিজীবী, গবেষকের অংশগ্রহণে এটি গঠন করা হচ্ছে। এতে খ্যাতিমান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তরুণ চিন্তকরাও থাকতে পারেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, কমিশনে কারা থাকবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
সময় হলে ঘোষণার মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হলো। এমন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, পুরস্কার নির্বাচক কমিটির সদস্যরাই যার বই পড়েননি। এরপর ফেলোদের দিয়ে বাছাই করার ক্ষেত্রেও ফেলোদের নানাভাবে ম্যানিপুলেট করার ব্যবস্থা করা হতো। এই জিনিসগুলোর মধ্যে সত্যতা ও ওপেননেস আনা হবে। সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই একটা পদ্ধতি বের করবে। তারা বাংলা একাডেমি পরিচালনা পদ্ধতির আমূল সংস্কার এবং পুরস্কার ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজ করবে।’
সংস্কার কমিশনের কর্মপরিধি কতটা বিস্তৃত হতে পারে, জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘বাংলা একাডেমিকে একটি চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন তার সবই করবে কমিশন। চলমান প্রতিষ্ঠান বলতে বুঝাচ্ছি, এখন দেখলে দেখা যাবে, এখন যারা তরুণ বা যাদের চিন্তা বাংলাদেশের নতুন চিন্তাকে প্রভাবিত করছে, তাদের কারো সঙ্গে বাংলা একাডেমির কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তারা বাংলা একাডেমির সাধারণ সদস্যও না।’