মার্চেই বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

২০২৫-এর মার্চ মাসেই গঠন হবে বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন। এর প্রধান লক্ষ্য হবে আমূল সংস্কার করে বাংলা একাডেমিকে একটি ‘চলমান প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত করা এবং তরুণদের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত করা। কমিশন গঠন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। যাবতীয় সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

চলতি বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পর কয়েকটি নাম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। তখন বাংলা একাডেমির পুরস্কার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টাও। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে বলে জানান ফারুকী। পুরস্কার বিতর্ক সামনে রেখে তখন উপদেষ্টা বাংলা একাডেমির পরিচালনা প্রক্রিয়া, এর নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারা কিভাবে প্রতিষ্ঠানটির ফেলো ও সাধারণ সদস্য হচ্ছেন, একাডেমির স্বায়ত্তশাসনের আড়ালে দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে কি না, প্রতিষ্ঠান হিসেবে জবাবদিহি আছে কি না—এসব প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

জানা গেছে, সংস্কার কমিশনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়। কোনো একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কমিশন বলে যেন এটিকে চিহ্নিত করা না যায়, এ জন্য নানা ঘরানার লেখক-বুদ্ধিজীবী, গবেষকের অংশগ্রহণে এটি গঠন করা হচ্ছে। এতে খ্যাতিমান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তরুণ চিন্তকরাও থাকতে পারেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, কমিশনে কারা থাকবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সময় হলে ঘোষণার মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হলো। এমন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, পুরস্কার নির্বাচক কমিটির সদস্যরাই যার বই পড়েননি। এরপর ফেলোদের দিয়ে বাছাই করার ক্ষেত্রেও ফেলোদের নানাভাবে ম্যানিপুলেট করার ব্যবস্থা করা হতো। এই জিনিসগুলোর মধ্যে সত্যতা ও ওপেননেস আনা হবে। সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই একটা পদ্ধতি বের করবে। তারা বাংলা একাডেমি পরিচালনা পদ্ধতির আমূল সংস্কার এবং পুরস্কার ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজ করবে।’

সংস্কার কমিশনের কর্মপরিধি কতটা বিস্তৃত হতে পারে, জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘বাংলা একাডেমিকে একটি চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন তার সবই করবে কমিশন। চলমান প্রতিষ্ঠান বলতে বুঝাচ্ছি, এখন দেখলে দেখা যাবে, এখন যারা তরুণ বা যাদের চিন্তা বাংলাদেশের নতুন চিন্তাকে প্রভাবিত করছে, তাদের কারো সঙ্গে বাংলা একাডেমির কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তারা বাংলা একাডেমির সাধারণ সদস্যও না।’