ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। বর্তমানে সিনেমায় অভিনয়ের চেয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন নিয়ে বেশি ব্যস্ত তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন আয়োজকরা।
জানা গেছে, পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ হাজার অগ্রিম নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়ায় তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে প্রতারণার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিকের ভাই নৃত্যপরিচালক ও অভিনয়শিল্পী প্রিন্স রানা।
বিজ্ঞাপন
অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক
এ নৃত্যপরিচালক বলেন, ‘গত মঙ্গলবার অপু বিশ্বাসকে আমাদের রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের জন্য এক লাখ টাকায় কনফার্ম করি। কথা ছিল ওইদিন তিনটায় সশরীরে সেখানে হাজির হয়ে রেস্তারাঁ উদ্বোধন করবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন থেকে আমরা ফোনে পাই না তাকে। শেষ পর্যন্ত তাকে না পেয়ে আমাদের সব আয়োজন বৃথা হয়। সব শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর তিনি ফোন দিয়ে জানতে চান, কোথায় আসবেন। তখন তাকে জানানো হয়, আমাদের অনুষ্ঠান ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আপনি ৫০ হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তিনি বাকি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।’
প্রিন্স রানা আরও বলেন, ‘সে না আসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। তাই আমাদের টাকা ফেরত পেতে শিল্পী সমিতির সহাযোগিতা চেয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে উঠা এ অভিযোগের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন অপু বিম্বাস। তার ভাষ্যমতে, ‘আসলে কামরাঙ্গীরচরের ওই অনুষ্ঠান নিয়ে এরইমধ্যে অনেক কিছু হয়ে গেছে, যা এখন সবারই জানা। আয়োজকরা শিল্পী সমিতিতে কী অভিযোগ জানিয়েছেন, সেসব জানি না আমি। তবে এতটুকু বলব, আমি একজন শিল্পী, তাদের চিনিও না।’
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কাজটির জন্য আমার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকায় কনফার্ম করে। আমি যেহেতু ঢাকায় থাকি, তাই যানজটের জন্য টাইমিং একটু এদিক-সেদিক হতেই পারে। কিন্তু তারা আমার জন্য অপেক্ষা না করেই অনুষ্ঠানটি শেষ করে। আর আমার কাছে অগ্রিম দেয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত চান। আমি একজন প্রফেশনাল মানুষ। আমি আমার পারিশ্রমিক চাই।’
অপু বিশ্বাস । ছবি: ফেসবুক
প্রথম বিয়েবার্ষিকীতেই প্রথম সন্তানের খবর দিলেন স্বাগতা
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
স্বাগতা ও তার স্বামী । ছবি: ফেসবুক
বিনোদন
মেধাবী অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। পাশাপাশি গান, মডেলিং ও উপস্থাপনায় নিজের দ্যূতি ছড়িয়েছেন তিনি। এখন অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত পাওয়া যায় না তাকে। নতুন সংসার নিয়েই ব্যস্ততা তার। এবার তিনি ভক্তদের দিলেন নতুন সুখবর। মা হতে চলেছেন এই অভিনেত্রী।
স্বাগতা । ছবি: ফেসবুক
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুকে নিজের বেবিবাম্পের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে ভক্তদের এই সুখবর দেন স্বাগতা।
স্বাগতা ও তার স্বামী । ছবি: ফেসবুক
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি স্বাগতা ও হাসান আজাদের বিয়ে হয়। বছর ঘুরে এই দম্পতির প্রথম বিবাহবার্ষিকী আসতে না আসতেই তাদের কোলজুড়ে আসতে চলেছে সন্তান। তাইতো বিবাহবার্ষিকীতেই সবাইকে বেবিবাম্পের ছবি দেখালেন অভিনেত্রী।
স্বাগতা । ছবি: ফেসবুক
রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন। সেই আয়োজনের ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন স্বাগতা।
স্বাগতা ও তার স্বামী । ছবি: ফেসবুক
সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করেই পরিবারে নতুন অতিথি আগমনের খবর জানালেন এই তারকা দম্পতি। এ ছাড়া ছবি প্রকাশের পর থেকেই ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় ভাসছেন স্বাগতা।
স্বাগতা । ছবি: ফেসবুক
স্বাগতার স্বামী ড. হাসান আজাদ একজন লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম ও পড়াশোনা সবই যুক্তরাজ্যে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
এবার একই সাথে উড়াধুরা আর আধ্যাত্মিকতার সুরের মূর্ছনায় মাতবে এসএসসি-২০০১ ব্যাচের ফেসবুককেন্দ্রিক জনপ্রিয় গ্রুপ ‘ক্লাসরুম’-এর বন্ধুরা।
আসছে ১৮ এপ্রিল ঢাকার নিকটেই সায়েরা গার্ডেন রিসোর্টে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ক্লাসরুমের আয়োজনে ‘এসএসসি ২০০১ ব্যাচের দুইযুগ পূর্তি ও ঈদ পূনর্মিলনী’।
এদিন ক্লাসরুম মাতাতে আসছেন উড়াধুরাখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান এবং বাউল রকস্টার সুমি ও ব্যন্ডদল লালন। দুই জনপ্রিয় শিল্পীর মনোমুগ্ধকর পারফরমেন্সে উৎসবমুখর সময় কাটাবে ক্লাসরুম গ্রুপের সদস্যরা।
প্রীতম হাসান
আয়োজক ক্লাসরুম কর্তৃপক্ষ জানান, ‘এর আগে নগরবাউল জেমস, তাহসান, ঐশী ও ডিজে রাহাত-মীরমাসুম ক্লাসরুমের বন্ধুদের মাতিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পহেলা বৈশাখের আমেজ নিয়েই আমাদের ব্যাচের দুইযুগ পূর্তি ও ঈদ পূনর্মিলনী’তে চমক হিসেবে হাজির হচ্ছে প্রীতম হাসান ও ব্যান্ড লালন। মূলত সব বন্ধুকে একত্রিত করতেই ফের আমরা মিলিত হচ্ছি এক ছাদের নিচে। বন্ধুদের নিয়ে হবে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ, গানে মাতামাতি আর আড্ডা।’
ব্যন্ডদল লালন-এর ভোকাল সুমি
নাটকপ্রেমী দর্শক ঈদের মতো ভ্যালেন্টাইনেও নতুন নাটকের জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ভ্যালেন্টাইন ফেস্ট অনেকটা ঝিমিয়ে ছিল! অনেক দর্শক বলছিলেন, কোনোভাবে যেন নাটক দেখে তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু দর্শকদের তৃপ্তির স্বাদ দিল নাটক ‘মন দুয়ারী’। জাকারিয়া সৌখিনের পরিচালনায় জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নিহা অভিনীত এ নাটকটি মুক্তি পেয়েছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এরপর থেকে হুমড়ি খেয়ে দেখছেন দর্শক।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে অপূর্ব ও নিহা
গল্পে দেখা যায়, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী অপূর্ব তার গ্রামে ফেরেন দাদীকে ‘বেটার লাইফ’ দেয়ার জন্য সেখানে নিয়ে যেতে। কিন্তু পারিবারিক বন্ধন ছেড়ে দাদী দিলারা জামান নিউ ইয়র্ক যেতে চান না। তিনি গ্রামের যৌথ পরিবার ও পারিবারিক রীতিনীতি মেনেই শেষ জীবনটা কাটাতে চান।
ওদিকে, গ্রামের বাড়িতে কাজিন নিহার সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে খুনসুটি লেগেই থাকে অপূর্বর। ঘটতে থাকে মজার মজার ঘটনা। ফ্যামিলি সেন্টিমেন্ট- বন্ডিং এবং রোম্যান্টিক ইমোশনের সঙ্গে গ্রামীণ চোখ জুড়ানো দৃশ্য-মিউজিক সব মিলিয়ে ‘মন দুয়ারী’ দারুণভাবে উপভোগ করছেন দর্শক।
মন দুয়ারী’ নাটকের পোস্টার
অনেকটা সিনেমার মতো লার্জার স্কেলে নির্মিত ‘মন দুয়ারী’ দেখে দর্শকদের চোখ কপালে উঠেছে। কেউ কেউ এটিকে নাটক নয়, সিনেমা বলে মন্তব্য করছেন! আকাশ মিয়া নামে একজন লিখেছেন, এটিকে সিনেমা হলে মুক্তি দেয়া উচিত।
আবার কেউ কেউ বলছেন, গতানুগতিক বাংলা সিনেমার চেয়েও পরিচ্ছন নির্মাণ পেয়েছেন ‘মন দুয়ারী’-তে। কবির হোসেন নামে একজন লিখেছেন, খুব বেশি নাটক দেখা হয় না। তবে ‘মন দুয়ারী’ দেখে মনে হয়েছে এটি এ বছরের অন্যতম সেরা নাটক হয়ে থাকবে।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে নিহা ও অপূর্ব
সুমন রহমান লিখেছেন, অপূর্ব-নিহাকে জুটি হিসেবে দারুণ মানিয়েছে। এর পাশাপাশি এই নাটকের মাধ্যমে দিলারা জামানের মতো লিজেন্ড অ্যাক্টর-কে বহুদিন পর পারফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
সিএমভি-এর ইউটিউব চ্যানেলের কমেন্ট বক্সে ঘেঁটে দেখা যায়, প্রবাসী বাঙালীদের পাশাপাশি বহু দর্শক ওপার বাংলা থেকেও ‘মন দুয়ারী’ উপভোগ করছেন। তারাও বাংলাদেশে নির্মিত ‘মন দুয়ারী’ নাটকের প্রশংসা করতে ভুলছেন না।
মন দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্যে অপূর্ব ও দিলারা জামান
এর আগে অপূর্বকে নিয়ে ‘পথে হলো দেরী’ বানিয়েছে সাড়া ফেলেছিলেন জাকারিয়া সৌখিন। এবারের ‘মন দুয়ারী’ প্রসঙ্গে পরিচালক বললেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ একটু বেশি ইমোশনাল এবং ফ্যামিলিকেন্দ্রিক। এ কারণে তারা পরিবার, গান, দেশজ গল্প খুব পছন্দ করে। ‘মন দুয়ারী’ নাটকের মধ্যে এই সবকিছু আছে। যাকে বলে ফুল প্যাজেক। আমার মনে হয় মানুষ এগুলো কানেক্ট করেছে। এর আগে ‘পথে হলো দেরী’ লার্জার স্ক্রেলে বানিয়েছিলাম। এবার ‘মন দুয়ারী’ বানালাম। দুবারই রিলিজের আগে একটু ভয় ছিলাম। দুবার দর্শকদের ভালাবাসায় উতরে গেছি। ভবিষ্যতে আরও লার্জার স্কেলের গল্প বলতে চাই।’’
চারপাশের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিয়ের জন্য বাধ্য করেছে: পপি
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
সাদিকা পারভীন পপি । ছবি: তুহিন হোসেন
বিনোদন
চার বছরের বেশি সময় ধরে আড়ালে আছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। একসময় শোনা যায়, বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সম্প্রতি একটি জিডিকে ইস্যু করে আবার আলোচনায় পপি। তখনই জানিয়েছিলেন, বিয়ে-স্বামী-সন্তান নিয়ে আপাতত কিছুই বলবেন না। অবশেষে মুখ খুললেন এই তারকা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ের খবর মোটেও গোপন করিনি। মা-বাবা, ভাইবোন, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, ফিল্মের বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবাই আমার বিয়ের খবর জানত। ফিল্মের পপির ব্যাপারে সবার আগ্রহ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমারও তো একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। সে জীবনের কতটুকু কী আমি পাবলিকলি জানাব, কতটুকু জানাব না, সেটা একান্তই আমার বিষয়। এ খবর জানাতে আমার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার বিয়ের খবরটা পরিবার ও ফিল্মের কাছের মানুষেরা জানলেই চলবে। রিয়াজ, নিপুণ, ফেরদৌসসহ সিনেমার বন্ধুরা জানত।’
স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে পপি
বর আদনান কামালকে নিয়ে পপি বলেন, ‘আমাদের সাত বছরের পরিচয়। পরিচয়ের তিন বছর পর আমাদের বিয়ে হয়। সেই অর্থে আমাদের প্রেমের বিষয়টা ছিল না। আদনানের সঙ্গে আমার মা-বাবাসহ পরিবারের সবার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারে যাওয়া-আসা ছিল। আমরা সবাই মিলে ঘুরতেও গেছি। পারিবারিক বন্ধু, আমার অসাধারণ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আমার যেকোনো বিপদে সে ছায়ার মতো পাশে ছিল। আমাকে সুরক্ষিত রেখেছে। আমি ও আদনান কিন্তু কখনো বিয়ের কথা ভাবিনি। তবে চারপাশের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।’
কী সেই পরিস্থিতি? তাও জানালেন পপি, ‘‘২০১৯ সালে আমার বাসায় অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি যায়। থানায় জিডি করলাম। আমাদের রমনা থানায় ডাকা হয়। সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। সেদিন থানায় গিয়ে জানলাম, আমাকে মেরে ফেলার জন্য খুনি ভাড়া করা হয়েছে। আমাকে থানা থেকে বলা হলো, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। এরপর জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেল। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।’
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে আসার মাধ্যমে আড়াল ভাঙেন পপি
ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। আদনানই তখন আমাকে বাঁচিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই। ২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজি ডেকে বিয়ে করি। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। আত্মীয়দের অনেকের নাম এখন বলব না; কারণ, নাম প্রকাশ পেলে তারা আমার মায়েরও শত্রু হয়ে যাবে। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’’
পপি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর আমি আমার মতো সংসার শুরু করি। আলাদা থাকি, স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডিতে। আমার সংসার বাঁচানোর জন্য আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আমার স্বামী যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছি। আমি কিন্তু অনেকবার বলেছিও, বিয়ের পর আমি সিনেমা ছেড়ে দেব। আমার স্বামী না চাইলেও সিনেমায় কাজ করব না। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবরে মা হয়েছি। তবে আমি উধাও হইনি। আমার জীবনটা বাঁচাতে কিছুদিন আড়ালে ছিলাম। সামাজিকতা রক্ষার জন্য যা যা করার, সবই করেছি। আমার আত্মীয়স্বজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল আমার বাসায়। আমার আব্বুও দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও গিয়েছি। আমার ছোট ভাই দীপুও বেশ কিছুদিন আমার বাসায় ছিল। দীপুর আমার বাসায় থাকার ব্যাপারে আব্বু না করেছিলেন, পরে আব্বুর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়।’
সাদিকা পারভীন পপি । ছবি: তুহিন হোসেন
পপির কয়েকটি ছবির কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। এসব ছবির ভবিষ্যৎ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার জন্য আমার পরিচালক ও প্রযোজকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই মুহূর্তে আমার কাছে জীবন বাঁচানোটা জরুরি ছিল। আমি আমার কষ্টের কথা তখন কাউকে বলতে পারছিলাম না। কাউকে বলার মতোও পরিস্থিতি ছিল না। মানসম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। তাই ওই সময় আড়ালে করে বাঁচতে চেয়েছি। একটু নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন যদি ওই পরিচালক ও প্রযোজকেরা ছবির কাজ শেষ করতে চায় তাহলে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে একটা সমাধানের পথে আসব। আমার একটা প্রোডাকশন হাউস আছে, ক্যামেরার সামনে আসব কি না, জানি না। তবে নির্মাণের সঙ্গে জড়িত হব।’