৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে চলা
শিক্ষা- একটা জাতির উন্নতির চাবিকাঠি। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য পূরণে শিক্ষাই হচ্ছে প্রধান অবলম্বন। মেধা ও মননে আধুনিক এবং চিন্তা-চেতনায় প্রাগ্রসর একটি সুশিক্ষিত জাতিই একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তাই, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড! ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের প্রতিজ্ঞায় ৪৮ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত যে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন, তারই ফলে আজকের এই বাংলাদেশ। বাঙালি ছাত্রসহ আপামর জনসাধারণ রাজপথে যে সংগ্রাম করেছে সেই আন্দোলন-সংগ্রামেই বোনা হয়ে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের ভিত, যা একটি আধুনিক রাষ্ট্রগঠনের দার্শনিক মন্ত্র।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আগামী প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ, জাতীয় ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষাকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও। গঠন করেন ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। এই কমিশন মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষাদর্শনই প্রতিফলিত।
উচ্চশিক্ষাকে সবার দ্বারে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর। এরই আলোকে ২০১৮ সালে অবহেলিত বাংলাদেশের ‘ভাটি অঞ্চল’ বলে খ্যাত নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’। এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে’র নীতিগত অনুমোদন হয়। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গেজেট আকারে আইনটি (২০১৮ সালের ৯নং আইন) পাস হয়।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খানকে প্রথম ভিসি হিসেবে নিয়োগদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৯ সালের ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পাঠদান তথা শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হয়। তাই প্রতিবছর ৩ মার্চকে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার একজন দূরদর্শী নেতৃত্ব। তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বমঞ্চে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। মানবতার নেত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর স্বপ্নের সমান উচ্চতায় পৌঁছাতে চায়। আর সে লক্ষ্যেই নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষাপ্রশাসনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ দক্ষতায় দেশের প্রখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানী উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবির বিশ্ববিদ্যালয়টিকে উচ্চশিক্ষার ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
তিনি স্বপ্ন দেখেন, শিক্ষা ও গবেষণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনে এক অনন্য মাইলফলক অর্জন করবে। সেই সঙ্গে প্রাগ্রসরমান বিশ্বে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, আলোকিত ও দক্ষ পেশাদার জনশক্তি তৈরি করবে; যারা দেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কল্যাণে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।
তাই তো অনেক সম্ভাবনা, অনেক প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসের ডালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামো নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে দুয়েকটি ভবনের কার্যক্রম দৃশ্যমানও হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার অভিজাত বলয়ে প্রবেশের সর্বজনীন যে আকাঙ্ক্ষা, তা অতি অল্প সময়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা কিংবা ব্যবস্থাপনায় শুধু দেশে নয়, উন্নত বিশ্বেরও নজর কাড়বে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতোমধ্যে সমতল প্রায় ৫০০ একর ভূমির উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ১০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন-৩ এবং ৪ তলাবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনের কাজ চলমান। নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে- টিএসসি, ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রহল, ছাত্রীহল, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টার, ডে-কেয়ার ও ইয়োগা সেন্টার।
পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শ্রেণিকক্ষ, আন্তর্জাতিকমানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, সুস্থ বিনোদনকেন্দ্র, সুচিকিৎসার জন্য উন্নত যন্ত্রপাতিসম্পন্ন মেডিকেল সেন্টার, ক্যাফেটেরিয়া, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, মেডিটেশন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সুপেয় পানির সুব্যবস্থা থাকবে অর্থাৎ একটি বৈশ্বিকমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা থাকা প্রয়োজন, সবই থাকবে এই ক্যাম্পাসে।
শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থাপনের উদ্যোগ থাকলেও সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি তার গন্তব্য ঠিক করে নিয়েছে।
পাঠ্যক্রমে অর্থনীতি, ইতিহাস, সভ্যতা, ভাষা, সাহিত্য যেমন রয়েছে, তেমনই আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকিবেলায় বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যার বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদের অধীনে ৪টি বিভাগ আছে। এগুলো হচ্ছে- কলা অনুষদে বাংলা বিভাগ ও ইংরেজি বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অর্থনীতি বিভাগ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ।
শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫১ জন, শিক্ষক ১৫ জন এবং কর্মকর্তা রয়েছেন ২৩ জন। কর্মচারী নিয়োজিত আছেন ৫৬ জন। গুণগত শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখার লক্ষ্যে মেধাবী ও জ্ঞান অনুসন্ধিৎসু শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে গতিশীল রাখতে দক্ষ ও মেধাবী কর্মকতা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; যারা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সুচারুভাবে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট।
মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড লিবারেশন ওয়ার, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান এসই স্টাডি, ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিসটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং, ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ, ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকস, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি, ইনস্টিটিউট অব ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারাবেল স্টাডিজ, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
নেত্রকোনার জীব-বৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা কর্ম পরিচালনার জন্য রিভার অ্যান্ড শিক্ষা নিয়ে গবেষণার জন্য থাকবে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। বিদেশি ছাত্রদের উচ্চশিক্ষায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। তাদের জন্য নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক হোস্টেল।
অভীষ্ট ও ভাবনার বৈচিত্র্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে অনন্য। সুন্দরবন ও উপকূল নিয়ে বিশ্বে প্রথম এখানেই স্থাপিত হয় ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস।
অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্সের জন্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল স্থাপন করা হবে। প্রতিটি বিভাগেই আউটকাম বেইজড কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য প্রথাবদ্ধ ছক থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনমুখী শিক্ষাদান। বিশ্বজনীন শিখন প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভিযোজন। গবেষণাগারে আধুনিক মানের গবেষণা সহায়ক নানা যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে থাকবে স্মার্ট ক্লাসরুম। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ওয়াইফাই কর্নার, পর্যাপ্ত ই-বুক আর লাইব্রেরিকে অটোমেশন করে আরো সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দর্শনেই নিহিত ছিল পিছিয়েপড়া মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সামাজিক সমতার এই আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করেছিল। সেই মহান ঐতিহ্য থেকে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এতটুকু বিচ্যুত হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসে জাতির পিতার সৌম্যদর্শন মুখচ্ছবি, শহিদ মিনার, স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
নেত্রকোনার বারহাট্টার কাশবনে জন্ম নেওয়া দেশের অন্যতম আধুনিক কবি নির্মলেন্দু গুণ প্রতিষ্ঠিত ‘কবিতাকুঞ্জ’কে বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্তীকরণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, মূল্যবোধের গভীরে থাকা এসব অভিজাত অনুভবই শিক্ষার্থীদের দেশের প্রতি সম্মানবোধ বাড়িয়ে দেবে।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। অবকাঠামোসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলছে। শহরের রাজুর বাজারে অবস্থিত টিটিসি-এর একটি ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। ফলে, শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকটসহ নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নানান সমস্যার মুখেও শিক্ষার্থীরা যে ‘নতুনের সৃষ্টি’র জন্য পাহাড়সম বিসর্জন কিংবা ত্যাগ স্বীকার করছেন, এটা সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করে।
এসব চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবিরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিকমানের দুটি কম্পিউটার ল্যাব, একটি হার্ডওয়্যার ল্যাব, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম পরিচালিত হচ্ছে। আছে স্মার্টবোর্ড ব্যবহারের সুবিধাও। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যোগযোগব্যবস্থা সহজীকরণের জন্য দুটি মিনিবাস ও তিনটি মাইক্রোবাস রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স-সুবিধা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে আরো সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফ আলী খান খসরুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের অবদান অনস্বীকার্য। স্থানীয় জনসাধারণও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে চলেছেন।
৩ মার্চ শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এদিন ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই ক্ষণে প্রত্যাশা জাগে, বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন জ্ঞান সৃজন ও মুক্তবুদ্ধির চারণভূমিতে পরিণত হয়। যে শিক্ষা মানুষকে ক্ষুদ্র হতে বৃহৎ করে, মনকে মুক্ত করে, সে শিক্ষার পরিচর্যা কেন্দ্র হোক আমাদের প্রিয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষতা ও জ্ঞান সৃষ্টির কারিগর হয়ে উঠুক মগড়া তীরের এ বিদ্যাপীঠ। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভাশিস!
লেখক: পিএস টু ভিসি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা