দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শক্তির দৌড়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। এ কারণেই জয় নয়, গোল ব্যবধান কম নিয়েই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল দল। কিন্তু লক্ষ্যটা পূরণ হয়নি। জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস হকিতে পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ০-৭ গোলে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হার মেনেছে বাংলাদেশ।
তবে জাকার্তার জিবিকে হকি মাঠে হারলেও ষষ্ঠ হয়ে পরের এশিয়ান গেমসে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৯৭৮ সালে প্রথমবার অংশ নিয়ে এশিয়ান গেমস হকিতে ষষ্ঠ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও একই সাফল্য নিয়ে ফিরছে।
এটি ছিল মামুনুর রহমান চয়নের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেন নি বাংলাদেশের এই তারকা। বড় হারে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল দল। কারণ প্রতিপক্ষ এশিয়ার সেরা শক্তির একটি তাদের বিপক্ষে জয় স্বপ্নেরই মতো। তারপরও চেষ্টার ভ্রুটি করেনি কোচ গোপীনাথ কৃষ্ণ মুর্তির দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তবে সব মিলিয়ে এবারের এশিয়ান গেমসটা মন্দ কাটেনি চয়ন-আশরাফুলদের। ওমানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শুরু। তারপর কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই মালয়েশিয়ার কাছে ০-৭ গোলে হেরে ছন্দপতন।
থাইল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারালেও পদক জেতার সম্ভাবনা মিলিয়ে যায়। এরপর পাকিস্তানের কাছে ০-৫ গোলে হারে দল। শেষ ম্যাচে কোরিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে শেষ হল মিশন।
সব মিলিয়ে ব্যর্থতাতেই জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস শেষ করল বাংলাদেশ। ১৯৮৬ থেকে টানা সাত আসর কোনো পদক না জিতেছিল দল। কিন্তু এবার লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ফিরছে খালি হাতে!