পটুয়াখালীতে জুলাই বিপ্লবে নিহত এক শহীদের কলেজপড়ুয়া মেয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ দীর্ঘ সময় পর মামলা গ্রহণ করা হয় এবং ভুক্তভোগীকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দুমকী সরকারি জনতা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানা বাড়ি ফেরার পথে দুজন যুবক পথরোধ করে। তারা মেয়েটির হাত-পা চেপে ধরে পাশের নির্জন বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটি তার এক সহপাঠীকে ঘটনা জানায়, যিনি ফোনে তার মাকে বিষয়টি জানান। তার মা ঢাকায় ছিলেন এবং দ্রুত পটুয়াখালীতে রওনা দেন।
বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থী নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক মামলা না নিয়ে দীর্ঘ সময় থানায় বসিয়ে রাখে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ব্যবস্থা নেয় এবং রাতে মামলা গ্রহণ করা হয়।
পুলিশের দাবি, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তথ্য যাচাইয়ের জন্য কিছুটা সময় নিয়েছে। পরে প্রয়াত বিএনপি নেতা মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (১৯) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
দুমকী থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, "ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় এলেও সে স্পষ্টভাবে তথ্য দিতে পারেনি। তাই আমরা তদন্ত শেষে মামলা নিই এবং একজনকে গ্রেপ্তার করি।"
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, "ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।"
এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছে।