ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতিকে লাল রঙে রাঙিয়েছে শিমুল ফুল। গ্রামীণ প্রকৃতির বুকে দূর থেকে মাথা উঁচু করে রক্তিম শিমুল গাছ চোখে পড়লেও শহরের ইট পাথরের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে এই গাছ। হাতে গোনা কয়েকটি শিমুল গাছ চোখে পড়ে থাকে শহরের বিভিন্ন স্থানে। শিমুল গাছে কোকিলের সুমিষ্ট কণ্ঠের সুর মনে করিয়ে দেয় বসন্ত এসে গেছে। কালের পরিক্রমায় ফসলের মাঠে এসমস্ত গাছ নিধন করে গড়ে উঠছে ইট পাথরের ছোট-বড় দালান। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে উপকারিতা বিভিন্ন গাছ সেগুলো মধ্যে অন্যতম শিমুল। রক্তরাঙা ফুটন্ত ফুলের মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে এবং নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমায় ফুল প্রেমীরা।
সবুজ ঘাসের বুকে বিছিয়ে থাকা লাল শিমুলের দৃশ্য নজর কাড়ে যে কারো। উপকারী এই গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এর গুণগত মানসম্মত তুলা পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। শিমুল কাঠের দাম কম থাকায় আধুনিক ও প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের প্রতি মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠছে। এটিও অন্যতম কারণ শিমুল গাছ হারিয়ে যাওয়ার।
সবুজ প্রকৃতির বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা শিমুল গাছ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক। ঔষধি ভেষজ হারবাল হিসেবে বেশ ব্যবহৃত এই গাছ। এই গাছের তুলা দিয়ে তৈরি হয় লেপ,তোশক, বালিশসহ বিভিন্ন জিনিস। যা ব্যবহার খুবই আরাম দায়ক হয়ে থাকে।
লেপ তোশকের ব্যবসায়ীদের কাছে জানা যায়, আগে শিমুল তুলার আমদানি ভালো ছিল দাম খুবই কম ছিল। আল্লহ প্রদত্ত এই গাছ বেড়ে উঠত তুলা দিত। একটা সময় শিমুল তুলার কেজি ছিল ৪০-৬০ টাকা বর্তমানে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরেও এই গাছের তুলার জোগান নেই বললেই চলে।
শিমুল ফুলের সাথে নিজেকে ক্যামেরাবন্দী করতে আসা সোহেল বলেন, শিমুল ফুল দেখলেই অন্যরকম ভালা লাগা জন্মে। এই ফুল এখন বিলুপ্তির পথে। রংপুর গণপূর্ত দপ্তরে কাজে এসে শিমুল ফুল দেখতে পেয়ে ছবি তুললাম। এই ফুল বাংলার প্রকৃতিতে জড়িয়ে আছে গান,কবিতা,নাটকে। উপকারী এই গাছের প্রতি আমাদের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।