২৫ বছর আগের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ফাইনাল
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
পর্দা নামতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। আগামীকাল শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকাল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় বারের মত মুখোমুখি হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এর আগে ২০০০ সালে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তখন অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পরিচিত ছিল আইসিসি নক আউট ট্রফি নামে।
এবারের ফাইনালে যেহেতু আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল,তাই স্বাভাবিকভাবেই ২০০০ সালের ১৫ অক্টোবরের নাইরোবির সেই ফাইনাল নতুন করে এসেছে আলোচনায়। যেখানে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি শিরোপা উচিয়ে ধরেছিল কিউইরা।
সেবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে ও সেমিফাইনালে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু ভারতকে থামতে হয় ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটের হার দিয়ে।
ফাইনালে টসে জিতে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। প্রথম উইকেটে গাঙ্গুলি ও শচীন টেন্ডুলকার মিলে গড়েন ১৪১ রানের জুটি। গাঙ্গুলি করেন ১১৭ রান আর শচীনের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। ভালো শুরুর পরও ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২৬৪ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ইতিহাসে গাঙ্গুলির ১১৭ ই এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ২৩.২ ওভারে ১৩২ রান তুলতেই নিউজিল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্স ও ক্রিস হ্যারিস ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়েন ১২২ রানের জুটি। আর তাতেই স্বপ্ন ভাঙে ভারতের। কেয়ার্স অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। আর হ্যারিসের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। আর তাতেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় কিউইরা।
আগামীকালের ম্যাচে ভারত তাই চাইবে ২৫ বছর পুরোনো ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নিতে। আর কিউইরা চাইবে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে দুবারের দেখায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই বারই হেরেছে ভারত।