ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

৮ বছরের শিশু ধর্ষণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ মার্চ) রাত পৌনে দুইটায় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জমায়েত করে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাত পৌনে তিনটায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীদের 'ধর্ষকদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে', 'তুমি কে-আমি কে, আছিয়া-আছিয়া', 'জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'হলে হলে খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে', 'চব্বিশ এর বাংলায় ধর্ষকদের ঠাই নাই' প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় ইংরেজী বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, গত কয়েকদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষনের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটলেও সরকারের নিরব ভূমিকা আমাদের পীড়া দেয়৷ গতকাল ৭ বছরের নিষ্পাপ আছিয়ার ধর্ষিত লাশ উপহার পেয়েছি৷ বিচার না হওয়ার কারনে আজকে গাজীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসব ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দিব এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্লক করে দিব।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একজন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, গত পরশু মাগুরাতে আট বছরের শিশু পর্যন্ত ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। আজ শনিবার গাজীপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য নিজের স্মার্টফোনে ধারণ করেন এক ইয়াবা আসক্ত তরুণ। এসব ঘটনার দৃশ্যমান বিচার না হওয়ার কারণে ক্রমান্বয়ে ধর্ষণের মত অপরাধ বেড়ে চলেছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় দেশে যেভাবে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত হতো বর্তমানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এধরণের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না৷

তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই অবনতির দায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে। অবিলম্বে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আপামর ছাত্র-জনতা আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তার জন্য ফের আন্দোলন গড়ে তুলবে৷