দেশে মবক্রেসী বা মবতন্ত্র চলছে: জিএম কাদের

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিনা বাঁধায় মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হেনস্তা করার যেন লাইসেন্স পেয়ে গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে মবক্রেসী বা মবতন্ত্র চলছে।

রোববার (৯ মার্চ) জাপার বনানী কার্যালয়ে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন এই অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। বাড়ছে বেকারত্ব। এরই মধ্যে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হচ্ছে। একারণেই, দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাজনীতির নামে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের জন্য উচ্ছৃঙ্খল জনতার অভাব হয় না। সরকার ঘনিষ্ঠ মহল ভাবাদর্শের এ সকল জনতাকে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী বাঁধা দিচ্ছে না, অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে। এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বাহিনী যে কাউকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে তার সহায় সম্পদ লুটপাট করতে পারছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানের একটি বাসায় লুটপাটের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে, অথচ লুটের ঘটনায় ৮০ থেকে ৯০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়। বাকি মানুষ কি কারণে দায় মুক্তি পেল, বোঝা গেল না। ঢালাওভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে করে তাদের মনোবল দূর্বল করে দেয়া হয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন কে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, সেকারণে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে না। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা হয়।

বিজ্ঞাপন

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হক, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কাজী আবুল খায়ের, মাহমুদ আলম, এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।