ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় যেসব খাবার
-
-
|

ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত খাবার / ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান বিশ্বে দুরারোগ্য রোগের মধ্যে সবচেয়ে আতঙ্কজনক রোগ ক্যান্সার। দিন দিন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারমুক্ত থাকার জন্য জীবনযাপনে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। ভারতীয় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তরাগ কৃষ্ণ কিছু খাবারের কথা বলেন, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে।
১. ব্রকলি: ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রকলি খুবই কার্যকর একটি খাবার। তবে প্রতিদিন ব্রকলি খাওয়ার বেলায় অবশ্যই তাজা ব্রকলি বেছে নিতে হবে। ব্রকলি ভেজে খাওয়া উচিত নয়। জলপাই তেলে অল্প করে সটে করে নিতে হবে। এসময় বেশি মশলাও ব্যবহার করা উচিত নয়। সামান্য লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
২. ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, বিশেষ করে অ্যান্থোসায়ানিন। এই উপাদান নিয়মিত খেলে, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারে। অ্যান্থোসায়ানিন র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষের ক্ষতি রোদে ভূমিকা রাখতে পারে, এতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৩. টমেটো: টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন থাকে। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে টমেটো খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে টমেটো সরাসরি না খাওয়াই উত্তম। টমেটো থেকে সর্বোচ্চ উপকৃত হতে চাইলে টমেটো খাওয়ার আগে সামান্য গ্রিল করে নেওয়া ভালো। অল্প গ্রিল করা অবস্থায় খেলে টমেটোর লাইকোপিন সহজে শোষিত হয়।
ব্রকলি এবং ব্লুবেরি দু’টি খাবারই ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। তবে আমাদের দেশে এই খাবার গুলো খুব সহজলভ্য নয়। তাই সাধারণ পরিবারের মানুষের জন্য এই খাবারগুলো বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই এই খাবারগুলোর কিছু সহজলভ্য প্রতিস্থাপক বাছাই করতে পারেন।
৪. ফুলকপি: ফুলকপিও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে চাষের সময় কীটনাশক ব্যবহার করা হলে ফুলকপির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। যারা গ্লুটেন মুক্ত খাবারকে প্রাধান্য দেন, তারা অনায়াসে ফুলকপিকে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৫. আপেল: ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্লবেরির প্রতিস্থাপক হতে পারে আপেল। চিকিৎসকরা রোগ প্রতিরোধে আপেলকে বেশ কার্যকরী হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে অবশ্যই প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন আপেল যাতে মোমের প্রলেপ বা কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসেনি সেসব আপেল। স্বাস্থ্যকর আপেল চেনার উপায় হলো, এর কৃত্রিম চাকচিক্য এবং সুন্দর আকার। টকটকে লাল এবং বড় আকৃতির আপেল বেশি উপকারী নয়। বরং, ফ্যাকাশে রং এবং এবড়োথেবড়ো আকৃতি প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্যকর।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস