যে ১০ কারণে খেজুর খাবেন নিয়মিত

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

খেজুর শুধু একটি সুস্বাদু ফলই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকেই এটি সুস্থতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে উপকারিতার শেষ নেই। আসুন জেনে নেই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখা কেন জরুরি ।

নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

বিজ্ঞাপন

১. তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়

খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। দীর্ঘ সময় কাজের পর ক্লান্তি দূর করতে খেজুর একটি আদর্শ খাবার।

বিজ্ঞাপন

২. হজমশক্তি বাড়ায়

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আপনাদের মধ্যে যারা পেটের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, তারা প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন।

৩. হার্টের জন্য উপকারী

খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

৪. রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে

খেজুর আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং দুর্বলতা দূর হয়।

৫. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের নিউরনকে সুরক্ষা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুর মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতেও কার্যকরী।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খেজুরে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যারা ওজন বাড়াতে বা কমাতে চান, তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাবার। এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে।

৮. ত্বক ও চুলের জন্য ভালো

খেজুরে অ্যান্টি-এজিং উপাদান ও ভিটামিন সি ও ডি থাকে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের গঠন মজবুত করে।

৯. হাড় মজবুত করে

খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

১০. ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে

যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর উপকারী হতে পারে। এতে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে।

প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও পুষ্টিকর এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের সুস্থতা বজায় রাখা সহজেই সম্ভব। তাই আজ থেকেই খাদ্য তালিকায় খেজুর যোগ করুন এবং উপভোগ করুন সুস্বাস্থ্য ও প্রশান্ত জীবন!

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার