নৈশভোজের পরও ক্ষুধা লাগতে পারে যেসব কারণে
-
-
|

মিডনাইট ক্রেভিং / ছবি: পিক্সাবে
ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে রাতের খাবার খাওয়া ঠিক নয়। খাবার হজম হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাকস্থলিকে দিতে হয়, বিধায় বিশেষজ্ঞরা রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার বেশ আগে রাতের খাবার খাওয়ার কথা বলেন। তবে যারা রাতে দেরী করে ঘুমান, তারা প্রায়ই মাঝরাতে ক্ষুধা অনুভব করেন। যাকে ইংরেজিতে মিডনাইট ক্রেভিং বলে।
রাতে এভাবে ক্ষুধা লাগাটা খুব স্বাভাবিকও নয়। কেননা, মাঝরাতে ক্ষুধা লাগার বিশেষ কারণ থাকতে পারে। যেমন-
১.দিনের বেলায় প্রতিবার খাওয়ার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না খাওয়া।
২. ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরে শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি করার ফলে।
৩. মানসিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট আবেগগত উদ্দীপনা (যেমন :একঘেয়েমি, একাকিত্ব, চাপ) অনুভব করলে।
৪. খাওয়ার পরও কোনো নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে।
৫.দিনের বেলায় শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ফাইবার, প্রোটিন বা ফ্যাট কম গ্রহণ করা হলে।
৬. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে এমন কোনো অসুখ বা শারীরিক সমস্যা থেকে থাকলে।
এছাড়াও, অনেকেই ব্যস্ততার কারণে বা অভ্যাসবশত রাতের খাবার দেরী করে খান। অনেকে আবার ক্ষুধা লাগলে মাঝরাতে খাবার খেতে পছন্দ করেন। তবে, রাতে দেরীতে খাওয়ার এই অভ্যাস, স্বাস্থ্যের জন্য আসলে কতটা খারাপ?
সবার জন্য যে রাতে খাবার খাওয়া ঠিক নয়, এমনটা নয়। ব্যক্তিভেদে শারীরিক সমস্যার ভিত্তিতে রাতে খাওয়া খাবার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। যেমন অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশি রাতে খাবার খাওয়া উচিত নয়।
কেননা ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে খাবার খেলে তা পেটে অ্যাসিড রিয়েকশন করে। তাই খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে অ্যাসিড খাদ্যনালিতে উঠে যেতে পারে। এতে অস্বস্তি এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে।
আবার, ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়। নয়তো রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টার মেডিকেল সেন্টার