স্যান্ডউইচ এমন একটি খাবার, যা শুনলেই লেটুসপাতা, শসা, চিজের ফালি বা মাংস দিয়ে তৈরির কথাই মাথায় আসে। তবে আজ শেয়ার করব সবজি এবং মাংস বাদে ভিন্নধর্মী এবং ভিন্ন সাইজের এক স্যান্ডউইচ রেসিপি যার নাম মিনি স্যান্ডউইচ। নামের মতই খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এই স্যান্ডউইচ।
তৈরি করতে যা লাগবে
হোয়াইট ব্রেড এবং ব্রাউন ব্রেড
বিজ্ঞাপন
চিজ ক্রিম
স্লাইস চিজ
বিজ্ঞাপন
লেটুসপাতা
রেড আঙুর
যেভাবে তৈরি করবেন
মিনি স্যান্ডউইচ বানানোর জন্য প্রথমে দুই ধরনের ব্রেড এবং একটা বাটিতে ক্রিম চিজ নিয়ে নিন। প্রথমে একটা ব্রেডের চারপাশটা কেটে নিয়ে সেটার মাপে সবগলো কেটে নিতে হবে।
এবারে একটি ব্রাউন ব্রেড নিয়ে তাতে চিজ ক্রিম মাখিয়ে নিন। চিজ ক্রিম মাখানো হয়ে গেলে নিয়ে নিন এক স্লাইস চিজ। এবারে চিজের উপর দিয়ে দিন হোয়াইট ব্রেড। এখন ব্রেডগুলোকে চার টুকরো করে কেটে নিন। চার টুকরো করাতেই হয়ে যাবে এটা মিনি।
ডেকোরেশনের জন্য সবগুলো ব্রেডের উপরে সামান্য একটু ক্রিম চিজ লাগিয়ে নিন যা আঠারও কাজ করবে এবং লেটুসপাতাকে আটকে রাখবে।
এবারে একটি লেটুসপাতা ছোট ছোট করে ছিড়ে ব্রেডের উপর দিয়ে দিন। এরপর দিন রেড আঙুর। আঙুরগুলো টুথপিকের সাহায্যে গেঁথে ব্রেড স্যান্ডউইচের উপরে দিয়ে দিন।
ব্যাস ঝটপট তৈরি হয়ে গেলো মিনি স্যান্ডউইচ। মিনি বলে এর স্বাদ কিন্তু মিনি নয়। তাই এই রেসিপি মতো তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ওয়েস্টার্ন এই খাবারটি।
সন্তান জন্মদানের অনুভূতি একইসঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে পীড়াদায়ক এবং আনন্দঘন অনুভব। মাসের পর মাস শরীরের ভেতরে একটি প্রাণের বেড়ে ওঠা, তাকে কোলে তুলে নেওয়ার দিনটির জন্য অপেক্ষা করা প্রতিটি নারীর স্বপ্ন। একটি শিশুর জন্মদানের ঘটনাটি খুব সাধারণ হলেও সহজ নয়। অনেক নারী বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করে যান একটি প্রাণের সঞ্চারের অপেক্ষায়। অনেকের এই সাধারণ স্বপ্নটিও অধরা থেকে যায় আজীবনের জন্য!
দীর্ঘদিন গর্ভধারণের চেষ্টা করে যাওয়ার পরও যখন ফলাফল নেতিবাচক হয়, তখন হতাশার গভীরতা গ্রাস করতে শুরু করে। বিশ্বজুড়ে অনেক নারী সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে নানা ছোট-বড় অসুবিধার সম্মুখীন হন। দেখা যায় এখন এটি একটি সাধারণ সমস্যার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আগের তুলনায় বন্ধ্যাত্বের হার এখন বিশ্বব্যাপী অনেক বেড়েছে।
গর্ভধারণ পরীক্ষা / ছবি: সংগৃহীত
কারো ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক গুরুতর এবং দুরারোগ্য। আবার অনেকের সমস্যা চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করে গর্ভধারণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করা সম্ভব। তবে সাবধানতার মার নেই। জীবন যাপনের যে অভ্যাসগুলো ধরণ গর্ভধারণের উর্বরতা কমানোর ক্ষেত্রে প্রভাব প্রভাব ফেলতে পারে, সেসব ত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণের উর্বরতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতীয় চিকিৎসক হিতেশা রমনানি রোহিরা এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন।
ওজন: অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন শরীরের জন্য ঠিক নয়। অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও অনিয়ন্ত্রিত ওজন সমস্যা করতে পারে। যেমন সঠিক ওজন না থাকলে অনিয়মিত মাসিক চক্রের সমস্যা হয়।
অ্যালকোহল: মদ্যপানের অভ্যাস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ করার পাশাপাাশি বন্ধ্যাত্বর জন্যও দায়ী হতে পারে। তাই কোনো নারীর মদ্যপানের অভ্যাস থাকা ভালো নয়। যদি অভ্যাস থাকেও, গর্ভধারণ কালীন সময় অ্যালকোহল পান করা বন্ধ করুন। নয়তো গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হয়।
ধূমপান: মদ্যপানের মতো ধূমপানও শিশু জন্মদানের প্রকি্রয়া ব্যাহত করতে পারে। নারীদের ধূমপানের ফলে ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমে যায়, ডিম্বাণুর গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করে এবং শুক্রাণুর গুণমানকেও প্রভাবিত করে।
গর্ভবতী মায়ের যত্ন / ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধখাবার: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। যা মূলত পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে যথাক্রমে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু উভয় কোষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই গর্ভধারনের প্রস্তুতিকালে প্রতিদিনের খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় আরও ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং শস্যজাতীয় অর্থাৎ ফাইবারজাতীয় খাবারের আধিক্য রাখুন।
ওমেগা-৩ফ্যাটিঅ্যাসিডখান: চর্বি এমন একজাতীয় খাবার, যার ব্যাপারে খুব সচেতন থাকা জরুরি। কেননা অতিরিক্ত চর্বি যেমন শরীরে জমে অযাচিত ওজনবৃদি্ধর কারণ হয়; অপরদিকে স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া শরীরে তাপ উৎপাদন এবং সুস্বাসবথ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাতৃত্ব উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। চর্বিযুক্ত মাছ, আখরোট এবং চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে ।
ক্যাফেইন: প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের কম ক্যাফেইন পান করা বেশি ক্ষতিকর নয়। দিনে এক বা দুই কাপ কফিতেই সাধারণত ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। এর বেশি পান করলে তা গর্ভধারণের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলতে পারে।
বাড়তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চান! রাখতে পারেন এই ৫ রঙের খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ছবি: সংগৃহীত/ রঙিন ফল, শাক- সবজি
লাইফস্টাইল
আপনার প্লেটে যত বেশি রঙিন, তত বেশি পুষ্টি! প্রকৃতির দেওয়া বিভিন্ন রঙের খাবার শুধু দেখতে সুন্দর নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। ফল ও শাকসবজির উজ্জ্বল রঙ আসলে এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরই পরিচায়ক, যা আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে ফল এবং শাকসবজির মতো পূর্ণাঙ্গ খাবার বেশি করে খাওয়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রচারের অন্যতম সহজ উপায়। ফল এবং শাকসবজি কেবল স্বাদে সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় নয়, বরং এগুলিতে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতাও রয়েছে, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অনেক ফল এবং শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে তাদের রঙ পায়। আসলে, আপনি কেবল ফল বা সবজির রঙ দেখে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং তাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন উজ্জ্বল লাল টমেটো থেকে শুরু করে গাঢ় বেগুনি বেগুন, খাবারের প্রাকৃতিক রঙের উপর ভিত্তি করে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের জন্য এই ৫টি রঙ খেতে হবে
১. সবুজসবুজ ফল, শাক- সবজি
আপনার খাদ্যতালিকায় প্রথমে যে রঙটি যোগ করতে হবে তা হল সবুজ। এটি অনেক ধরণের সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছে পাতাযুক্ত শাক যেমন কেল, বোক চয়, পালং শাক এবং অন্যান্য সবজি যেমন শসা, মটর এবং অ্যাভোকাডো। ইউএসডিএ (USDA) অনুসারে, এই স্বাস্থ্যকর সবুজ খাবারগুলিতে লুটেইন, ক্লোরোফিল এবং ইন্ডোলের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ, যা চোখকে রক্ষা করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, শক্তি বাড়াতে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে, কোলাজেন তৈরি করতে এবং আপনার শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে।
২. কমলা/হলুদহলুদ ফল, শাক- সবজি
আম, স্কোয়াশ, গাজর এবং মরিচের কথা ভাবুন! এই উজ্জ্বল এবং সুন্দর হলুদ এবং কমলা রঙের ফল এবং সবজি ক্যারোটিন এবং জ্যান্থোফিলে ভরপুর। ডি কে পাবলিশিংয়ের হিলিং ফুডস বই অনুসারে, এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলির ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং হৃদরোগ-প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, চোখ এবং মস্তিষ্ককে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
৩. লাল
স্ট্রবেরি , চেরি, টমেটো, ক্র্যানবেরি, রাস্পবেরি, আপেল, বিট, লাল আঙ্গুর, লাল মরিচ, লাল পেঁয়াজ এবং তরমুজের মতো ফল এবং সবজিতে লাল একটি আকর্ষণীয় রঙ । হার্ভার্ড হেলথের মতে, এই খাবারগুলিতে লাইকোপিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগ, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ফুসফুসের রোগ থেকে রক্ষা করে।
৪. নীল/বেগুনিনীল/বেগুনিফল, শাক- সবজি
প্রাকৃতিক খাবারের আরেকটি চমৎকার রঙ হল নীল বা বেগুনি। আপনি এটি ব্লুবেরি, আঙ্গুর, রেড ওয়াইন, কিশমিশ এবং বেগুনে খুঁজে পেতে পারেন। চিকিৎসকদের তথ্য মতে, অ্যান্থোসায়ানিন এবং রেসভেরাট্রল সমৃদ্ধ, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য বৃদ্ধি পায়, হরমোনের মাত্রা ভারসাম্যে সহায়তা করে এবং মুক্ত র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৫. সাদাসাদা ফল, শাক- সবজি
সাদা ফল এবং শাকসবজির রঙ উজ্জ্বল নাও হতে পারে, তবুও এগুলো ফাইটোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর। রসুন, কলা, পেঁয়াজ, মাশরুম, শালগম, আলু এবং আদার মতো অনেক সাদা রঙের খাবার অ্যালাইল সালফাইড এবং অ্যান্থোক্সানথিনের ভালো উৎস। হিলিং ফুডস বই অনুসারে, এই খাবারগুলি গ্রহণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার প্লেটে এই রঙিন খাবার যোগ করুন, স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের মাধ্যমে সুস্থ জীবন উপভোগ করুন!
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিজস্ব মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। জীবনে চলার জন্য ভাষার প্রয়োজন এবং প্রয়োগ ব্যাপক। ভাষার সঠিক চর্চার জন্য ছোট থেকেই শিশুদের ভাষা শিক্ষার উপর জোর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে পরিবারের বড়দেরই দায়িত্ব ছোটদের শিক্ষাকালীন বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।
বাচ্চাদের স্পষ্টভাবে কথা বলতে সাহায্য করার জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যেমন:
১. শিশুদের সাথে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে এবং স্পষ্টভাবে কথা বলুন। সন্তানের সাথে কথা বলার সময় বা যখন তার সামনে অন্য কারো সাথে কথা বলবেন, তখন নিজের উচ্চারণ এবং গতি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
শিশুর ভাষাশিক্ষা / ছবি : সংগৃহীত
২. শিশুরা কথা বলার সময় তাদের চোখে চোখ রাখুন। এতে তাদের সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তাছাড়া যখন আপনি কথা বলবেন তখনও চেষ্টা করবেন শিশুও যেন আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলে। এতে তাদের আপনার মুখের ভাব এবং নড়াচড়ার উপর মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।
৩. শিশুর সাথে কথা বলার সময় যতটা সম্ভব ছোট এবং সহজ বাক্য ব্যবহার করুন। জটিল শব্দ শিশুদের ধারণায় প্রভাব ফেলে। ছোট করে কথা বললে তা সহজে বোধগম্য হয়। একটা কথা বোঝানোর সময় তা ভেঙে ভেঙে বাক্যাংশে হিসেবে বলুন।
৪. আপনি যখন সন্তানকে কোনো বিশেষ অধ্যায় শেখাতে চাইবেন, তখন তাকে বলুন প্রতিটি লাইন আপনার পরে বলতে। শিশুর জন্য চ্যালেঞ্জিং হলে বাক্যাংশ হিসেবে আওড়ে তা পুনরাবৃত্তি করতে বলুন। এভাবে কোনো বাক্য বা শব্দ অনুকরণকে উৎসাহিত করুন।
৫. এমন কোনো গেম খেলুন, যা তাদের যেসব শব্দ শিখতে সমস্যা হয়, সেসব শব্দেই বেশি জোর দিচ্ছে। পাজল বা শব্দছন্দ জাতীয় খেলার মাধ্যমে শিশুদের শেখার প্রক্রিয়া সহজতর হয়। এভাবে নির্দিষ্ট শব্দ এবং ভাষার কোনো ব্যাকরণগত অনুশীলন চর্চা করুন।
৬. ইতিবাচক শব্দে জোর দিন এবং তাদের সাহস জোগান দিন তাদের প্রচেষ্টা এবং অগ্রগতির প্রশংসা করুন।
৭. সহজ ও শুদ্ধ শব্দের মাধ্যমে অনুশীলন তৈরি করুন এবং ধৈর্যে্যর সাথে চর্চা চালিয়ে যান। চেষ্টা করবেন আশেপাশে যেন অযাচিত শব্দ কম থাকে। বাড়ির সবচেয়ে শান্ত কক্ষে পড়াশোনা করতে পারেন।
শিশুর ভাষাশিক্ষা / ছবি : সংগৃহীত
৮.অনবরত শিশুদের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৯. শিশুর কোনো অস্বাভাবিক সমস্যা থাকলে এবং তা দীর্ঘদিনেও সমাধান না হলে স্পিচ থেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
শেফস অ্যাভিনিউর যাত্রা শুরু, স্বাদের মেলায় নতুন কিছু
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
|
শেফস অ্যাভিনিউর যাত্রা শুরু, স্বাদের মেলায় নতুন কিছু
লাইফস্টাইল
বৈচিত্র্যময় খাবার পরিবেশনে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা দিতে রাজধানীর উত্তরায় যাত্রা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মানের ফুড হাব ‘শেফস অ্যাভিনিউ।’ উত্তরার মাস্কট প্লাজায় উদ্বোধন হয়েছে ‘শেফস অ্যাভিনিউ’র। একই ছাদের নিচে ভিন্ন ধাঁচের স্বাদ ও সেরা ডাইনিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নজর কাড়বে ‘শেফস অ্যাভিনিউ।’
১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ফুড চেইনের মাধ্যমে দেশি খাবার থেকে শুরু করে ইতালীয়, কোরিয়ান, চাইনিজ এবং মেক্সিকান খাবার মিলবে ‘শেফস অ্যাভিনিউ’তে। পাশাপাশি বিনোদনের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) রাইডের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে মিলবে থ্রিডি জগতের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
শিশুদের জন্য রয়েছে দারুণ সব খেলার সমারোহ ও আকর্ষণীয় প্লে-গ্রাউন্ড।
খাঁটি পেশওয়ারি খাবারের স্বাদ পেতে শেফস অ্যাভিনিউতে আছে ‘লাহোরি নিহারি ঢাকা।’ আছে অথেনটিক কোরিয়ান স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত ‘কড়া ফ্রাই’ এর স্টল। পাশাপাশি ‘বার্গার ব্যাশ’, ‘জ্যাবস অ্যান্ড শ্যাবস কিচেন’, ‘চার্ড’, ‘মাসালা মন্ত্র’, ‘কেএফডি এক্সপ্রেস’ সহ অন্যান্য স্টলগুলোতে মিলবে বৈচিত্র্যময় নানা খাবারের সমাহার। এছাড়া ডেজার্ট হিসেবে ডোনাট বা মিষ্টি-জাতীয় খাবারের জন্য রয়েছে ফুড চেইন ‘গ্লেজড।’ সেখানে সিগনেচার আইটেম হিসেবে কফি ও আইসড ড্রিংক তো থাকছেই।
শেফস অ্যাভিনিউর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈচিত্র্যময় এসব খাবারের দাম হাতের নাগালেই।
শুধু বৈচিত্র্যময় আর মানসম্মত খাবারই নয়, আট হাজারেরও বেশি বর্গফুটের শেফস অ্যাভিনিউ সাজানো হয়েছে চমৎকার ইন্টেরিয়র ডিজাইনে। আকর্ষণীয় লাইটিং, কালারফুল ডেকোরেশন ছাড়াও এখানে প্রচুর ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা হয়েছে, যা একে আরও প্রাণবন্ত ও সজীব করে তুলেছে।
শেফস অ্যাভিনিউর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত করিম তনিমা বলেন, ‘মানসম্মত ও বৈচিত্র্যময় খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি নান্দনিক অন্দরসজ্জা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা জোর দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বমানের এই ফুড হাবটি অচিরেই রাজধানীবাসীর কাছে প্রিয় হয়ে উঠবে।’
নুসরাত করিম তনিমা আরো জানান, ভালো খাবার আর সুন্দর পরিবেশ- এই দুইয়ের সমন্বয়ে অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হবে শেফস অ্যাভিনিউ। পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে তাই শেফস অ্যাভিনিউ হতে পারে একটি আদর্শ স্থান।