এক দিনে পবিত্র কাবায় ৫ লাখ উমরা পালনকারী

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাবায় রেকর্ড সংখ্যক উমরাকারীর ভিড়, ছবি: সংগৃহীত

কাবায় রেকর্ড সংখ্যক উমরাকারীর ভিড়, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ তথা মসজিদে হারাম এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো। এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক উমরা পালনকারী এই মসজিদে প্রবেশ করেন, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক উপস্থিতি। এর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।

সৌদি কর্তৃপক্ষ এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছে অত্যাধুনিক এআই-চালিত ভিড় ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ও রিয়েল-টাইম সেন্সর ডেটার ব্যবহারকে। যা মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশেষ করে মাতাফ ও সাঈয়ের পথকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করছে বলে জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

এসব এলাকায় চলাচল সনাক্তকরণ এবং যানজটযুক্ত এলাকাগুলো আরও নির্ভুলতার সঙ্গে চিহ্নিত করার জন্য স্মার্ট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

মসজিদে হারামে স্থাপিত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার পাশাপাশি, মক্কার নিরাপত্তায় নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ হজযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ভিড় সত্ত্বেও বয়স্কদের সহায়তা, হারিয়ে যাওয়া শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া ও অসুস্থদের সেবায় কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা অন্যতম আলোচিত বিষয়।

বিজ্ঞাপন
সাফা-মারওয়ায় সাঈ করছেন উমরাকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সাল থেকে উমরা পালনকারীর সংখ্যা ৫৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র স্থানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফল হিসেবে দেখছে সৌদি আরব।

২০২৩ সালে বার্ষিক ১ কোটি ৩৫ লাখ উমরা পালনকারীর রেকর্ডের পর, ২০২৫ সালের ৬ মার্চ এক দিনে অসাধারণ এই সংখ্যা নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করল। রমজান শেষে আগেকার সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

রমজানের উমরা নবী কারিম (সা.)-এর সঙ্গে হজের সমতুল্য। এ জন্য সারাবিশ্ব থেকে মুসলিমরা রমজানে উমরা পালনে ছুটে আসেন সৌদি আরবের মক্কায়। রমজানে উমরা আদায় করা হজের সমান। এক বর্ণনা মতে, রমজানের উমরা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ আদায়ের সমতুল্য।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এক আনসারি নারীকে বললেন, আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? মহিলা বলল, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল। কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছে। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যা দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী কারিম (সা.) বললেন, আচ্ছা! রমজান এলে তখন উমরা করে নিও। কেননা রমজানের একটি উমরা একটি হজ। -সহিহ বোখারি: ১৭৮২