বুর্জ আল খলিফায় সাহরি ও ইফতারের ৩ সময়

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বুর্জ আল খলিফায় সাহরি ও ইফতার, ছবি: সংগৃহীত

বুর্জ আল খলিফায় সাহরি ও ইফতার, ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের সর্বোচ্চ আইকনিক স্থাপনা বুর্জ খলিফা। প্রায় ৮২৮ মিটার বা ২ হাজার ৭১৭ ফুট উচ্চতার বুর্জ খলিফায় ১৬০টির বেশি তলা (ফ্লোর) রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে এখানে একত্রিত হন মুসলিমরা। অবাক করা বিষয় হলো, ভবনটির ১৬০ তলায় পৃথক তিনটি সময়ে ইফতার করেন।

স্থাপনাটির উচ্চতাভেদে সাহরি ও ইফতারের সময়ে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। কারণ এখানকার অধিবাসীরা দুই থেকে তিন মিনিট ব্যবধানে সূর্যাস্ত দেখেন।

বিজ্ঞাপন

দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভবনের নিচ দিকে বসবাসকারীদের ওপরে দিকে বসবাসকারী চেয়ে দুই মিনিট আগে রোজা শুরু করা উচিত।

প্রতিষ্ঠানটি ফতোয়া বিভাগের প্রধান আহমেদ আবদুল আজিজ আল হাদ্দাদ জানান, বুর্জ খলিফার বাসিন্দাদের ভবনের স্তরের ওপর নির্ভর করে ইফতার, সূর্যাস্ত ও ফজরের নামাজের জন্য বিভিন্ন সময় পালন করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন এই টাওয়ারের ৮০ তলা থেকে ১৫০ তলায় বসবাসকারী মুসলিমদের ইফতারের খাবার দুই মিনিট বিলম্বে করা উচিত। এরপর ১৫১ তলা থেকে ১৬০ তলায় বসবাসকারী তিন মিনিট দেরিতে ইফতার করা উচিত।

তিনি আরও জানান, ৮০-১৫০ তলার বাসিন্দাদেরও মাগরিব ও রাতের নামাজ দুই মিনিট দেরিতে এবং ফজরের নামাজ দুই মিনিট আগে আদায় করা উচিত।

অন্যদিকে ১৫০ তলার ওপরে যারা আছেন তাদের মাগরিব ও রাতের নামাজ তিন মিনিট দেরিতে আদায় করা উচিত এবং ফজরের নামাজ তিন মিনিট এগিয়ে আনা উচিত।

ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে, ৮০ তলা থেকে এর কমে বসবাসকারীদের জন্য স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের আজানের সময় অনুযায়ী ইফতার করতে হবে।

১৬০ তলা ভবনের সময়ের এই পার্থক্যের কারণ হলো, ওপরের তলার বাসিন্দাদের সূর্যাস্ত দেরিতে হয়। সেখানকার বাসিন্দারা ভোরের দিকে প্রথম সূর্যোদয় দেখেন।