ইউক্রেনকে সমর্থন জানাতে কিয়েভে ইউরোপীয় নেতারা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের তিনবছর পূর্তিতে কিয়েভে আসতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় নেতারা। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে। খবর- বিবিসি। 

ইউক্রেনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে ইতোমধ্যে কিয়েভে পৌঁছেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলনে যোগ দেয়নি। দেশটির নেতৃস্থানীয়রা তাদের সঙ্গে খনিজ চুক্তিতে যেতে ও যুদ্ধ অবসানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপরে নানাবিধ চাপ তৈরি করছে।
সাপোর্ট ইউক্রেন সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো শ্যানচেজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে ও সুইডেনের নেতৃস্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

জেলেনস্কি বলেছেন, সব যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি শুরু হতে পারে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার অবশ্যই ইউক্রেনীয়দের মুক্ত করে দিতে হবে। ইউক্রেনে প্রত্যেকের বদলে বিনিময় করতে প্রস্তুত।

তিন বছর আগে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। এক পর্যায়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক এবং রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করা হয়। তবে, প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা এবং পূর্ব ইউক্রেনে সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে শুরু থেকেই সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ। তবে, ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরই সেই চিত্র পাল্টে যায়। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘যে কোনো কিছু’ পেতে চায়। শনিবার মার্কিন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার ‘প্রত্যাবর্তন’ তিনি নিশ্চিত করতে চান।

বিজ্ঞাপন

এ জন্য ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ‘প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি। এ দিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছাড়াও ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, স্পেন এবং সুইডেনের নেতারাও ইউক্রেন সফর করছেন।