চলতি সপ্তাহেই শেষ হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলতি সপ্তাহেই অবসান ঘটতে পারে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এমনই ইঙ্গিত দিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। খবর-বিবিসি। 

লেভিট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি আলোচনার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি) থেকে ফিরে সাউথ লনে সাংবাদিকদের লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর খুব বেশি মনোযোগী এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও খুব আত্মবিশ্বাসী যে- আমরা এই সপ্তাহে এটি সম্পন্ন করতে পারব।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আর কোনও অপশন নেই এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের সাথে ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনা থেকে তাকে বাদ দেওয়া উচিত বলে ট্রাম্প দাবি করার পরে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কাছ থেকে এই মন্তব্য এসেছে।

বিজ্ঞাপন

লেভিট বলেছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এই সপ্তাহান্তে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ‘দিন-রাত’ কাজ করবেন এবং উল্লেখ করেছেন, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট নিজেও খনিজ ব্যবহার সংক্রান্ত ইউক্রেনের সাথে একটি প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট আরও বলেন, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ এসব খনিজ পদার্থ প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমেরিকান ট্যাক্স ডলার ফিরিয়ে আনবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। বিগত তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানি হয়েছে দুই পক্ষেরই।

এদিকে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দায় জেলেনস্কির কাঁধে চাপালেও এবার ভিন্ন সুর ট্রাম্পের কণ্ঠে। শনিবার ওয়াশিংটনে একটি সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাশিয়াই ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। তবে জেলেনস্কি এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রুশ আক্রমণ এড়াতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।

পাশাপাশি ট্রাম্প জানান, শিগগিরই খনিজ নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি হবে।