‘এক মিনিট’ নাটকের দৃশ্যে ফারিণ খান, জুনায়েদ ও তানভীর
বিনোদন
সুন্দরী তরুণী জুঁইকে ঘিরে পাগল চার তরুণ। তবে জুঁই এদের একজনকে ভালোবাসে। বাকি তিন তরুণের কেউ চায় জুঁইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে কেউ চায় বিয়ে করতে। এমনই এক রোমান্টিক কমেডি গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘এক মিনিট’।
সোহাইল রহমানের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন তিনি নিজেই। এটি তার নির্মিত প্রথম নাটক। তার সঙ্গে এখানে যৌথ নির্মাণে রয়েছেন আল হাদী। নাটকটিতে জুঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা ফারিন খান। আর তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন মেধাবী অভিনেতা আবু হুরায়রা তানভীর, জুনায়েদ বোকদাদী এবং সৈয়দ নাজমুস সাকিব। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে মীর রাব্বীকেও।
বিজ্ঞাপন
আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, ‘নাটকের গল্পটা একটু অন্যরকম। একদম লাইট কমেডি জনরার। কাজটি করতে গিয়েও বেশ মজা পেয়েছি। রোমান্স, ফান, কমেডি সবকিছুর মিশ্রণ রয়েছে এতে। দর্শকদের ভালো লাগবে।’
‘এক মিনিট’ নাটকের পোস্টার
নির্মাতা সোহাইল রহমান বলেন, ‘আমি মূলত নাটক লিখি। এটা আমার নির্মিত প্রথম নাটক। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নরকম কিছু করার। গল্পটা রোমান্টিক কমেডি জনরা দিয়ে শুরু হয়ে শেষে একদম কমেডিতে চলে যায়। প্রতি মুহূর্তেই ফান রয়েছে। আশা করি সবার কাছে কাজটি ভালো লাগবে।’
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রযোজিত ‘এক মিনিট’ নাটকটি দেখা যাচ্ছে কে এস এন্টারটেইনমেন্ট এর ইউটিউব চ্যানেলে।
‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ নিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডকে নির্মাতা জীবনের খোলা চিঠি
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিমকে খোলা চিঠি তুলে দেন জীবন শাহাদাৎ
বিনোদন
সদ্যই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ছোটপর্দার পরিচালকদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’-এর নতুন মেয়াদের নির্বাচন। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও নির্মাতা শহীদুজ্জামান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফরিদুল হাসান। এই নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নিয়েছিলেন তরুণ নির্মাতা জীবন শাহাদাৎ।
একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হয়ে গেলো ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আর সেখানেই নবনির্বাচিত কমিটির কাছে এক খোলা চিঠি দিলেন নির্মাতা জীবন শাহাদাৎ। সেই চিঠির বিষয়বস্তু দেখে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই জীবনের প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন।
সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর জীবন সেই খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘আপনাদের এবং নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ-এর নেতৃত্বে নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী যে সংগঠনটি বাংলাদেশের টেলিভিশন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সৃজনশীলতা বিকাশে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’-এর নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জীবন
এরপরই তিনি নিজের বিষয়বস্তুতে আসেন জীবন। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের টেলিভিশন ও ডিজিটাল কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রির অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই, আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাই যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ডিরেক্টরস গিল্ড ও প্রাসঙ্গিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সংগঠনগুলোর সঙ্গে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি পেলে আমাদের পরিচালকদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। যৌথ প্রযোজনা, আন্তর্জাতিক ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ, উৎসবসহ নানা ধরনের কার্যক্রমে বাংলাদেশি পরিচালকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।’
এরপর ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের কমিটিতে ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে একটি উপকমিটি গঠন ও ‘আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক’-এর পদ সৃষ্টির ব্যাপারে দৃষ্টিআরোপ করেন। জীবন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে একটি উপকমিটি গঠন প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একইসঙ্গে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে গঠনতন্ত্র সংশোধনক্রমে আগামী কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ‘আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক’ পদ সৃষ্টি করার বিষয়টি আপনাদের দৃষ্টিতে বিবেচনার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। সংগঠনের সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করছি।’
জীবন শাহাদাতের খোলা চিঠি সানন্দে গ্রহণ করে ‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’-এর নবনির্বাচিত কমিটি
দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেতা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক করে তরুণদের গঠিত এই নতুন দলকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। শোবিজ অঙ্গনের অনেককেও দেখা গেছে নতুন দলের প্রতি আস্থা রাখতে। এবার এনসিপি প্রসঙ্গে সরব হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিরাপদ সড়ক চাই-এর (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে জেনে তাদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই। আমি বিশ্বাস করি, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণ নেতৃত্বের হাতে নতুন রাজনীতির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অপরিসীম। আমি সবার মঙ্গল কামনা করছি এবং সেই সঙ্গে আশা করছি, এই নতুন দল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। তারা গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)'র নেতারা
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি বিদ্যমান অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যে রকমভাবে কাজ করছে সেভাবে কাজ করলেই শুধু হবে না। তাদের নতুন চিন্তা, নতুন জাগরণের মাধ্যমে বিশেষ করে জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে দল পরিচালনা করতে হবে। যে স্বপ্ন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা মানুষ দেখেছিল জুলাইয়ের বিপ্লবের পরে সেই আকাঙ্ক্ষা যেন তারা পূরণ করে জাতির জন্য এবং পূরণ করার জন্য যেন সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
নতুন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই চিত্রনায়ক বলেন, মানুষ সমালোচনা করবে। তবে সেই সমালোচনাগুলোকে আপনারা সুন্দরভাবে গ্রহণ করবেন এবং তার মধ্য থেকে যদি আপনাদের জন্য উপকারী কিছু থাকে, সেটি অবশ্যই গ্রহণ করবেন।
নিরাপদ সড়ক চাই-এর (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন
তিনি বলেন, আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল। আপনাদের দল অগ্রগতি লাভ করুক। শুধু ক্ষমতায় যেতে হবে তা নয়। ক্ষমতার বাইরে থেকেও কিন্তু অনেক কিছু করা যায়। কাজেই দলের কাজ হলো মানুষের কথা চিন্তা করা ও তারা কী চায় তা প্রাধান্য দেওয়া। আশা করি সে কথা চিন্তা করে আপনারা আপনাদের দল পরিচালিত করবেন।
ক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এ রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইংরেজিতে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি, সংক্ষেপে এনসিপি। কয়েক দিন আগে থেকেই নতুন দলের নাম ও শীর্ষ পদগুলোতে কারা আসছেন, সেই খবর প্রকাশ হতে থাকে গণমাধ্যমে। আত্মপ্রকাশের সময় সেই তালিকা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকে। আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।
সৈয়দপুর, রাজশাহী, গাজীপুর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি 'দাগি' সিনেমার শুটিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হয়েছে। শিহাব শাহীন পরিচালিত, আফরান নিশো-তমা মির্জা অভিনীত এই সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হবার বিষয়টি পরিচালক শিহাব শাহীন ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'ইটস র্যাপ আপ'। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন 'দাগি'।
ভিডিওতে দেখা যায়, শুটিং শেষ হওয়ার খুশিতে নির্মাতাসহ বাকী কলাকুশলীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। সবাই একসঙ্গে হাত উঁচু করে, 'ভি' চিহ্ন দেখিয়ে সমস্বরে বলে ওঠেন, 'র্যাপ আপ'!
এরপর নিশো মজা করে বলেন, 'সকল মুখের ঝগড়ার সমাপ্তি। এখন থেকে হাতাহাতি হবে!' জানা যায়, আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
শুটিং শেষ হওয়ার খুশিতে নির্মাতাসহ বাকী কলাকুশলীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত
'দাগি' সিনেমা নিয়ে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, "শিহাব শাহীন 'দাগি' সিনেমায় একটি চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হবেন। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন আফরান নিশো। একটি ভালো গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র হিসেবে দাগি'র নির্মাণে পরিচালকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ সরবরাহের চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি 'দাগি' পরিচালক শিহাব শাহিনের সেরা নির্মাণ হতে যাচ্ছে। কারণ দাগি'র পুরো টিম এই সিনেমার জন্য বেস্ট এফোর্ট দিয়েছে যা বড় পর্দায় দর্শকদের মুগ্ধ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ঈদে দাগি'র পাশাপাশি অনেক সিনেমা আসছে সবার জন্য আমার শুভকামনা। দাগি নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই কারণ আমি দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ গল্পনির্ভর সিনেমা দেখতে চায় এবং দাগি একটি অসাধারণ গল্পের সুনির্মাণ। শিহাব শাহীনের মত পরিক্ষিত পরিচালক যখন আফরান নিশোর মত অভিনেতাকে নিয়ে দাগি নির্মাণ করে সেই সিনেমা নিয়ে প্রযোজক হিসেবে আমার চিন্তিত হবার কিছু নেই।"
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে 'দাগি' সিনেমার শুটিং শুরু হয়। সে সময় আফরান নিশো বলেছিলেন, "আমি সব সময় গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সিনেমা করতে চাই। যেখানে গল্পটাও একটা চরিত্র হবে। সেই দিক থেকে 'দাগি'র গল্প আমার খুব ভালো লেগেছে। দর্শকদের জন্য বেশে উপভোগ্য হবে সিনেমাটি।"
‘সুড়ঙ্গ'র পর ‘দাগি’তে আবারও জুটিবদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা ও আফরান নিশো
আফরান নিশো অভিনীত এটি দ্বিতীয় সিনেমা। তার প্রথম সিনেমা রায়হান রাফি নির্মিত 'সুড়ঙ্গ'। এই সিনেমায় নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তমা মির্জা। সেই হিসেবে নিশো ও তমা জুটির দ্বিতীয় সিনেমা ''দাগি'।
'দাগি' সিনেমায় আফরান নিশো ও তমা মির্জা ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে চলছিল কাদা ছোড়াছুড়ি। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানি মামলায় কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুম্বাইয়ের আদালত।
তবে মাস শেষ হওয়ার আগেই বদলে গেল ‘প্লট’। মধ্যস্থতা করে সেই মামলার নিষ্পত্তি করে নিলেন বলিউডের দুই তারকা।
জাভেদ কঙ্গনা রানাউত ও জাভেদ আখতার
শুধু তাই নয়, কোর্ট চত্বরে হাসিমুখে একফ্রেমে ধরাও দিয়েছেন জাভেদ-কঙ্গনা। একে-অপরের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ। সুখবরটা কঙ্গনা রানাউতই দিলেন গতকাল শুক্রবার। সাংসদ ও অভিনেত্রী জানান, “আজ আমি এবং জাভেদজি আমাদের আইনি লড়াই মিটিয়ে নিলাম। মধ্যস্থতার বিষয়ে জাভেদজি ভীষণই দয়ালু এবং প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, আমার পরবর্তী সিনেমার জন্য গান লিখবেন বলেও কথা দিয়েছেন।”
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৌঁছান দুই তারকা। এরপর সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে ২০২০ সালে দায়ের করা মানহানি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলিউডের প্রবীণ গীতিকার।
কঙ্গনা রানাউত
মামলা মিটে যাওয়ায় খুশি জাভেদ? সমাজমাধ্যমে ঘোষণার পর প্রশ্ন রেখেছিল সংবাদমাধ্যম। রসিকতায় তিনিও যে কম যান না, প্রমাণিত তার কথায়। জাভেদ বলেছেন, ‘চিন্তা নেই। আবারও কিছু না কিছু সমস্যা ঠিক খুঁজে নেব।’
বলিউড কুইন কঙ্গনার বিরুদ্ধে জাভেদ আখতারের এই মামলা প্রায় ৫ বছরের পুরনো, ২০২০ সালের। সে বছর অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন- সেই মীমাংসা আজও হয়নি।
সেই উত্তাল সময়ে ‘নানা মুনির নানা মত’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বিস্ফোরক বক্তব্য।
জাভেদ আখতার
সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা ‘নেপোটিজম’-এর শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার, দেশের অন্যতম সম্মানিত শিল্পী জাভেদ আখতারকে। দোষারোপ করতে গিয়ে দুজনের গোপন এক সাক্ষাৎকারের কথা প্রকাশ্যে এনে যা যা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা, তা যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করেন বর্ষীয়ান সুরকার। আর তারপরই তিনি মানহানির মামলা করেছিলেন।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় ৪০ দিন মামলার শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়।
কঙ্গনা রানাউত ও জাভেদ আখতার
তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পাল্টা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক। সওয়াল-জবাবের পর বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তার। যদিও সেই সময়ে আদালতের হুঁশিয়ারি নিয়ে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেননি কঙ্গনা রানাউত।
তবে এবার সাংসদ-অভিনেত্রী নিজেই জানালেন যে, তারা মধ্যস্থতা করে মানহানি মামলার রফা করেছেন।