ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বর্তমানে কাজ ও ছেলে পদ্মকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব। ফেসবুকে নানান সময় বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লিখতে দেখা যায় তাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন পরী। তিনি লিখেছেন, ‘কখনও কখনও একজন মায়েরও তার মায়ের প্রয়োজন হয়।’
বিজ্ঞাপন
পরীর কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমােচ্ছে পুত্র পদ্ম
পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্ট বক্সে।
একজন লিখেছেন, ‘মা ছাড়া মা হওয়া যে কত কষ্টের, সেটা একজন সদ্য মা ভালো বোঝে। মাঝে মাঝে নিজেকে পাগল পাগল লাগে।’
বিজ্ঞাপন
আরেকজন মন্তব্যকারী লেখেন, ‘মা ছাড়া মা হওয়া অনেক কষ্ট। এই জার্নিটা সহজ না।’
ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত পরীমণি
ঢালিউড অভিনেতা রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পদ্মর সব দায়িত্ব একাই পালন করছেন পরীমণি। বর্তমানে পরীই ছেলে পদ্মর বাবা ও মা।
প্রসঙ্গত, গত বছর ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন পরীমণি। সরকারি অনুদানের এ ছবিটি পরিচালনায় আছেন রেজা ঘটক। এরপর যুক্ত হয়েছেন ‘খেলা হবে’ নামের একটি সিনেমায়। হাতে রয়েছে অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’।
‘বুকিং’ ওয়েব ফিল্মে পরীমণি ও এ বি এম সুমন
সম্প্রতি নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন এ নায়িকা। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসে পরীমণি অভিনীত ‘বুকিং’ ওয়েব ফিল্ম প্রকাশ পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এতে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।
প্রযোজক রেণু চোপড়ার ছেলে অভয় চোপড়ার প্রথম সিনেমা ‘ইত্তেফাক’। এই সিনেমার জন্য আর্থিক সাহায্য করেছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা ফাঁস করেছেন প্রয়াত নির্মাতা রবি চোপড়ার স্ত্রী রেণু চোপড়া।
রেণু জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের পরিবারের কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ। তার ছেলে সিদ্ধার্থের পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ইত্তেফাক’-এর প্রযোজক হতে এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ছবির চিত্রনাট্যটুকুও শোনেননি শাহরুখ, এমনকী পড়েনওনি! শুধু তাই নয়, এই সিনেমার প্রযোজনা করার জন্য যে পরিমাণ টাকা শাহরুখ বিনিয়োগ করেছিলেন তার উপর সুদ নিতেও অস্বীকার করেছিলেন কিং খান।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান
রেণুর কথায়, ‘‘আমাদের সব সিনেমাতে শাহরুখ শুধু অতিথিশিল্পী হিসেবেই অভিনয় করেছেন। এবার যখন ‘ইত্তেফাক’ সিনেমাটি প্রযোজনা করার কথা হলো, তখন শাহরুখকে বললাম, আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছি। শোনামাত্রই শাহরুখ আমাকে বললেন, রেণুজি, আপনি বড়। আপনি কেন আসবেন? আমি আসছি আপনার কাছে। তবে তখনই সে আসতে পারেনি। কারণ তার তো অনেক ব্যস্ততা। যে কারণে সপ্তাহ তিনেক পর আবারও ফোন করলাম। এবারও শাহরুখ জানালেন, তিনিই আসবেন আমার কাছে। এই যে বড়দের প্রতি যে সম্মান দেখায় শাহরুখ, তা অকল্পনীয়।”
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান
রেণু আরও বলেন, ‘এরপর শাহরুখ দেখা করতে এলো, আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করল এই ছবিতে তার কাজটা কী? ঠিক কী করতে হবে। আমি বলেছিলাম, শাহরুখ আমার কাছে অত টাকা নেই যে এই ছবি প্রযোজনা করতে পারব। কিন্তু আমার ছেলে খুব মন দিয়ে কাজটা করতে পারে। এবার তুমি যদি এই ছবিটা প্রযোজনা করতে পার খুব ভালো হয়। শোনামাত্রই রাজি হয়ে যান শাহরুখ খান। চিত্রনাট্য পড়েনি, শোনেননি। শুধু বলেছিল, আপনার ছেলে কাজ করছে, এটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট। আমি ঘোড়দৌড়ে নয়, ঘোড়া যে চালায় সেই জকির উপর বিনিয়োগ করতে পছন্দ করি। এরপর যখন সিনেমাটি শেষে শাহরুখকে ওর বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দিতে গিয়েছিলাম সুদসমেত, নিতে রাজি হয়নি। শাহরুখ বলেছিল, সুদের টাকা নিতে পারব না। ওটা হারাম!’ এরকম ভালো মানুষ শাহরুখ।’
৩৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি, বিচ্ছেদের পথে গোবিন্দ-সুনীতা!
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
|
সুনীতা ও গোবিন্দ
বিনোদন
দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য বলিউড সুপারস্টার গোবিন্দ ও সুনীতা আহুজার। প্রথম জীবনে অবশ্য গোবিন্দ স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছিলেন সকলের থেকে। ভেবেছিলেন, বিবাহিত নায়কের কথা জানতে পারলে খ্যাতি কমে যাবে! তবে বছর তিনেকের মাথায় সকলকে জানান তিনি বিবাহিত। তার পর দীর্ঘ সময় একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে থেকেছেন। এত বছরের দাম্পত্য, তবু একসঙ্গে বাস করেন না গোবিন্দ-সুনীতা। তাদের ছাদ আলাদা, সম্প্রতি জানিয়েছেন সুনীতা। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি থাকেন ফ্ল্যাটে। ঠিক তার উল্টো দিকে নিজের বাংলোয় একা থাকেন অভিনেতা।
গোবিন্দ ও সুনীতা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা এ সব কথা জানানোর পর থেকেই তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু। এ বার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এত বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে চলছেন গোবিন্দ-সুনীতা। দীর্ঘ দিন বলিউডে ‘সুখী দম্পতি’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তারা। শোনা যাচ্ছে, এই বয়সে পরকীয়া জড়িয়েছেন নায়ক! প্রায় অর্ধেক বয়সি মরাঠি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি গোবিন্দ- সুনীতার বিয়ে ভাঙছে। যদিও এই বিষয়ে অভিনেতার তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
গোবিন্দ ও সুনীতা
এমন ঘটতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন সুনীতা। এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছিলেন, তিনি এখন আর গোবিন্দকে বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমাদের দাম্পত্যে সুরক্ষিত বোধ করতাম। কিন্তু এখন আর করি না। এখন ওর ৬০-এর বেশি বয়স। জানি না, কখন কী করবে।’’ সুনীতা জানান, আগে কাজের ব্যস্ততায় কোনও রকম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল না গোবিন্দের। সুনীতার কথায়, ‘‘কিন্তু এখন তো বসেই থাকে। তাই ভয় হয়, কিছু করে না বসে!’’
ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা দিলেন গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
বিনোদন
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার জিরাবোতে নিজ বাড়িতে ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ আজিজুর রহমান আজাদ। গত রোববার গভীর রাতে বাড়িতে ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আজাদকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে ডাকাতেরা। এ সময় আজাদের শরীরে তিনটি গুলি লাগে। ডাকাতের আক্রমণে আজাদের মা ও স্ত্রীও আহত হয়েছেন।
বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন আজাদ। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আজাদের স্ত্রী রোকসানা হক। তার কপালে পাঁচটি ও মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। আজাদের এমআরআই করা হয়েছে, গুলিতে আহত জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আজাদের স্ত্রী
হাসপাতালে থাকা আজাদ কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জিরাবোতে আমাদের বাড়িটি ট্রিপ্লেক্স। এই বাড়ির তিনতলায় মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকি। দোতলায় রান্নাঘর এবং ড্রয়িং-ডাইনিং। বাড়িতে গেলে সাধারণত আমার ঘুমাতে ঘুমাতে তিনটা-চারটা বেজে যায়। সবাই ঘুমালেও আমি বাসায় পায়চারি করি। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায়ও আমি ঘুমাইনি। কী অবস্থা বাড়ির আশপাশে, তা দেখি। এসব করতে করতে আমার ক্ষুধা লাগে। এ কারণে দোতলায় আসি। রান্নাঘরের দিকে যেতে শব্দ শুনতে পাই, যেন দরজায় কেউ ঠকঠক করছে। আমাদের রান্নাঘরের দরজা আবার ভেতর দিক থেকে লক করা যায়। রান্নাঘরের সামনে দাঁড়ানোর পর বুঝতে পারি, কেউ ভেতরে আছে। এরপর দরজায় দুটো থাপ্পড় দিই, যাতে ভেতরে কেউ থাকলে যেন পালিয়ে যায়।
অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
এরপর ওপরে গিয়ে মা আর ওয়াইফকে ডাকি। বলি যে রান্নাঘরে মনে হয় কেউ আছে। আসো তো, একটু দেখি। শুরুতে ভাবছিলাম, এলাকায় ছ্যাঁচড়া চোর থাকে না, এ রকম কেউ হয়তো। তাই আমার মা আর ওয়াইফকে ডেকে কান পেতে এবার শোনার চেষ্টা করি, তখন কোনো শব্দ পাই না। ভাবলাম, থাকলেও এখন আর কেউ নেই। হয়তো পালিয়ে গেছে। ওইটা চিন্তা করে রান্নাঘরে দরজা খুলতেই দেখি, দুজন পিস্তল হাতে দাঁড়িয়ে আছে! তারপর ভাবলাম, দরজা লাগিয়ে দিই। খেয়াল করলাম, পিস্তল তাক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গুলি করতে পারে বা কিছু একটা। এটা বুঝতে পেরে, মা আর ওয়াইফ যেহেতু সঙ্গে, এটা সিদ্ধান্ত নিই, যে করে হোক ডাকাতদের থামাতে হবে, যাতে গুলি করতে না পারে। তখনই দৌড় দিয়ে একজনের হাত ধরে ফেলি। আরেকজনকে ধাক্কা দিই। যেন গুলি করতে না পারে। এরপর ধস্তাধস্তি হয়। আমার মা আর স্ত্রী আরেকজনকে ধরে, যাতে আমাকে গুলি করতে না পারে। আমি যাকে ধরেছি, তার এক হাতে পিস্তল, আরেক হাতে স্ক্রুড্রাইভার ছিল। তখন সেই ডাকাত স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকে। এতে আমার হাতে ও মাথায় আঘাত লাগে। ধস্তাধস্তির মধ্যে আমাকে জোরে ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কায় আমি দূরে সরে যাই। এরপর গুলি করে, যা আমার ডান পায়ে লাগে। তখন ভাবতে থাকলাম, আবার তো গুলি করবে। এও ভাবি, আমাকে না হলে গুলি করেছে, কোনোভাবেই যেন আমার মা আর ওয়াইফকে যেন গুলি করতে না পারে। আমি দৌড়ে গিয়ে আবার ওর হাত ধরি। কয়েক মিনিট ধস্তাধস্তি হয়।
অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
এদিকে আমার খুব ব্লিডিং হচ্ছিল। ডান পায়ে ভর রাখতে পারছিলাম না। এটা ডাকাতও বুঝতে পেরেছে। এরপর আবার আমাকে ধাক্কা দেয়, পড়ে যাই। ওই সময় আরেকটা গুলি করে, যা আমার বাঁ পায়ে হাঁটুর ওপরে লাগে। তারপরও আবার চেষ্টা করি ধরার। এর মধ্যে আরেকজনকে আমার ওয়াইফ ফ্রাই প্যান দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সেই ডাকাত আরেকটা ফ্রাই প্যান দিয়ে আমার স্ত্রীকেও প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে। এরপর সে পড়ে যায়। সেই ডাকাতকে ধরতে গেলে তখন আমাকে আরেকটা গুলি করে, হাঁটুর ওপরে।
তিনটা গুলি লাগার পর আমি আর ব্যালান্স রাখতে পারছিলাম না। তারপরও ভর দিয়ে দাঁড়াই। ওই মুহূর্তে ওরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। জানালা কেটে যেদিক দিয়ে আসছিল, সেদিক দিয়ে দৌড়ে পালায়। আমরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকি। পাশের বিল্ডিংয়ের মানুষেরাও শব্দ শুনে ছুটে আসে। মাত্রাতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণে লুঙ্গি দিয়ে বেঁধে নিই। আমার স্ত্রীরও ব্লিডিং হচ্ছিল।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
ডাকাত কীভাবে দোতলায় উঠতে পারে বা এটা ডাকাতি না অন্য কিছু, কোনো সন্দেহ হয় কি না, এমন প্রশ্নে আজাদ বললেন, ‘দোতলায় আমার রান্নাঘর। রান্নাঘরের জানালার সঙ্গে নিচতলার সানসেট আছে। ওই সানসেট দিয়ে ওপরে উঠেছে। সেখানে পরে দেখলাম ইট দিয়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা আছে। আমার বাসায় কেউ যদি আগে থেকে না আসে, সেখানে যে দাঁড়াতে পারবে, এটা কারও জানার কথা না। জানালার গ্রিল কেটে দোতলায় ওঠা যাবে, এটা কোনোভাবেই জানবে না। যারা আসছে, তারা আগে থেকেই বাড়ির আশপাশে এই জায়গায় নিশ্চয় ঘোরাঘুরি করেছে। চেনা কেউ অথবা যারা ডাকাতি করতে আসছিল, তারা কয়েক দিন ধরে ঘুরে দেখেছে। এই বাসায় আমরা খুব একটা থাকি না, এটাও ডাকাতি করতে যারা এসেছে, তারা জানে।’
অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
সবশেষে আজাদ বললেন, ‘সবাই জানেও আমাদের বাড়ি একদম খালি। এটা পূর্বপরিকল্পিত এবং অবশ্যই ডাকাতি। পরিচিত কেউ এটার সঙ্গে যুক্ত ছিল অথবা যারা এসেছিল তারা কয়েক দিন ধরে র্যাকি করেছে। না হলে এভাবে কেউ ঢোকার কথা না। আমার বাড়ি বাউন্ডারি দেওয়া। এর মধ্যে রান্নাঘরের জানালা কেটে যে ঢোকা যায়, তা কারোরই জানার কথা না। আমার সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই, তবে যে গুলি করেছে, সে পেশাদার, এটা আমি বুঝতে পেরেছি। কারণ, আমি নিজেও ক্রাইম ফিকশনে কাজ করেছি। আমি কিছুটা হলেও তো বুঝি। যে গুলি করেছে, তার পিস্তল ধরার ধরন, টার্গেট সবই পেশাদার। সব মিলিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি করেছে। রিভলবারের ম্যাগাজিন থেকে ৬ রাউন্ড গুলি পড়ে যায়। ৫ রাউন্ড গুলির মধ্যে তিনটা আমার গায়ে লেগেছে, আরেকজন যে গুলি করেছে, তার গুলি এদিক সেদিক চলে গেছে।’
অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ
২০১৬ সালে তপু খানের ‘প্রাক্তন’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু আজাদের। এরপর গত ৯ বছরে দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন আজাদ। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন নাটকে দেখা যায় আজাদকে।
ছোটপর্দার সুপারস্টার মেহজাবীন চৌধুরী আজ তার বিয়ে নিয়ে রয়েছেন আলোচনায়। তবে গত কয়েকদিন তিনি প্রশংসায় ভাসছেন তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম ‘নীল সুখ’-এর জন্য।
এ সময়ের অন্যতম মেধাবী নির্মাতা ভিকি জাহেদ পরিচালিত এই ছবিতে গান রয়েছে তিনটি। যার মধ্যে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও একটি মাত্র মৌলিক গান। প্রথমে রবীন্দ্রসঙ্গীত দুটির ভিডিও মুক্তি দেওয়া হয়। একেবারে শেষে এসেছে এই ছবির মৌলিক গান ‘বৈরী বাতাস’। কারণ এই গানের ভিডিওতেই গল্পের গোমর ফাঁস হয়। তাই নির্মাতা সচেতনভাবেই গানটি শেষে মুক্তি দিয়েছেন।
‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী ও রেহান
তবে কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এই গানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ‘বৈরী বাতাস’ মুক্তির পর থেকে এর সুর ও গায়কীর জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছেন লুৎফর হাসান, শাহরিয়ার মার্সেল ও বাঁধন সরকার পূজা। লুৎফর হাসানের লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মার্সেল। আর তাতে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পূজার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল।
গানটি নিয়ে পূজা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘মানুষের মাঝে দেরীতে এলেও গানটির রেসপন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভালো গান হলে দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছবেই, সেটা যতো সময়ই লাগুক না কেন। গানটি গাওয়ার সময়ই মনে হয়েছিলো দর্শকের পছন্দ হবে। মার্সেল সাধারনত সুর আর সঙ্গীত কওে, গানে কণ্ঠ দেয় না। কিন্তু এই গানটিতে সে গেয়েছে, এবং এতো চমৎকার গেয়েছে যে গানটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।’’
বাঁধন সরকার পূজা ও শাহরিয়ার মার্সেল
পূজা আরও বলেন, ‘‘আমি ‘নীল সুখ’ দেখেছি বড়পর্দায়। তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই। সবাইকে বলবো ভিকি জাহেদের মতো মেধাবী নির্মাতার কাজ, মেহজাবীনের মতো দক্ষ অভিনেত্রীর অভিনয় দেখতে হলেও আপনারা বিঞ্জে গিয়ে ‘নীল সুখ’ দেখুন। আশা করি আমাদের গান ও পুরো ছবিটি আপনাদের মন জয় করবে।’’