রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে এরইমধ্যে বদলে গেছে এর নাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্টেডিয়ামটির নতুন নাম দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এনসিজি)।
সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিসিবির দুই পরিচালক, নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও ইফতেখার রহমান মিঠু, গণমাধ্যমকে জানান স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের খবরটি।
প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ার পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের সময় সরকারের কাছ থেকে ৩৭.৫ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয় এই প্রকল্পের জন্য।
প্রাথমিকভাবে, স্টেডিয়ামটি 'দ্য বোট' নামে নৌকার আদলে নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও, সম্প্রতি বিসিবি জানায় যে নতুন ডিজাইনে এটি তৈরি করা হবে।
বিসিবি মূলত ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ শুরু করেছিল, কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে বিসিবি জানায়, এখন দ্রুত কাজ শুরু করতে চায় তারা।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু আশাবাদী, আগামী মৌসুম থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, 'আমরা আপাতত মাঠ তৈরিতেই জোর দিচ্ছি। দুটি মাঠ তৈরি হচ্ছে, যেখানে ১৮টি পিচ থাকবে, নেট অনুশীলনসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। অস্থায়ী ড্রেসিং রুম তৈরি করা হবে, যা পরে স্থায়ী করা হবে। আশা করছি, আগামী মৌসুম থেকেই এই দুই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করা যাবে। এতে দেশের মাঠের সংকট কিছুটা কমবে।'
ক্রীড়াঙ্গনেও অনেক স্থাপনার নাম ছিল বিগত সরকার প্রধানের পরিবারের নামে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্প্রতি ১৫০টি উপজেলা স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে ‘জাতীয় স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়।